ঢাকা ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মাদারীপুরের দিন মজুরকে কুপিয়ে হত্যার পর পা কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

মিজানুর রহমান খান, মাদারীপুর

 

মাদারীপুরের শিবচর থানায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জেরে পথরোধ করে দাদন চোকদার (৪০) নামের এক দিন মজুরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন দাদন চোকদারের বাম পা কেটে নিয়ে গেছে।পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিবচর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পূর্ব শ্যামাইল গ্রামের দিন মজুর দাদন চোকদারের সাথে প্রতিবেশী শাহআলম শেখের জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল।গত বছর উভয় পক্ষের সাথে সংর্ঘষের ঘটনাও ঘটে। ঘটনার কয়েকদিন আগে শাহ-আলম শেখের অনুসারী পটু ফকিরের একটি জমি নিয়ে দাদন চোকদারের সাথে আবারো বিরোধ হয়।এ নিয়ে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। মঙ্গলবার দুপুরে দাদন চোকদার শিবচর বাজার থেকে ইজিবাইকে বাড়ি ফিরছিল। ইজিবাইকটি সেলিম শেখের বাড়ির সামনে আসলে সেলিম শেখ, নজরুল শেখসহ ১৫-২০জনের একদল দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে। এসময় তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে দাদন চোকদারের সারা শরীরে এলোপাথারী কুপিয়ে দেহ থেকে তার বাম পা বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায়।স্থানীয়রা দাদনকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে বিকেলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে। সন্ধার দিকে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।স্থানীয় খালেক কাজী বলেন, ‘দাদন চোকদারের সাথে সেলিম শেখের আগে থেকেই জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে সেলিম শেখের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে সেলিম শেখ ও তার ছেলেরা মিলে দাদন চোকদারকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে বাম পা কেটে নিয়ে গেছে। তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’নিহতের স্ত্রী রূবি বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে সেলিম শেখ ও তার ছেলেরা মিলে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করে আমার স্বামীর এক পা কেটে নিয়ে গেছে। আমি এখন তিনটি ছোট ছোট মেয়ে নিয়ে কিভাবে বাঁচবো। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
শিবচর থানার ওসি জনাব মিরাজ হোসেন বলেন, ‘উভয় পক্ষের সাথে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। গত বছর উভয় পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলাও হয়েছিল। সে ঘটনায় দাদন নিজেও আসামী। সম্প্রতি একটি জমি ভোগ দখল নিয়ে বিরোধ আরো চাঙ্গা হয়।এ ঘটনার সূত্র ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এখন এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে’॥

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

মাদারীপুরের দিন মজুরকে কুপিয়ে হত্যার পর পা কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

আপডেট টাইম : ০১:১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১

মিজানুর রহমান খান, মাদারীপুর

 

মাদারীপুরের শিবচর থানায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জেরে পথরোধ করে দাদন চোকদার (৪০) নামের এক দিন মজুরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন দাদন চোকদারের বাম পা কেটে নিয়ে গেছে।পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিবচর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পূর্ব শ্যামাইল গ্রামের দিন মজুর দাদন চোকদারের সাথে প্রতিবেশী শাহআলম শেখের জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল।গত বছর উভয় পক্ষের সাথে সংর্ঘষের ঘটনাও ঘটে। ঘটনার কয়েকদিন আগে শাহ-আলম শেখের অনুসারী পটু ফকিরের একটি জমি নিয়ে দাদন চোকদারের সাথে আবারো বিরোধ হয়।এ নিয়ে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। মঙ্গলবার দুপুরে দাদন চোকদার শিবচর বাজার থেকে ইজিবাইকে বাড়ি ফিরছিল। ইজিবাইকটি সেলিম শেখের বাড়ির সামনে আসলে সেলিম শেখ, নজরুল শেখসহ ১৫-২০জনের একদল দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে। এসময় তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে দাদন চোকদারের সারা শরীরে এলোপাথারী কুপিয়ে দেহ থেকে তার বাম পা বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায়।স্থানীয়রা দাদনকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে বিকেলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে। সন্ধার দিকে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।স্থানীয় খালেক কাজী বলেন, ‘দাদন চোকদারের সাথে সেলিম শেখের আগে থেকেই জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে সেলিম শেখের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে সেলিম শেখ ও তার ছেলেরা মিলে দাদন চোকদারকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে বাম পা কেটে নিয়ে গেছে। তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’নিহতের স্ত্রী রূবি বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে সেলিম শেখ ও তার ছেলেরা মিলে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করে আমার স্বামীর এক পা কেটে নিয়ে গেছে। আমি এখন তিনটি ছোট ছোট মেয়ে নিয়ে কিভাবে বাঁচবো। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
শিবচর থানার ওসি জনাব মিরাজ হোসেন বলেন, ‘উভয় পক্ষের সাথে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। গত বছর উভয় পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলাও হয়েছিল। সে ঘটনায় দাদন নিজেও আসামী। সম্প্রতি একটি জমি ভোগ দখল নিয়ে বিরোধ আরো চাঙ্গা হয়।এ ঘটনার সূত্র ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এখন এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে’॥