ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধু টানেলে চলবে না থ্রি হুইলার-মোটরসাইকেল

  • অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : ০৫:২০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুল প্রত্যাশিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে টানেল সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে টানেলে মোটর বাইক কিংবা থ্রি হুইলার চলাচল করতে পারবে না।

এরইমধ্যে টানেলে ১২ ধরনের যানবাহনের জন্য টোলহার চূড়ান্ত করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতু বিভাগ জানিয়েছে, কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত শাহ আমানত সেতুর (কর্ণফুলী তৃতীয় সেতু) টোলহার বিবেচনায় টানেলের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে টোলপ্লাজা। এ টোলপ্লাজায় একসঙ্গে ১৪টি যানবাহন টোল দিতে পারবে।

সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, টানেলে প্রাইভেটকার ও জিপ চলাচলে ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ২৫০ টাকা, পিকআপ ২০০ টাকা, ৩১ কিংবা তার চেয়ে কম আসনের বাস ৩০০ টাকা এবং ৩২ কিংবা তার চেয়ে বেশি আসনের বাসকে দিতে হবে ৪০০ টাকা। এছাড়াও ৫ টন ধারণক্ষমতার ট্রাককে ৪০০ টাকা, ৫ টন থেকে বেশি ৮ টন পর্যন্ত ধারণক্ষমতার ট্রাককে ৫০০ টাকা এবং ৮ টন থেকে ১১ টনের ধারণ ক্ষশতার ট্রাককে টোল দিতে হবে ৬০০ টাকা।অন্যদিকে তিন এক্সেল পর্যন্ত ট্রাক চলাচল করতে ৮০০ টাকা এবং চার এক্সেল পর্যন্ত ট্রেইলারকে এক হাজার টাকা এবং চার এক্সেলের বেশি হলে প্রতি এক্সেলের জন্য ২০০ টাকা করে বেশি টোল দিতে হবে।

জানা যায়, দুই দফা ব্যয় বাড়িয়ে টানেল নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ও চীন সরকার ‘জি টু জি’ অর্থায়নে টানেলটি নির্মাণ করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ৪ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা। চীন সরকারের অর্থসহায়তা ছিল ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকাজের যৌথভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা রাষ্ট্রপতি শিং জিনপিং।

২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন। টানেল নির্মাণকাজ করে চীনের প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। সাড়ে চার বছরের নির্মাণযজ্ঞ শেষে আজ উদ্বোধন হচ্ছে এই টানেল। টানেলের ভেতরে থাকা দুটি টিউব প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। সংযোগ সড়কসহ টানেলের মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

বঙ্গবন্ধু টানেলে চলবে না থ্রি হুইলার-মোটরসাইকেল

আপডেট টাইম : ০৫:২০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুল প্রত্যাশিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে টানেল সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে টানেলে মোটর বাইক কিংবা থ্রি হুইলার চলাচল করতে পারবে না।

এরইমধ্যে টানেলে ১২ ধরনের যানবাহনের জন্য টোলহার চূড়ান্ত করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতু বিভাগ জানিয়েছে, কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত শাহ আমানত সেতুর (কর্ণফুলী তৃতীয় সেতু) টোলহার বিবেচনায় টানেলের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে টোলপ্লাজা। এ টোলপ্লাজায় একসঙ্গে ১৪টি যানবাহন টোল দিতে পারবে।

সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, টানেলে প্রাইভেটকার ও জিপ চলাচলে ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ২৫০ টাকা, পিকআপ ২০০ টাকা, ৩১ কিংবা তার চেয়ে কম আসনের বাস ৩০০ টাকা এবং ৩২ কিংবা তার চেয়ে বেশি আসনের বাসকে দিতে হবে ৪০০ টাকা। এছাড়াও ৫ টন ধারণক্ষমতার ট্রাককে ৪০০ টাকা, ৫ টন থেকে বেশি ৮ টন পর্যন্ত ধারণক্ষমতার ট্রাককে ৫০০ টাকা এবং ৮ টন থেকে ১১ টনের ধারণ ক্ষশতার ট্রাককে টোল দিতে হবে ৬০০ টাকা।অন্যদিকে তিন এক্সেল পর্যন্ত ট্রাক চলাচল করতে ৮০০ টাকা এবং চার এক্সেল পর্যন্ত ট্রেইলারকে এক হাজার টাকা এবং চার এক্সেলের বেশি হলে প্রতি এক্সেলের জন্য ২০০ টাকা করে বেশি টোল দিতে হবে।

জানা যায়, দুই দফা ব্যয় বাড়িয়ে টানেল নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ও চীন সরকার ‘জি টু জি’ অর্থায়নে টানেলটি নির্মাণ করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ৪ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা। চীন সরকারের অর্থসহায়তা ছিল ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকাজের যৌথভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা রাষ্ট্রপতি শিং জিনপিং।

২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন। টানেল নির্মাণকাজ করে চীনের প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। সাড়ে চার বছরের নির্মাণযজ্ঞ শেষে আজ উদ্বোধন হচ্ছে এই টানেল। টানেলের ভেতরে থাকা দুটি টিউব প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। সংযোগ সড়কসহ টানেলের মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার।