ঢাকা ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

হিজলায় শিকলে বন্ধী ১২ বছর ,অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না।

হিজলা প্রতিনিধি

 

বরিশালের হিজলা উপজেলায় মানসিক প্রতিবন্ধী এক যুবক ১২ বছর শিকলে বন্ধী রয়েছে।টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না তার পরিবার।যুবকটি উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের খাগেরচরের সরকারী গুচ্ছ গ্রামের হামিদ হাওলাদারে ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৫)।সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় সরকারী গুচ্ছ গ্রামের একটি পরিতাক্ত জরার্জীন ঘরে পায়ে তালা বন্ধী রয়েছে যুবকটি।এ বিষয়ে স্থানীয় ফারুক বেপারী জানায় মানসিক প্রতি জসিম উদ্দিন এক সময় স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছিলো।হঠ্যৎ করে সে বিরুপ আচারণ শুরু করে দেয়।তাই পরিবাবের লোকজন তাকে ঐ ঘরের মধ্যে শিকল বন্ধী করে রাখছে।তারা আরো জানায় জসিমকে উন্নত চিকিৎসা করলে হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতো।অসহায় দিনমজুর মানসিক প্রতিবন্ধী জসিমের বাবা হামিদ হাওলাদার কান্না কন্ঠে বলেন আমার এই পাগল ছেলেটা নিয়ে চরম বিপদে আছি।আমি রোজগার করতে পারিনা,আমার বড় ছেলের আয় দিয়ে সংসার চলে।সরকারের দেওয়া আশ্রায়ন প্রকল্পে কোনো রকম জীবনযাপন করছি।ডাক্তাররা বলছে উন্নত চিকিৎসা করতে পারলে ছেলেটি ভালো হয়ে যাবে।খাগেরচর ইউপি সদস্য হামিম মাতুব্বর বলেন মানসিক প্রতিবন্ধী জসিম এক সময় একটি মসজিদের ইমাম ছিলো।বিয়ের পরে একটি সন্তান হওয়ার পরে জানতে পারি সে পাগল হয়ে গেছে।সেই থেকেই ছেলেটিকে গৃহবন্ধী করে রাখা হয়েছে। মেমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন জানায় মানসিক প্রতিবন্ধী সর্ম্পকে তিনি কিছুই জানেন না।সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানান আমার নিকট কেউ জানাননি।তবে আমি বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে সরকারীভাবে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করবো।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

হিজলায় শিকলে বন্ধী ১২ বছর ,অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না।

আপডেট টাইম : ০৬:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হিজলা প্রতিনিধি

 

বরিশালের হিজলা উপজেলায় মানসিক প্রতিবন্ধী এক যুবক ১২ বছর শিকলে বন্ধী রয়েছে।টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না তার পরিবার।যুবকটি উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের খাগেরচরের সরকারী গুচ্ছ গ্রামের হামিদ হাওলাদারে ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৫)।সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় সরকারী গুচ্ছ গ্রামের একটি পরিতাক্ত জরার্জীন ঘরে পায়ে তালা বন্ধী রয়েছে যুবকটি।এ বিষয়ে স্থানীয় ফারুক বেপারী জানায় মানসিক প্রতি জসিম উদ্দিন এক সময় স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছিলো।হঠ্যৎ করে সে বিরুপ আচারণ শুরু করে দেয়।তাই পরিবাবের লোকজন তাকে ঐ ঘরের মধ্যে শিকল বন্ধী করে রাখছে।তারা আরো জানায় জসিমকে উন্নত চিকিৎসা করলে হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতো।অসহায় দিনমজুর মানসিক প্রতিবন্ধী জসিমের বাবা হামিদ হাওলাদার কান্না কন্ঠে বলেন আমার এই পাগল ছেলেটা নিয়ে চরম বিপদে আছি।আমি রোজগার করতে পারিনা,আমার বড় ছেলের আয় দিয়ে সংসার চলে।সরকারের দেওয়া আশ্রায়ন প্রকল্পে কোনো রকম জীবনযাপন করছি।ডাক্তাররা বলছে উন্নত চিকিৎসা করতে পারলে ছেলেটি ভালো হয়ে যাবে।খাগেরচর ইউপি সদস্য হামিম মাতুব্বর বলেন মানসিক প্রতিবন্ধী জসিম এক সময় একটি মসজিদের ইমাম ছিলো।বিয়ের পরে একটি সন্তান হওয়ার পরে জানতে পারি সে পাগল হয়ে গেছে।সেই থেকেই ছেলেটিকে গৃহবন্ধী করে রাখা হয়েছে। মেমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন জানায় মানসিক প্রতিবন্ধী সর্ম্পকে তিনি কিছুই জানেন না।সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানান আমার নিকট কেউ জানাননি।তবে আমি বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে সরকারীভাবে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করবো।