নাহিদ জামান, মাদারীপুর
আমাদের এই বাংলাদেশে সাহিত্যে ও সামাজিক অঙ্গনে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস বেশ পুরনো ও সংগ্রামী। নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস চর্চায় দেখা যায় সমাজে প্রতিটি নারী নিজেকে এগিয়ে নিয়েছে নানা প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে।
অবলা, অসহায় শব্দগুলো নারী শব্দটার পাশে বর্তমানে বরই বেমানান। নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে দিগন্তে ডানা মেলে।
এমনই এক নারী যিনি একের পর এক তার পদচিহ্ন একে যাচ্ছেন তার কর্মজীবন, সামাজিক অঙ্গন ও লেখনিতে।
আনোয়ারা রাজ্জাক আনু চৌধুরী(৭১) সাহিত্য নিয়ে ভাবনা চিন্তা দেড়িতে হলেও তিনি তার লেখনিতে ইতি মধ্যেই জয় করেছেন স্বর্ন পদক সহ নানান সম্মাননা।
ইতিমধ্যে তার লেখা চারটি কবিতার বই প্রকাশ করেছেন। বহুমুখী তার কবিতার ধরন। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ সহ সমাজের নানান বিষয় ফুটে ওঠে তার প্রতিটি কবিতায়। তার লেখা বই গুলো হলো, ‘অনেক সাধনার পর’, ‘পদ্মার ঢেউ’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, এবং সম্প্রতি প্রকাশ করেন ‘অবশেষে’ নামক কাব্য গ্রন্থ।
মাদারীপুরে নারীদের উন্নয়ন, অগ্রগতিতে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। নারী জাগরণে বেশকিছু সংগঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছেন। নারী উন্নয়নের পাশাপাশি শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধেও তিনি সোচ্চার। মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য তিনি সবসময় ব্যতি-ব্যস্ত সময় কাটান।
ইতিমধ্যে তিনি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠন গাঙচিল সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের ৪৭তম আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে দেশ বরেন্য ও সেরা কবি-সাহিত্যিকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এই বার্ষিক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে
আনোয়ারা রাজ্জাক আনু চৌধুরী সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য স্বর্নপদক লাভ করেন। তিনি বলেন বয়স কোন বাঁধা নয়, জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যাওয়াটাই প্রকৃত মানুষের পরিচয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাদেব সাহা। আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ও গাংচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন ও গাংচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ড. এম ইদ্রিস আলীসহ অনেকে।
আনোয়ারা রাজ্জাক আনু চৌধুরী(৭১), তিনি মাদারীপুর শহরের মুচি বাড়ি মোড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি তার জীবদ্দশায় প্রায় তিন হাজারের বেশি নবজাতকের ধাত্রী সেবায় সরাসরি কাজ করেছেন। পেয়েছেন একাধিক সম্মানা।
জায়গা করে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায়।