হিজলা প্রতিনিধি
বরিশালের হিজলা উপজেলায় সয়াবিনের বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে।কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে তাদের উৎপাদিত ফসল দেখে।উপজেলা সবত্র জুড়ে এখন কৃষকেরা ঝুকছে সয়াবিন চাষে।কম খরছে অধিক লাভবান হওয়ার আশায় কৃষক বেচে নিয়েছে সয়াবিন চাষ।কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ বছর হিজলা উপজেলায় ৬ হাজার ৯৫০হেক্টর জমিতে কৃষক সয়াবিন চাষ করছে।ফেব্রæয়ারী মাসে কৃষক জমি চাষাবাদ করে সয়াবিনের বীজ বপন করে।মাত্র ৩ মাসে ফসল ঘরে তুলতে পারে কৃষকেরা।সয়াবিন চাষে জমিতে বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই বলে অল্প খরচে বেশী লাভের আশায় সয়াবিন ফসল করে থাকে।জানাযায় প্রতিমন কাচা সয়াবিনের দাম ১২ শত হতে ১৪ শত টাকা বিক্রি করে থাকে।অনেক কৃষক বেশী লাভের আশায় শুকিয়ে ২৪ শত হতে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকে।দরিদ্র কৃষকেরা কম দামে অগ্রিম তাদের ফসল মহাজনদের কাছে বিক্রি করে।
উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের সয়াবিন চাষী কৃষক আবদুল ছাত্তার গাজী ও আমান সরদার জানায় সয়াবিন চাষ করতে তাদের বাড়তি ঝামেলা নেই।শুধু জমি চাষাবাদ করে বীজ বপন করলেই তাদের কাঙ্গিত ফসল ঘরে তুলতে পারে।তারা তাদের উৎপাদিত সয়াবিন ফসলে ন্যায্য মূল্য পায় না বলে দাবী করে।তারা আরো জানায় সরকারী ভাবে সয়াবিন ফসল ক্রয় করলে কৃষকেরা ন্যয্যা মূল্য পেত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিধ আহসান হাবীব আল জনি আজাদ জানায় হিজলা উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সয়াবিনের চাষ হয়।এটি একটি অর্থকরী ফসল।আমরা কৃষকদের সয়াবিনের বীজ সরবারাহ করে থাকি।তারা যেনো সয়াবিন চাষে উৎসাহিত হয়।তিনি আরো জানায় হিজলা উপজেলায় সয়াবিন চায়ের জন্য উপযুক্ত মাটি রয়েছে।সয়াবিন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের উন্নত মানের বিস্কুট ও মাছের খাদ্য তৈরী হয়।আমাদেও দেশে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় সয়াবিন ফসল থেকে তৈল উৎপাদন করা সম্ভব হয়না।