অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মহাখালী ও এর আশেপাশের এলাকায় ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে। আগুনের পরপরই ভবনটিতে থাকা ইন্টারনেট সার্ভার বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, মহাখালীতে আগুনের কারণে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কারণ খাজা টাওয়ারে ট্রান্সমিশন রয়েছে। দুটি ডাটা সেন্টার রয়েছে। যার ফলে অনেক স্থানে ইন্টারনেট অলরেডি বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, টাওয়ারে আগুনের কারণে অন্তত ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। এনআরবি নামে একটি ডাটা সেন্টার পুড়ে গেছে। কয়েকটি আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) শাটডাউন করেছে। এছাড়া আরও অনেক সেবাদাতার সেবা বন্ধের মুখে। এতে শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি হচ্ছে।
কবে নাগাদ ইন্টারনেটের এ গতি ফিরবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ অগ্নিকাণ্ডে একই সমস্যায় পড়েছে টেলিকম কোম্পানিগুলোও। ফেসবুক পেজে এক পোস্টে গ্রামীণফোন জানিয়েছে, মহাখালীর আমতলীতে অগ্নিকাণ্ডের কারণে কারিগরি বিপর্যয়ে কিছু গ্রাহকের গ্রামীণফোন থেকে অন্য অপারেটরে ভয়েস কল জনিত সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। আমাদের টিম দ্রুততার সাথে সমস্যাটি সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।
আরেক টেলিকম কোম্পানি বাংলালিংক এক পোস্টে জানিয়েছে, মহাখালীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারিগরি বিপর্যয়ে কিছু গ্রাহকের বাংলালিংক থেকে অন্য অপারেটরে কল এবং এসএমএস করতে সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। সমস্যাটি সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।
তিনি আরও বলেন, টাওয়ারে আগুনের কারণে অন্তত ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। এনআরবি নামে একটি ডাটা সেন্টার পুড়ে গেছে। কয়েকটি আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) শাটডাউন করেছে। এছাড়া আরও অনেক সেবাদাতার সেবা বন্ধের মুখে। এতে শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি হচ্ছে। কবে নাগাদ ইন্টারনেটের এ গতি ফিরবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে বিকেল ৫টার দিকে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ৫টা ৭মিনিটে প্রথম ইউনিট পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। সবশেষ রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আগুন জ্বলতে দেখা যায়।