হিজলা প্রতিনিধি, বরিশাল
বরিশালের হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর মৌজার বর্ডারে সেচিব মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মসজিদ মাদরাসার জমি দখল করেছে স্থানীয় এলাকার প্রবাবশালীরা।এ ঘটনায় প্রভাবশালীদের ভয়ে মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ করে দিয়েছে এলাকার সাধারন মুসল্লি।মুসল্লিদের অভিযোগ যেখানে একটি মসজিদের জমি জোর করে দখল করে নিয়ে যায়।আমরা তার প্রতিবাদ করতে ব্যথ হই তাই সিধান্ত নিয়েছি এ মসজিদের আর নামাজ পরবো না।মসজিদের জমি দখলকারী এ অসাধু চক্রটি র্দীঘদিন যাবৎ তাদের এ দখলের চেষ্ঠা অব্যাহত রাখেন।গত ২০১৫ সালে বিপ্লব ধুপি গংরা হিজলা মেহেন্দীগঞ্জের এম পি পংকজ নাথের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।সেখানে উল্লেখ করেন আঃ রহমান কাজী ,আক্তার হোসেন, কাজী রুবেল সিকদার,শহিদ সিকদার,ফারুক,জাকির হোসেন সহ কয়েকজন তাদের পূর্ব পুরুষদের নামে এস ,এ রের্কড ও ভিপি তালিকাভুক্ত জমি জোড় পূর্বক ভোগদখলের চেষ্ঠা করে।গত ২০১৬ সালে মসজিদের এ জমি দখলের চেষ্ঠা করে এ প্রভাবশালী চক্রটি।তখন মসজিদ কমিটি তৎকালীন হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কতা কানিজ ফাতেমা তানিয়াকে অবহিত করেন।তখন নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলার ৭৩ নং ভারুয়া মৌজার এস,এ ৩৪,৫০,১০৭ নং খতিয়ানের ১৬,১৮,২৪,৩১,৩৩,৩৮,৮৬,১৫,৪০,২১,৩৬,৬৩ নং দাগের জমির মধ্যে ৯.৯৯ একর জমি ভিপি ‘ক‘ তফসিল ভুক্ত হওয়ায় একটি আদেশ জারি করেন। উক্ত জমি নিয়ে মহামান্য আদালতে মামলা চলমান থাকায় ভিপি ক তফসিল ভুক্ত জমিতে অবৈধ ভাবে দোকানঘর উত্তোলন করা সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করে।মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক আবদুল করিম জানায় গত ৬ই আগষ্ট রাতের অন্ধকারে আলম সিকদারের ছেলে রুবেল সিকদার,হাবিবুর রহমান চৌকিদারের ছেলে ফারুক তাদের লোকজন নিয়ে জোড়পূর্বক মসজিদের জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মান করে।এর আগে একাধিকবার দখলের চেষ্ঠা করে ব্যথ হয়।ভারুইয়া মৌজার জমি দাবিদার আবদুর রহমান কাজী বলেন আমার পূর্বপুরুষরা এ জমি ভোগদখল করছে।বর্তমানে এ সম্পত্তি ভিপি “ক“ তফসিল ভুক্ত হওয়ায় আদালতে মামলা করি।আদালত এখনো আমাকে রায় দেয়নি।