নুরে আলম হাওলাদার
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নে এক কেন্দ্রে শত ভাগ ভোট ও কয়েকটি কেন্দ্রে জোর করা ফলাফলের কাগজে স্বাক্ষর ও নির্বাচন শুরুর প্রথম থেকে ই ভোটারদের বাধা প্রদান সহ কয়েকটি অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করে আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকাল ৪ টায় ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নিবার্চন চলাকালীন সময় কেন্দ্র প্রজাইডিং কর্মকতারা প্রথম থেকে ই আমার এজেন্টদের কে বিভিন্ন ভাবে ছোট করতেন। তাদের সাথে খারাপ ব্যহার করে। ভোট চলাকালীন সময় কয়কটি কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্ট দের বের করে দিয়েছে। এসময় প্রিজাইডিং কর্মক কোন ধরনের ব্যইস্থা নেন নি। বিশেষ করে ৩ নং দেওজুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমার এজেন্ট বের করে দেয়। এই কেন্দ্রে ভোট বক্স খোলা থেকে শুরু করে শেষ গননা পর্যন্ত আমার এজেন্টদের বের করে দেয়। তাদের কে কয়েকবার জোর করে ফলাফল সিটে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য কিন্তু তা তা দেয় নি। ওই কেন্দ্র ভোটার সংখ্যা ২২২৬ এবং ভোট গ্রহণের সংখ্যাও ২২২৬। আমার প্রশ্ন ওই কেন্দ্র মৃত ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১০০ জন এবং দেশের বাহিরে রয়েছে ৩০০ উপর। এছাড়া ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় রয়েছে প্রায় ২০০ জন ভোটার। তাহলে এই ভোটগুলো কে দিল। আমার জোর দাবী ৮ টি কেন্দ্রের পুনরায় ভোট গননা ও ৩ নং ওয়ার্ডে দেওজুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুনরায় ভোট গ্রহণের। এই ব্যপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার, জেলা নির্বাচন অফিসার, জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন বলে জানান আনারস প্রতিকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানা যায়, পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শরীয়তপুরে দলীয় প্রতিক ছাড়া জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নড়িয়ার ডিঙ্গামানিকে ৫ জন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। তারা হলেন চশমা প্রতিকের আব্দুল আজিজ সরদার, হাতপাখা প্রতিকের আমির হোসেন, আনারস প্রতিকে আনোয়ার হোসেন খান, মটরসাইকেল প্রতিকের নাসির উদ্দিন, ঘোড়া প্রতিকের মোঃ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী শান্ত। মোট ভোটার সংখ্যা ১৩৭৬৪। যার মধ্যে ৩ নং ওয়ার্ডের দেওজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২২২৬। এর মধ্যে পুরো শতভাগ ভোট গ্রহণ করা হয়।
৩ নং ওয়ার্ডের আনারস প্রতিকের কেন্দ্রের এজেন্ট মোঃ চুন্নু হাওলাদার বলেন, ভোট গ্রহণের শেষে আমাদের সবাইকে বের করে দেয়। আনারসের কোন এজেন্ট কে ভিতরে থাকতে দেয় নি। আমি কয়েকবার বলছিলাম ভিতরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু শুনে নাই। ফলাফল ঘোষণার আগে আমাকে বেশ কয়েকবার জোরা জোরি করে ফলাফলের কাগজে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমি তা দেই নি। পরে শুনি ওই কেন্দ্রের সব ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।
আইসিটির সহকারী প্রোগ্রামার ও দেওজুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ রমজান আলী ঢাকা পোস্ট কে বলেন, এটা আমার ভুলে হয়ে গেছে। আমি তো মানুষ। কি করবো ভাই। লিখতে ভুল হইছে। স্থানীয়রা যযদ তখন আমার ভুলটা ধরিয়ে দিত তাহলে সমাধান করতে পারতাম। আমি এই বিষয়ে ট্রেনিং পাই নি। নির্বাচনে কাজে আসতে চাই নি। কিন্তু আজ যখন আমি এটা শুনি আমার নিজের কাছে খারাপ লাগতেছে। আমি কিছু বলতে পারছি না। আপনার যা কিছু লেখার লিখে দেন।