ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

হিজলায় প্রশাসনের নেই নজর,নদী ভাঙ্গন অব্যাহত ।

হিজলা প্রতিনিধি

 

বরিশালের হিজলা উপজেলায় নদীভাঙ্গন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী।উপজেলার চার দিক জুড়ে আছে নদী বেষ্টিত্য হিজলা উপজেলা।উপজেলার ৩ দিকে রয়েছে বিশাল মেঘনা নদী অবস্থান।অপর দিকে রয়েছে মুলাদী উপজেলার পাশ্ববর্তি ইউনিয়ন গুয়াবাড়িয়া নয়া ভাঙ্গলী নদী।কয়েক বছর যাবৎ এ নদীটির দুপাড়ে বালু জমে ছোট হয়ে গিয়েছিলো।কিন্তু র্দীঘ ২ বছর যাবৎ নয়া ভাঙ্গলী নদীর উপর নজর পড়ে বালু খেকোদের।তারা রাতের অধারে বালু কেটে অন্যত্রে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।অপর দিকে অনেক পরিবার ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে নিঃস্ব হচ্ছে প্রতিদিন।এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসন কোনো ভ’মিকা পালন করছে না।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহতার চিত্র।নয়া ভাঙ্গলী নদী ভাঙ্গনের ফলে শুধু ঘরবাড়ি বিলীন হচ্ছে তা নয়।বিলীন হচ্ছে সরকারে সদ্য নির্মিত কাপিটিং রাস্তাটি একে ভারেই ভেঙ্গে গেছে।স্থানীয়রা জানায় নদী ভাঙ্গনের ফলে আমাদের ঘরবাড়ি সহ গুরুত্বর্পূন রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে।এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না জনপ্রতিনিধিরা বা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা হাচেন আলী সরদার ও ১০ম শ্রেণীর মাদরাসা ছাত্রী জান্নাত বলেন এই গুরুত্বর্পূ রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় আমাদের ভোগান্তি শিকার হতে হয়।আমাদের অনেক দুরের রাস্তা হয়েচলাচল করতে হচ্ছে।তারা বলেন অনেক আগেই প্রশাসন চাইলে রাস্তাটি রক্ষা করতে পারতো।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সাধারন সম্পাদক এডঃ আমিনুল ইসলাম স্বপন চৌধুরী জানায় নয়া ভাঙ্গলী নদীর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ওই এলাকার অনেক ক্ষতি হচ্ছে।আমি ওই এলাকার সাধারন জনগনকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দূষ্টি আকর্ষনের লক্ষে একটি মানববন্ধন করি।এবং উপজেলা পরিষদের সামনে মানবন্ধন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বারকলিপি প্রদান করি।তিনি আরো বলেন রাস্তাটির নদীর পাশে পাইলিং ব্যবস্থা করে কাপেটিং করলে রক্ষা হত।

গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজাহান তালুকদার অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে বেড়িবাধের রাস্তার ভাঙ্গার সত্যতা স্কীকার করেন।তিনি বলেন আমাদের স্থানীয় এম পি পংকজ নাথ বিষয়টি অবগত আছে।তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানায় নয়া ভাঙ্গলী নদীর রক্ষার দাবিতে একটি মানববন্ধন শেষে আমাকে স্বারকলিপি প্রদান করে।আমি স্বারকলিপি প্রেরন করি,কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ পাইনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

হিজলায় প্রশাসনের নেই নজর,নদী ভাঙ্গন অব্যাহত ।

আপডেট টাইম : ১১:১৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

হিজলা প্রতিনিধি

 

বরিশালের হিজলা উপজেলায় নদীভাঙ্গন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী।উপজেলার চার দিক জুড়ে আছে নদী বেষ্টিত্য হিজলা উপজেলা।উপজেলার ৩ দিকে রয়েছে বিশাল মেঘনা নদী অবস্থান।অপর দিকে রয়েছে মুলাদী উপজেলার পাশ্ববর্তি ইউনিয়ন গুয়াবাড়িয়া নয়া ভাঙ্গলী নদী।কয়েক বছর যাবৎ এ নদীটির দুপাড়ে বালু জমে ছোট হয়ে গিয়েছিলো।কিন্তু র্দীঘ ২ বছর যাবৎ নয়া ভাঙ্গলী নদীর উপর নজর পড়ে বালু খেকোদের।তারা রাতের অধারে বালু কেটে অন্যত্রে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।অপর দিকে অনেক পরিবার ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে নিঃস্ব হচ্ছে প্রতিদিন।এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসন কোনো ভ’মিকা পালন করছে না।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহতার চিত্র।নয়া ভাঙ্গলী নদী ভাঙ্গনের ফলে শুধু ঘরবাড়ি বিলীন হচ্ছে তা নয়।বিলীন হচ্ছে সরকারে সদ্য নির্মিত কাপিটিং রাস্তাটি একে ভারেই ভেঙ্গে গেছে।স্থানীয়রা জানায় নদী ভাঙ্গনের ফলে আমাদের ঘরবাড়ি সহ গুরুত্বর্পূন রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে।এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না জনপ্রতিনিধিরা বা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা হাচেন আলী সরদার ও ১০ম শ্রেণীর মাদরাসা ছাত্রী জান্নাত বলেন এই গুরুত্বর্পূ রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় আমাদের ভোগান্তি শিকার হতে হয়।আমাদের অনেক দুরের রাস্তা হয়েচলাচল করতে হচ্ছে।তারা বলেন অনেক আগেই প্রশাসন চাইলে রাস্তাটি রক্ষা করতে পারতো।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সাধারন সম্পাদক এডঃ আমিনুল ইসলাম স্বপন চৌধুরী জানায় নয়া ভাঙ্গলী নদীর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ওই এলাকার অনেক ক্ষতি হচ্ছে।আমি ওই এলাকার সাধারন জনগনকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দূষ্টি আকর্ষনের লক্ষে একটি মানববন্ধন করি।এবং উপজেলা পরিষদের সামনে মানবন্ধন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বারকলিপি প্রদান করি।তিনি আরো বলেন রাস্তাটির নদীর পাশে পাইলিং ব্যবস্থা করে কাপেটিং করলে রক্ষা হত।

গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজাহান তালুকদার অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে বেড়িবাধের রাস্তার ভাঙ্গার সত্যতা স্কীকার করেন।তিনি বলেন আমাদের স্থানীয় এম পি পংকজ নাথ বিষয়টি অবগত আছে।তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানায় নয়া ভাঙ্গলী নদীর রক্ষার দাবিতে একটি মানববন্ধন শেষে আমাকে স্বারকলিপি প্রদান করে।আমি স্বারকলিপি প্রেরন করি,কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ পাইনি।