ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

১০ দিনে ঢাকায় গ্রেপ্তার বিএনপি-জামায়াতের ১৮৮৪ নেতাকর্মী

  • অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : ০৮:০২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগে গত ১০ দিনে ১৮৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি)। সবশেষ গতকাল (সোমবার) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ১৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ডিএমপির তথ্যমতে, ২১ অক্টোবর ৩১ জন, ২২ অক্টোবর ৪২ জন, ২৩ অক্টোবর ৪২ জন, ২৪ অক্টোবর ৮৫ জন, ২৫ অক্টোবর ১১১ জন, ২৬ অক্টোবর ২০২ জন, ২৭ অক্টোবর ৩৪০ জন, ২৮ অক্টোবর ৬৯৬ জন, ২৯ অক্টোবর ২৫৬ জন এবং সর্বশেষ গতকাল সোমবার(৩০ অক্টোবর) ১৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ২৮ অক্টোবরের পর গতকাল পর্যন্ত মামলা হয়েছিল ৩৬টি। আজ মতিঝিল, রমনা ও বংশালে আরও তিনটি মামলা হয়েছে। সর্বশেষ তিনটি নিয়ে মামলার সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গত ৪ দিনে সারা দেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় বিএনপির ৭ নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে গত ৬ দিনে রাজধানীসহ সারা দেশে ৪ হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে।

অজ্ঞাত স্থান থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ, ২৯ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ অবরোধকে কেন্দ্র করে মোট ২২৮০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের গুলিতে এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় ৭ জন নেতাকর্মী মারা গেছেন। এছাড়া ৩৩৫০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

গত ৬ দিনে সারা দেশে ৪ হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। রাজধানীসহ সারা দেশে নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে ৭১ টি।

গত জুলাই থেকে হওয়া মামলার মধ্যে ১৭টি মামলায় বিএনপির ৯ নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও প্রায় ১১১ জনের অধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করে রিজভী।

তিনি বলেন, গায়ের জোরে চলছে আওয়ামী দুঃশাসন। তাদের অনাচারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহ। এমনই একটি পরিস্থিতি তৈরি করছেন শেখ হাসিনা। বিরোধী দলের সমালোচনায় ভাষা প্রয়োগ করা মানেই ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে তাই বন্দুকের নল তাক করা থাকে।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

১০ দিনে ঢাকায় গ্রেপ্তার বিএনপি-জামায়াতের ১৮৮৪ নেতাকর্মী

আপডেট টাইম : ০৮:০২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগে গত ১০ দিনে ১৮৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি)। সবশেষ গতকাল (সোমবার) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ১৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ডিএমপির তথ্যমতে, ২১ অক্টোবর ৩১ জন, ২২ অক্টোবর ৪২ জন, ২৩ অক্টোবর ৪২ জন, ২৪ অক্টোবর ৮৫ জন, ২৫ অক্টোবর ১১১ জন, ২৬ অক্টোবর ২০২ জন, ২৭ অক্টোবর ৩৪০ জন, ২৮ অক্টোবর ৬৯৬ জন, ২৯ অক্টোবর ২৫৬ জন এবং সর্বশেষ গতকাল সোমবার(৩০ অক্টোবর) ১৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ২৮ অক্টোবরের পর গতকাল পর্যন্ত মামলা হয়েছিল ৩৬টি। আজ মতিঝিল, রমনা ও বংশালে আরও তিনটি মামলা হয়েছে। সর্বশেষ তিনটি নিয়ে মামলার সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গত ৪ দিনে সারা দেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় বিএনপির ৭ নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে গত ৬ দিনে রাজধানীসহ সারা দেশে ৪ হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে।

অজ্ঞাত স্থান থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ, ২৯ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ অবরোধকে কেন্দ্র করে মোট ২২৮০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের গুলিতে এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় ৭ জন নেতাকর্মী মারা গেছেন। এছাড়া ৩৩৫০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

গত ৬ দিনে সারা দেশে ৪ হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। রাজধানীসহ সারা দেশে নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে ৭১ টি।

গত জুলাই থেকে হওয়া মামলার মধ্যে ১৭টি মামলায় বিএনপির ৯ নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও প্রায় ১১১ জনের অধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করে রিজভী।

তিনি বলেন, গায়ের জোরে চলছে আওয়ামী দুঃশাসন। তাদের অনাচারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহ। এমনই একটি পরিস্থিতি তৈরি করছেন শেখ হাসিনা। বিরোধী দলের সমালোচনায় ভাষা প্রয়োগ করা মানেই ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে তাই বন্দুকের নল তাক করা থাকে।