শরীয়তপুর ডিবি পুলিশের (ওসি ) মোঃ সাইফুল আলম ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায় , শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন গাজী প্রতিপক্ষকে ফাসানোর জন্য নিজ দলের কর্মী মালত কান্দি গ্রামের দলিল উদ্দিন মীর বহরের ছেলে আলমগীর হোসেন মীর বহর(৩৬) কে পরিকল্পিত ভাবে নিজের লোক দিয়ে ধওে নিয়ে গুলি কওে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে ।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জাহাঙ্গীর মীর বহর বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ৫৪ জনকে আসামী কওে নড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিল। মামলা টি পওে ডিবি পুলিশের কাচে হস্তান্তর করা হয়। এর পর ডিবি পুলিশ মোবাইল কল রেকর্ডেও সুত্র ধরে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন গাজী (৫৫), রাজনগর ইউনিয়ন পরিষদেও মেম্বার জয়নাল মাদবর (৫৫), একই রাতে রাজ নগর এলাকা থেকে শহীদুল ইসলাম মীর বহর(৫০),সাজ্জাদ সরদার (৪০ কে গ্রেফতার করে । তাদেও কে কোট হাজতে প্রেরন করাে হয়েছে। এদও মধ্যে শহীদুল ইসলাম মীর বহর(৫০),সাজ্জাদ সরদার (৪০ ) দুই জন কে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
শরীয়তপুর ডিবি পুলিশের (ওসি ) মোঃ সাইফুল আলম আরো জানান , গত ২৮ আগষ্ট শনিবার রাতে রাজনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন গাজী প্রতিপক্ষকে ফাসানোর জন্য তার নিজ দলের কর্মী আলমগীর হোসন মীর বহর কে তার চাচাতো মামা দেলোয়ার হোসেনের মাধ্যমে ডেকে নেয়। এর পর তাকে জাজিরা উপজেলা সদরের মফিজুল ইসলাম মাদবরের বাড়ীতে নিয়ে মিটিং করে। সে মিটিংএ বলা হয় প্রতিপক্ষের উপর হামলা করা হবে । রাত একটার দিকে মামা দেলোয়র হোসেন সহ কয়েক জন মিলে তাকে নিয়ে যায় একই উপজেলার জাম তলা এলাকার আবু সিদ্দিকের বাড়ীতে । ভোর রাত চারটার দিকে নড়িয়া উপজেলার রাজনগর বাজারের পশ্চিম পার্ম্বে ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে আলমগীর মীর বহরের হাতে একটি টেটা দেয়। এবং প্রতিপক্ষ আসবে বলে তাকে সামনের দিকে তাক করায়। এর পর চেয়ারশ্যানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন সহ অন্যরা এলাকায় বোমার বিস্ফোরন ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। এর পর পিছন থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী চেয়ারম্যানের ভাতিজা জনি গাজী ও সম্রাট গাজী পিছন থেকে পাজরের নিচে একাদিক গুলি করে । এত সে পওে যায়। এরপর তারা আলমগীর মীরবহরের গায়ে একাধিক বোমা ছোড়ে ।
এর পর মারাতন্ক আহত অবস্থায় আলমগীর মীর বহর কে শরীয়তপুর সদও হাসপাতালে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ভ্যানে তোলে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। এ মর্মে গ্রেফতার কৃতরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।তাদেও মধ্যে দুই জনকে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দী রেকডের জন্য আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
গত ২৮ আগষ্ট শনিবার রাতে মালত কান্দি এলাকার দলিল উদ্দিন মীর বহর এর ছেলে আলমগীর মীর বহর এর চাচাতো মামা দেলোয়ার হোসেন মীর বহর স্থানীয় আন্দার মানিক বাজারে চা খাওয়ার কথা বলে ডেকে নেয়। এরপর সে নিখোজ হয় । পর দিন রোববার সকালে রাজ নগর ইউনিয়নের আন্দার মানিক বাজারের পশ্চিম পাশের্^ রাজ নগর ভুমি অফিসের সামনে রাস্তায় তার লাশ গুলিবৃদ্ধ ও কোপানো অবস্তায় পাওয়া যায়।