রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে পোশাক শ্রমিক, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলছে। গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে মিরপুরে রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে আরও দুই পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন এমন খবরে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত ১৫টি বাস, ২টি মার্কেট, একটি ব্যাংকের শাখা ও ২টি পোশাক কারখানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে মিরপুর ১০-১১ নম্বর পর্যন্ত সড়কে কয়েক হাজার শ্রমিক অবস্থান করছিলেন। অ্যাপোলো ফ্যাশন, অ্যাপোলো বিডি, কনকর্ড, ডেকো অ্যাপারেলস, টিউলিপ, আজমত ফ্যাশনসহ নামের কয়েকটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে হীড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ থেকে ভাঙচুর চালানো হয়। বিএনপির অবরোধ কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা সড়কে অবস্থান নিয়েছিলেন। শ্রমিকদের বিক্ষোভ থেকে তাদের চেয়ারগুলোও ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। পোশাক শ্রমিকদের অবস্থানের কারণে মিরপুর-১১ মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গুজব থেকে বিরত থাকতে র্যাবের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৫টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়া দুটি মার্কেট, একটি ব্যাংকের শাখা ও দুটি পোশাক কারখানায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
এর আগে পাঁচ দফা দাবিতে গতকাল সোমবার কর্মসূচি ছিল পোশাক শ্রমিকদের। রাজধানীর মিরপুরসহ সাভার ও গাজীপুরেও পোশাক শ্রমিকরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় গাজীপুরে এক শ্রমিক নিহত হন। এর প্রতিবাদে আজ তারা আবার রাজপথে নামেন।