ঢাকা ১০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

একাধিক মামলার আসামি দুলালের খুঁটিরজোর কোথায়?

মনির হোসেন, ঝালকাঠি
দুলাল মানেই  একটি আতংকিত নাম হয়ে উঠেছে।  ঝালকাঠি জেলার গালুয়া ইউনিয়নের আঃ লতিফ খানের ছেলে দুলাল। রাজাপুর, ভান্ডারিয়া, ঝালকাঠি সহ একাধিক মামলার আসামি এই দুলাল। পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়েই সঙ্ঘবদ্ধ নিয়ে  বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই দুলাল!
নিজ এলাকার সাধারন ছেচরা-চুরি থেকে শুরু করে আজ তিনি অপরাধ চক্রের যোগানদাতা ও গ্যাংস্টার দুলাল। রাজধানীর ঢাকার খিলগাঁও এলাকার তার মামা আবুল কালাম আজাদের ছত্রছয়ায় থেকেই ভাগ্নে দুলালের অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটে। মামা আজাদের আসল নাম তোকছের। একই এলাকার দিনমজুরি মৃত্যু আব্দুলের ছেলে তোকছের ১৯৮১ইং সালে তার গ্রাম থেকে সুপারী চুরির দায়ে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে ঢাকায় চলে আসে এবং তার ভাগ্য বদলে যায়। এখন তিনি রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় গাড়ীও বাড়ির মালিক। সে কারনে সবাই তাকে আবুল কালাম আজাদ সাহেব বলে চিনে ও জানে। এই মামার ছত্রছায়ায় থাকা ভাগ্নের সহযোগী হিসেবে  কাজ করেন তার আপন ভাই  রুসতুম আলী এবং খালাত ভাই রেদয়ান, এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয়রা। এখানেই শেষ নয়, দুলালের বড় ছেলে আসাদুল এর বিরুদ্ধে ইভটিজিং মামলা রয়েছে এবং এই মামলার বাদী ছিলেন উপজেলা থানা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই। দুলাল ও তার ভাই রুস্তম খানের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরি, হাতুড়ি দিয়ে মানুষ পেটানোর ও আগুন দিয়ে ঘর পোড়ানো মামলা র‍য়েছে।
তাদের মামলা সমূহঃ
১| রাজাপুর থানার মামলা নং-১, তারিখ-০১/০৫/১৭;জি আর নং-৫৩/১৭, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬(২) পেনাল কোড,
২| রাজাপুর থানার মামলা নং-০১, তারিখ-০১/০১/০৯; ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড,
৩| রাজাপুর থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-১৫/১২/০৮; ধারা-১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩৭৯/৩৮০/৩৮৫/৫০৬ পেনাল কোড,
৪| রাজাপুর থানার মামলা নং-১১, তারিখ-২১/১০/১১; ধারা-৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩৭৯/৩৮০/৫০৬ পেনাল কোড,
৫| রাজাপুর থানার জি আর নং-৬৯/০৫,ধারা-১৪৩/৩৪২/৩৮৭/৩৭৯ পেনাল কোড
৬| রাজাপুর থানার মামলা নং-১৯, তারিখ-২৮/০৫/১৮;জি আর নং-৮৯/১৮, ধারা-১৯(১)এর ৭(ক) ১৯৯০সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন,
৭রাজাপুর থানার মামলা নং-৬, তারিখ-০৬/০১/১৮; জি আর নং-৬/১৮; ধারা-১৯(১)এর ৭(ক)/২৫ ১৯৯০সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন;
৮| রাজাপুর থানার মামলা নং-১০, তারিখ-২৩/১২/২০১৫ জি আর-১৮২/১৮,ধারা-১৯(১)এর ৯(ক) ১৯৯০সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন,
৯| রাজাপুর থানার মামলা নং-০৩, তারিখ-০৭/০২/২০২০; জি আর নং-২৪/২০২০;ধারা-৩৬(১)এর ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন,২০১৮;
১০| রাজাপুর থানার মামলা নং-২,তারিখ-০২/০২/১৯;ধারা-৩৬(১)এর ১৯(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮;
১১| পিরোজপুর ভান্ডারিয়া থানার মামলা নং-০১ জি আর নং-১৫১/১৪(ভান্ডারিয়া),ধারা-১৯(১)এর ৯(খ)/১৯ (৪)/২৫ ১৯৯০সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর এজাহার ভুক্ত মামলার আসামী।
দুলাল বর্তমানে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। মাঝে মাঝে তাকে হঠাৎ করে এলাকায় দেখা যায়। ৫/৭ দিন আগে রাত আনুমানিক ১১ঃ০০ ঘটিকার সময় দুলালকে নিজ গ্রামে দেখা যায়। একটি ফোন আসার সাথে সাথে দুলাল উধাও। মুহুর্তের মধ্যে দুলাল গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপন করেন।  দুলালকে দেখলেই  হঠাৎ লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করে, কখন কি হয়, আবার কি অঘটন ঘটাবে। স্থানীয় জনগণ দুলালকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

একাধিক মামলার আসামি দুলালের খুঁটিরজোর কোথায়?

