শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চরসেনসাস ইউনিয়নের চরফিলিজ হাওলাদার কান্দি গ্রাম থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। এ সময় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাসিত সাত্তার, গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোয়েব আলীসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোয়েব আলী বলেন, আদালতের নির্দেশে ১৪ আগস্ট থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। শুক্রবার সকালে নুর মোহাম্মদের লাশ উত্তোলন করা হয়। উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ১১ আগস্ট নিহত নুর মোহাম্মদ খালাসীর বাবা সিডু খালাসী শরীয়তপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে একটি পিটিশন মামলা করলে বিচারক ২০ আগস্টের মধ্যে মরদেহ উত্তোলনসহ প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার আরশিনগর টেকের বাজার ঘাট থেকে নুর মোহাম্মদ খালাসী বিয়ের বরযাত্রী নিয়ে ট্রলার যোগে গোসাইরহাট উপজেলার গাছচর এলাকায় যাচ্ছিলেন। মাঝের চর পৌঁছলে নদীর চরে ট্রলার ঠেকে যায়। তখন নুর মোহাম্মদ বর পক্ষের লোকজনকে ট্রলার থেকে নামতে বলেন। বর পক্ষের লোকজন নামতে অসম্মতি জানালে নুর মোহাম্মদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বর পক্ষের চরফিলিজ এলাকার ওয়ালিদ মাদবর (৩৫), শহিদুল্লাহ মোল্লা (৪৫), শুকুর আলী মালতসহ (৪৮) বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান (তখন দুপুর আড়াইটা)। কিন্তু হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে তড়িঘড়ি করে ২ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় ওয়ালিদ মাদবর, শহিদুল্লাহ মোল্লা, শুকুর আলী মালতসহ ১০ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে নিহত নুর মোহাম্মদের বাবা সিডু খালাসী শরীয়তপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা করেন।
নিহত নুর মোহাম্মদ খালাসীর স্ত্রী খোরশেদা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে ওয়ালিদ মাদবর, শহিদুল্লাহ মোল্লা, শুকুর আলী মালতরা। পরে তারা বলে আমার স্বামী নাকি হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তারা মিথ্যা বলেছেন। আমি এ হত্যার বিচার চাই।