ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

হিজলায় চরের খাস জমি দখল নিয়ে আধিপত্য

হিজলা প্রতিনিধি

 
বরিশালের হিজলা উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের সরকারী খাস জমি নিয়ে ভাগাভাগী ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রæপিং তুঙ্গে, অসহায় হয়ে পড়েছে দুস্থ চাষাবাদ করা কৃষকেরা।
জানাযায় উপজেলার হিজলা গৌরবদী ইউনিয়নের জানপুর, বিশকাঠালী, কেউরিয়া সহ বিভিন্ন মৌজায় খাস জমি রয়েছে হাজার হাজার একর। সেখানে যখন যার ক্ষমতা থাকে তখন তাদের দখলে চলে যায় খাস জমি তাদের দখলে। এতে চরাঞ্চলের অসহায় কৃষকরা শোষিত হয় ভূমি দস্যুদের হাতে।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বিশিষ্ট সমাজসেবক ও দানবীর শেখ জালাল আহাম্মেদ তার পৈতিক সম্পত্তি থেকে ৮ টি ভূমিহীন পরিবারকে ১২ শতাংশ করে ৯৬ শতাংশ জমি দান করেন বসবাস করার জন্য। ওই জমিতে অসহায় কৃষকরা ১ বছর যাবত ঘর নির্মান করে শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করে আসছে। এখন তাদেরকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে ক্ষমতাসীন ভূমিদস্যুরা। উেেচ্ছদের বিষয় শেখ জালাল আহাম্মেদের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় বসবাস করি, আমি যখন আমাদের চরাঞ্চলের পৈতিক সম্পত্তি দেখতে আসি তখন দেখতে পাই নদী ভাঙ্গা কবলিত অনেকেই খুব অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে তখন তাদেরকে মাথা গোজার জন্য জমি দান করে ঘরবাড়ি নির্মান করে থাকতে দেই।এবং আমার জমি চাষাবাদ করতে বলি।এই অঞ্চলে কোন মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই তাই স্ব উদ্যোগে আমি একটি মসজিদ, একটি মাদ্রাসা ও একটি স্কুল করার পরিকল্পনা করি। তখন থেকেই ভ’মিদস্যুরা আমার উপরে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়।

শেখ জালাল আহম্মেদ আরো জানায় তার পৈতিক জমি অসহায় কৃষকদের দান করে পরেছে চরম বিপাকে। তাকে বিভিন্ন ভাবে ভূমিদস্যু খায়ের মৃধা ও রিপন খান সহ তাদের ক্যডার বাহিনীরা বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছে। সেজন্য তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বরিশাল ডিআইজি সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তবে লিখিত আবেদন করেছে।

সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিগত দিনে একটি প্রভাবশালী মহলের নির্দেশে মৃত: আব্দুর রহমান চোকদারের নেতৃত্বে ঐ অঞ্চলের খাস জমি ভোগ দখল করেছে।
আবদুর রহমান চোকদারের মৃত্যুর পর সেই খাস জমিগুলো ভোগদখল ও আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে বিভিন্ন গ্রæপ চরাঞ্চলের সাধারন কৃষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

মেমানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল খায়ের মৃধার নির্দেশেই লতিফ হাওলাদার, কালাম মেলকার, ও খালেক গাজী সহ আরো কয়েকজন জমি লিজ দিয়ে একর প্রতি ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি।

এভাবেই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রিপন খান এর নির্দেশে রফিক লাটিয়াল (নোয়াখালী) সহ কয়েকজন চরাঞ্চলের সাধারন কৃষকদের উপর হামলা মারধর ও হুমকি দিয়ে সরকারের হাজার হাজার একর খাস জমি দখল করে নিয়েছে। ্ওই জমির উপর অগ্রিম খাজনা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
চরাঞ্চলের নির্যাতিত কৃষক সেন্টু হাওলাদার, আলাউদ্দিন মাঝি, ইব্রাহিম সরদার, রাজ্জাক নপ্তী, ইয়ামিন সরদার, আনজু জমদ্দার, সহ অনেক ব্যক্তি অভিযোগ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।তারা খায়ের মৃধা ও রিপন খানের নিধারিত ক্যডার বাহিনীর হাতে সময় মতো টাকা দিতে না পারলে প্রতিদিনই তারা আমাদের নির্যাতন করে আসছে । তারা আরো জানায় আজ আপনাদের কাছে অভিযোগ দিয়ে কাল হয়তো এই চরে আর থাকতে পারব না, আমরা আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই।

উল্লেখিত বিষয়ে আবুল খায়ের মৃধার সাথে আলাপকালে তিনি জানান জানপুর মৌজায় আমার ২৫ একর জমি ক্রয় করা আছে। আমি এর বেশি ভোগ দখল করি না।তিনি খাস জমি দখল ও দুস্ত কৃষকদের নির্যাতনের বিষয়টি অস্কীকার করেন।

হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসিম কুমার সিকদার বলেন আমি কিছুদিন পূর্বে সেখানে গিয়েছিলাম খাস জমি নিয়ে দ্বন্ধ নিরসনে।সেখানে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক রিপন খানের ১৪ একর জমি রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানায় ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

