ঢাকা ০১:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বড়লেখায় হামলা ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন ২ জনকে আসামি করে মামলা, বিপাকে বাদী

মৌলভী-বাজারের বড়লেখার জহুদনগর বিরাশি গ্রামের আব্দুল মতিন নামের এক ব্যাক্তি অন্যের জায়গা দখলের চেষ্টা করে ভুমির মালিকের উপর হামলা চালায়।
এরপর অপরাধের সাথে জড়িত নয় ২ জনকে জড়িয়ে করে মামলা । লোকলজ্জায় বাদী ও সাক্ষী বাবা ও মেয়ে ঘরে তালা দিয়ে বাড়ি ছাড়া।

বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুরের জহুর নগর বিরাশি গ্রামের হাসিব আলীর ছেলে আব্দুল মতিন, তরমুছ আলীর ছেলে রুবেল মিয়ার পানি খাওয়ার কোয়া দখল করে রেখেছে এবং সে এটি ছাড়তে নারাজ।

বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষ সালিশ ব্যাক্তি তরজ আলীর বাড়িতে সন্ধ্যায়। সেখানে গিয়ে পানি খাওয়ার কোয়া নিয়ে কথা বলেন। এ সময় রুবেল মিয়া, আব্দুল মতিনকে পানি খাওয়ার গুহাটি ছেড়ে দিতে বলেন, একথা শুনে আব্দুল মতিন রেগে গিয়ে হাতে থাকা টস লাইট দিয়ে রুবেলকে পিটানো শুরু করেন। রুবেল তার হাতে থাকা টস লাইট দিয়ে পরে আব্দুল মতিনের উপর হামলা করে। এতে দু’জনই আহত হন।

সালিশ ব্যাক্তির বাড়িতে এ হামলার ঘটনায় আদুল মতিন বড়লেখা জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে রুবেল মিয়াকে ১ নং আসামি করে মামলা করেন। এঘটনার সময় ঘটনাস্হলে বা আশপাশে না থেকে ও আসামি হলেন একি গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে আব্দুর রহমান,তার শালক হেলাল উদ্দিনের ছেলে হোসাইন আহমদ।

এদুজনকে আসামি করায় মামলার বাদী আব্দুল মতিন ও তার মেয়ে মামলার সাক্ষী, আলেয়া বেগম চরম বেকায়দায় পড়েছেন। বাদী ও সাক্ষী বাবা মেয়ে ঘরে তালা দিয়ে বাড়ি ছাড়েন।

এ মামলার ২নং সাক্ষী শালিস ব্যাক্তিত্ত তরজ আলী বলেন, আমার বাড়িতে দু পক্ষ কথা কাটাকাটি নিয়ে হাতাহাতি হলো। এ মামলায় হোসাইন ও আব্দুর রহমানকে কিভাবে আসামি দেওয়া হলো।

এলাকাবাসী জানান, মতিন অন্যের পানি খাওয়ার গুহা দখলের চেষ্টা করলো আবার তার উপর হামলা করলো উল্টো মামলা দিয়েছে আবার ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করলো। এটা
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমাকে লোকজন জানিয়েছে। পুলিশ তদন্তের সময় আমরা সকলে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে আব্দুর রহমান ও হোসাইন আহমদকে এ মামলা থেকে বাদ দেওয়ার দাবী করবো।
মামলার বাদী আব্দুল মতিন এর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার বাড়ি-ঘর তালাবদ্ধ। তার মেয়ে মামলার ১ নং সাক্ষী। সেও বাড়িতে নেই। পরে ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

বড়লেখায় হামলা ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন ২ জনকে আসামি করে মামলা, বিপাকে বাদী

আপডেট টাইম : ১০:৩০:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

মৌলভী-বাজারের বড়লেখার জহুদনগর বিরাশি গ্রামের আব্দুল মতিন নামের এক ব্যাক্তি অন্যের জায়গা দখলের চেষ্টা করে ভুমির মালিকের উপর হামলা চালায়।
এরপর অপরাধের সাথে জড়িত নয় ২ জনকে জড়িয়ে করে মামলা । লোকলজ্জায় বাদী ও সাক্ষী বাবা ও মেয়ে ঘরে তালা দিয়ে বাড়ি ছাড়া।

বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুরের জহুর নগর বিরাশি গ্রামের হাসিব আলীর ছেলে আব্দুল মতিন, তরমুছ আলীর ছেলে রুবেল মিয়ার পানি খাওয়ার কোয়া দখল করে রেখেছে এবং সে এটি ছাড়তে নারাজ।

বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষ সালিশ ব্যাক্তি তরজ আলীর বাড়িতে সন্ধ্যায়। সেখানে গিয়ে পানি খাওয়ার কোয়া নিয়ে কথা বলেন। এ সময় রুবেল মিয়া, আব্দুল মতিনকে পানি খাওয়ার গুহাটি ছেড়ে দিতে বলেন, একথা শুনে আব্দুল মতিন রেগে গিয়ে হাতে থাকা টস লাইট দিয়ে রুবেলকে পিটানো শুরু করেন। রুবেল তার হাতে থাকা টস লাইট দিয়ে পরে আব্দুল মতিনের উপর হামলা করে। এতে দু’জনই আহত হন।

সালিশ ব্যাক্তির বাড়িতে এ হামলার ঘটনায় আদুল মতিন বড়লেখা জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে রুবেল মিয়াকে ১ নং আসামি করে মামলা করেন। এঘটনার সময় ঘটনাস্হলে বা আশপাশে না থেকে ও আসামি হলেন একি গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে আব্দুর রহমান,তার শালক হেলাল উদ্দিনের ছেলে হোসাইন আহমদ।

এদুজনকে আসামি করায় মামলার বাদী আব্দুল মতিন ও তার মেয়ে মামলার সাক্ষী, আলেয়া বেগম চরম বেকায়দায় পড়েছেন। বাদী ও সাক্ষী বাবা মেয়ে ঘরে তালা দিয়ে বাড়ি ছাড়েন।

এ মামলার ২নং সাক্ষী শালিস ব্যাক্তিত্ত তরজ আলী বলেন, আমার বাড়িতে দু পক্ষ কথা কাটাকাটি নিয়ে হাতাহাতি হলো। এ মামলায় হোসাইন ও আব্দুর রহমানকে কিভাবে আসামি দেওয়া হলো।

এলাকাবাসী জানান, মতিন অন্যের পানি খাওয়ার গুহা দখলের চেষ্টা করলো আবার তার উপর হামলা করলো উল্টো মামলা দিয়েছে আবার ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করলো। এটা
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমাকে লোকজন জানিয়েছে। পুলিশ তদন্তের সময় আমরা সকলে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে আব্দুর রহমান ও হোসাইন আহমদকে এ মামলা থেকে বাদ দেওয়ার দাবী করবো।
মামলার বাদী আব্দুল মতিন এর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার বাড়ি-ঘর তালাবদ্ধ। তার মেয়ে মামলার ১ নং সাক্ষী। সেও বাড়িতে নেই। পরে ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।