আন্তর্জাতিক ডেস্ক
লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর উপপ্রধান শেখ নাঈম কাসেম জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও হামাসের চলমান যুদ্ধে জড়িত না হতে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিদেশি শক্তিগুলো। কিন্তু এসব আহ্বান সত্ত্বেও— ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘নিজ পরিকল্পনায়’ হিজবুল্লাহ ব্যবস্থা নেবে এবং এক্ষেত্রে তারা প্রস্তুত আছেনও।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আয়োজিত একটি র্যালিতে অংশ নেন শেখ নাঈম কাসেম। সেখানেই এমন কথা জানান তিনি। শক্তিশালী এ সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপপ্রধান আরও জানিয়েছেন, আরব বিশ্ব এবং জাতিসংঘ ‘প্রত্যক্ষ’ এবং ‘পরোক্ষভাবে’ হিজবুল্লাহকে বলেছে, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে যেন তারা জড়িত না হয়।
এদিকে গত শনিবার ইসরায়েলে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হামলা চালায় গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তাদের এ হামলায় ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আর হামাস এমন রক্তক্ষয়ী হামলা চালানোয় এর প্রতিশোধ নিতে গাজায় স্থল অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইসরায়েলি বাহিনী যদি গাজায় প্রবেশ করে তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এছাড়া সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে এই সংঘাতে যোগ দিতে পারে হিজবুল্লাহর মতো অন্য শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।
এমন আশঙ্কার মধ্যেই শুক্রবার হিজবুল্লাহর প্রধানের সঙ্গে লেবাননে গিয়ে দেখা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তারা দুজন হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন। তবে ইরান এবং হিজবুল্লাহর মতো শক্তিশালী দেশ ও গোষ্ঠীগুলো যেন এই যুদ্ধে না জড়ায় সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে নিজেদের বিমানবাহী রণতরী ও যুদ্ধজাহাজ ইসরায়েলের আরও কাছে নিয়ে এসেছে তারা।