হিজলায় চরের খাস জমি দখল নিয়ে আধিপত্য

আপডেট টাইম : ০৫:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১

হিজলা প্রতিনিধি

 
বরিশালের হিজলা উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের সরকারী খাস জমি নিয়ে ভাগাভাগী ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রæপিং তুঙ্গে, অসহায় হয়ে পড়েছে দুস্থ চাষাবাদ করা কৃষকেরা।
জানাযায় উপজেলার হিজলা গৌরবদী ইউনিয়নের জানপুর, বিশকাঠালী, কেউরিয়া সহ বিভিন্ন মৌজায় খাস জমি রয়েছে হাজার হাজার একর। সেখানে যখন যার ক্ষমতা থাকে তখন তাদের দখলে চলে যায় খাস জমি তাদের দখলে। এতে চরাঞ্চলের অসহায় কৃষকরা শোষিত হয় ভূমি দস্যুদের হাতে।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বিশিষ্ট সমাজসেবক ও দানবীর শেখ জালাল আহাম্মেদ তার পৈতিক সম্পত্তি থেকে ৮ টি ভূমিহীন পরিবারকে ১২ শতাংশ করে ৯৬ শতাংশ জমি দান করেন বসবাস করার জন্য। ওই জমিতে অসহায় কৃষকরা ১ বছর যাবত ঘর নির্মান করে শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করে আসছে। এখন তাদেরকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে ক্ষমতাসীন ভূমিদস্যুরা। উেেচ্ছদের বিষয় শেখ জালাল আহাম্মেদের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় বসবাস করি, আমি যখন আমাদের চরাঞ্চলের পৈতিক সম্পত্তি দেখতে আসি তখন দেখতে পাই নদী ভাঙ্গা কবলিত অনেকেই খুব অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে তখন তাদেরকে মাথা গোজার জন্য জমি দান করে ঘরবাড়ি নির্মান করে থাকতে দেই।এবং আমার জমি চাষাবাদ করতে বলি।এই অঞ্চলে কোন মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই তাই স্ব উদ্যোগে আমি একটি মসজিদ, একটি মাদ্রাসা ও একটি স্কুল করার পরিকল্পনা করি। তখন থেকেই ভ’মিদস্যুরা আমার উপরে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়।

শেখ জালাল আহম্মেদ আরো জানায় তার পৈতিক জমি অসহায় কৃষকদের দান করে পরেছে চরম বিপাকে। তাকে বিভিন্ন ভাবে ভূমিদস্যু খায়ের মৃধা ও রিপন খান সহ তাদের ক্যডার বাহিনীরা বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছে। সেজন্য তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বরিশাল ডিআইজি সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তবে লিখিত আবেদন করেছে।

সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিগত দিনে একটি প্রভাবশালী মহলের নির্দেশে মৃত: আব্দুর রহমান চোকদারের নেতৃত্বে ঐ অঞ্চলের খাস জমি ভোগ দখল করেছে।
আবদুর রহমান চোকদারের মৃত্যুর পর সেই খাস জমিগুলো ভোগদখল ও আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে বিভিন্ন গ্রæপ চরাঞ্চলের সাধারন কৃষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

মেমানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল খায়ের মৃধার নির্দেশেই লতিফ হাওলাদার, কালাম মেলকার, ও খালেক গাজী সহ আরো কয়েকজন জমি লিজ দিয়ে একর প্রতি ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি।

এভাবেই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রিপন খান এর নির্দেশে রফিক লাটিয়াল (নোয়াখালী) সহ কয়েকজন চরাঞ্চলের সাধারন কৃষকদের উপর হামলা মারধর ও হুমকি দিয়ে সরকারের হাজার হাজার একর খাস জমি দখল করে নিয়েছে। ্ওই জমির উপর অগ্রিম খাজনা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
চরাঞ্চলের নির্যাতিত কৃষক সেন্টু হাওলাদার, আলাউদ্দিন মাঝি, ইব্রাহিম সরদার, রাজ্জাক নপ্তী, ইয়ামিন সরদার, আনজু জমদ্দার, সহ অনেক ব্যক্তি অভিযোগ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।তারা খায়ের মৃধা ও রিপন খানের নিধারিত ক্যডার বাহিনীর হাতে সময় মতো টাকা দিতে না পারলে প্রতিদিনই তারা আমাদের নির্যাতন করে আসছে । তারা আরো জানায় আজ আপনাদের কাছে অভিযোগ দিয়ে কাল হয়তো এই চরে আর থাকতে পারব না, আমরা আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই।

উল্লেখিত বিষয়ে আবুল খায়ের মৃধার সাথে আলাপকালে তিনি জানান জানপুর মৌজায় আমার ২৫ একর জমি ক্রয় করা আছে। আমি এর বেশি ভোগ দখল করি না।তিনি খাস জমি দখল ও দুস্ত কৃষকদের নির্যাতনের বিষয়টি অস্কীকার করেন।

হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসিম কুমার সিকদার বলেন আমি কিছুদিন পূর্বে সেখানে গিয়েছিলাম খাস জমি নিয়ে দ্বন্ধ নিরসনে।সেখানে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক রিপন খানের ১৪ একর জমি রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানায় ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।