অবশেষে দুর্নীতিবাজ জসিম উদ্দিন হাওলাদারের দুর্নীতি তদন্তে মাঠে নেমেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশন কর্মকর্তারা।
অঞ্চল-২ এর কর্মকর্তা জোবায়ের ইসলাম ভূঁইয়ার অফিসকক্ষে ডেকে জসিম উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত ১৮ অক্টোবর দৈনিক আলোর জগত পত্রিকায় ‘কবর খোদাই কারকের এত সম্পদ’ শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তারই প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার জসীমউদ্দীনের পদ পদবী এবং কি ধরনের অবৈধ সম্পদ তিনি অর্জন করেছেন সেই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদক কর্মকর্তার জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ স্বীকার করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল সকালে ডিএনসিসির (উত্তর) সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক সত্যতা যাচাইয়ে অঞ্চল-২ এর কার্যালয়ে যান সেখানে তিনি ২১৭ নম্বর রুমে দুর্নীতিবাজ অফিস সহায়ক জসীমউদ্দীন হাওলাদারকে টেবিল চেয়ার পেতে অফিস করতে দেখেন এবং সেখানেই তাকে প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনি জসিম উদ্দিন হাওলাদার এর কাছে জানতে চান- একজন অফিস সহায়ক (পিয়ন) টেবিল চেয়ার পান কিনা? এ সময় তিনি তার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
এরপর সকাল ১১ টার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল একই অভিযোগ নিয়ে অঞ্চল-২ এর কার্যালয়ে যান। এ সময় জসিম উদ্দিন হাওলাদার একজন সেবাগ্রহিতার কাছে বারোশো টাকারস্থলে ৬ হাজার টাকা দাবি করেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক তাকে কর কর্মকর্তা জুবায়ের ইসলাম ভূঁইয়ার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে তার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ঘুষ বাণিজ্যের বিষয় জানতে চাওয়া হয়। এ সময় জসিম উদ্দিন হাওলাদার ঢাকায় তার দুটি ফ্লাট এবং গ্রামের বাড়িতে মাছের ঘেরসহ দুই বিঘা জমি তার নামে রয়েছে বলে দুদক কর্মকর্তাদের কাছে স্বীকার করেন।
একপর্যায়ে কর কর্মকর্তা জুবায়ের ইসলাম ভূঁইয়া অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন হাওলাদার এর বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল অ্যাকশন নেয়ার কথা বলা হলে দুদক কর্মকর্তারা তাকে ছেড়ে দেন। এবং একই সাথে কি ধরনের ব্যবস্থা তার বিরুদ্ধে নেয়া হয়েছে তাও তাদেরকে জানাতে বলা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে দুর্নীতিবাজ জসিমের বিরুদ্ধে নগর ভবনে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। এসব অভিযোগ তিনি অনৈতিকভাবে ধামাচাপা দিতেন বলে একাধিক সূত্র দাবি করেছেন।