আপডেট টাইম : ০৮:২৫:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
মনির হোসেন, ঝালকাঠি
দুলাল মানেই  একটি আতংকিত নাম হয়ে উঠেছে।  ঝালকাঠি জেলার গালুয়া ইউনিয়নের আঃ লতিফ খানের ছেলে দুলাল। রাজাপুর, ভান্ডারিয়া, ঝালকাঠি সহ একাধিক মামলার আসামি এই দুলাল। পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়েই সঙ্ঘবদ্ধ নিয়ে  বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই দুলাল!
নিজ এলাকার সাধারন ছেচরা-চুরি থেকে শুরু করে আজ তিনি অপরাধ চক্রের যোগানদাতা ও গ্যাংস্টার দুলাল। রাজধানীর ঢাকার খিলগাঁও এলাকার তার মামা আবুল কালাম আজাদের ছত্রছয়ায় থেকেই ভাগ্নে দুলালের অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটে। মামা আজাদের আসল নাম তোকছের। একই এলাকার দিনমজুরি মৃত্যু আব্দুলের ছেলে তোকছের ১৯৮১ইং সালে তার গ্রাম থেকে সুপারী চুরির দায়ে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে ঢাকায় চলে আসে এবং তার ভাগ্য বদলে যায়। এখন তিনি রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় গাড়ীও বাড়ির মালিক। সে কারনে সবাই তাকে আবুল কালাম আজাদ সাহেব বলে চিনে ও জানে। এই মামার ছত্রছায়ায় থাকা ভাগ্নের সহযোগী হিসেবে  কাজ করেন তার আপন ভাই  রুসতুম আলী এবং খালাত ভাই রেদয়ান, এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয়রা। এখানেই শেষ নয়, দুলালের বড় ছেলে আসাদুল এর বিরুদ্ধে ইভটিজিং মামলা রয়েছে এবং এই মামলার বাদী ছিলেন উপজেলা থানা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই। দুলাল ও তার ভাই রুস্তম খানের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরি, হাতুড়ি দিয়ে মানুষ পেটানোর ও আগুন দিয়ে ঘর পোড়ানো মামলা র‍য়েছে।
তাদের মামলা সমূহঃ
১| রাজাপুর থানার মামলা নং-১, তারিখ-০১/০৫/১৭;জি আর নং-৫৩/১৭, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬(২) পেনাল কোড,
২| রাজাপুর থানার মামলা নং-০১, তারিখ-০১/০১/০৯; ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড,
৩| রাজাপুর থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-১৫/১২/০৮; ধারা-১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩৭৯/৩৮০/৩৮৫/৫০৬ পেনাল কোড,
৪| রাজাপুর থানার মামলা নং-১১, তারিখ-২১/১০/১১; ধারা-৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩৭৯/৩৮০/৫০৬ পেনাল কোড,
৫| রাজাপুর থানার জি আর নং-৬৯/০৫,ধারা-১৪৩/৩৪২/৩৮৭/৩৭৯ পেনাল কোড
৬| রাজাপুর থানার মামলা নং-১৯, তারিখ-২৮/০৫/১৮;জি আর নং-৮৯/১৮, ধারা-১৯(১)এর ৭(ক) ১৯৯০সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন,
৭রাজাপুর থানার মামলা নং-৬, তারিখ-০৬/০১/১৮; জি আর নং-৬/১৮; ধারা-১৯(১)এর ৭(ক)/২৫ ১৯৯০সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন;
৮| রাজাপুর থানার মামলা নং-১০, তারিখ-২৩/১২/২০১৫ জি আর-১৮২/১৮,ধারা-১৯(১)এর ৯(ক) ১৯৯০সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন,
৯| রাজাপুর থানার মামলা নং-০৩, তারিখ-০৭/০২/২০২০; জি আর নং-২৪/২০২০;ধারা-৩৬(১)এর ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন,২০১৮;
১০| রাজাপুর থানার মামলা নং-২,তারিখ-০২/০২/১৯;ধারা-৩৬(১)এর ১৯(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮;
১১| পিরোজপুর ভান্ডারিয়া থানার মামলা নং-০১ জি আর নং-১৫১/১৪(ভান্ডারিয়া),ধারা-১৯(১)এর ৯(খ)/১৯ (৪)/২৫ ১৯৯০সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর এজাহার ভুক্ত মামলার আসামী।
দুলাল বর্তমানে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। মাঝে মাঝে তাকে হঠাৎ করে এলাকায় দেখা যায়। ৫/৭ দিন আগে রাত আনুমানিক ১১ঃ০০ ঘটিকার সময় দুলালকে নিজ গ্রামে দেখা যায়। একটি ফোন আসার সাথে সাথে দুলাল উধাও। মুহুর্তের মধ্যে দুলাল গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপন করেন।  দুলালকে দেখলেই  হঠাৎ লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করে, কখন কি হয়, আবার কি অঘটন ঘটাবে। স্থানীয় জনগণ দুলালকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।