ঢাকা ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আমাদের কন্ঠের সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যাহত

মোঃরিফাত ইসলাম, ফরিদপুর
 ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা: মহসিন উদ্দিন এখনও বহাল তবিয়তে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন তার বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদের তদন্ত শুরু না হলেও সাংবাদিকের নামে দায়ের করেছেন আইসিটি আইনে মামলা।
দৈনিক আমাদের কন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার শহিদুল ইসলামসহ আরও তিনজন সাংবাদিকের নামে করা হয়েছে দুটি আইসিটি মামলা। একটি মামলার বাদী ডা: মহসিন ও অপরটির বাদী হলেন রফিকুজ্জামান রফিক নামের একজন ব্যাক্তি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানোসহ অবিলম্বে আমাদের কন্ঠের সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম কে মুক্তি দেয়ার জোরালো দাবি জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলার সাংবাদিক নেতারা।
তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনস্থা করায় সারা দেশের সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক কল্যাণ ইউনিয়ন বসকোর সভাপতি হাসান আল মামুন বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সাংবাদিক সমাজকে দেয়া কথা থেকে সরে এসেছে। সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা সে সময় বলেছিলেন, এ আইন সাংবাদিকদের ওপর প্রয়োগ করা হবে না।
তারা নির্বিঘ্নে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের চিত্র তুলে ধরতে পারবেন। কিন্তু আমাদের কন্ঠের সাংবাদিককে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সেটি ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
এখন দেখা যাচ্ছে, একজন ডাক্তারের দুর্নীতির খবরও প্রকাশ করা যাবে না। প্রকান্তরে গণমাধ্যমকে সে বার্তাই দেয়া হচ্ছে। তারা বলেন, বাস্তবে যদি এমন আশঙ্কা সত্য হয় তাহলে তা হবে পুরো জাতির জন্য দুর্ভাগ্য। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার হতে হবে। সাংবাদিক নেতারা এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা পৌর শহরের তার বাসা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ তাকে আটক করেন। তার পরিবার দাবি করেন, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বিকাশ প্রতারক ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুর্নীতি নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। এরপর থেকেই
ষড়যন্ত্র করে দুটি আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ঢাকা, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা জানান। পুলিশি হয়রানি বন্ধে তারা জোরালো দাবি জানান।
ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগসহ কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা। হয়রানি বন্ধসহ শহিদুল ইসলামকে মুক্তি ও পুরো বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান তারা।
বসকোর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তি দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ বনেকের সভাপতি খায়রুল আলম রফিক পৃথক বিবৃতিতে সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করেছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

আমাদের কন্ঠের সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যাহত

আপডেট টাইম : ০৬:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১
মোঃরিফাত ইসলাম, ফরিদপুর
 ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা: মহসিন উদ্দিন এখনও বহাল তবিয়তে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন তার বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদের তদন্ত শুরু না হলেও সাংবাদিকের নামে দায়ের করেছেন আইসিটি আইনে মামলা।
দৈনিক আমাদের কন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার শহিদুল ইসলামসহ আরও তিনজন সাংবাদিকের নামে করা হয়েছে দুটি আইসিটি মামলা। একটি মামলার বাদী ডা: মহসিন ও অপরটির বাদী হলেন রফিকুজ্জামান রফিক নামের একজন ব্যাক্তি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানোসহ অবিলম্বে আমাদের কন্ঠের সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম কে মুক্তি দেয়ার জোরালো দাবি জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলার সাংবাদিক নেতারা।
তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনস্থা করায় সারা দেশের সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক কল্যাণ ইউনিয়ন বসকোর সভাপতি হাসান আল মামুন বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সাংবাদিক সমাজকে দেয়া কথা থেকে সরে এসেছে। সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা সে সময় বলেছিলেন, এ আইন সাংবাদিকদের ওপর প্রয়োগ করা হবে না।
তারা নির্বিঘ্নে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের চিত্র তুলে ধরতে পারবেন। কিন্তু আমাদের কন্ঠের সাংবাদিককে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সেটি ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
এখন দেখা যাচ্ছে, একজন ডাক্তারের দুর্নীতির খবরও প্রকাশ করা যাবে না। প্রকান্তরে গণমাধ্যমকে সে বার্তাই দেয়া হচ্ছে। তারা বলেন, বাস্তবে যদি এমন আশঙ্কা সত্য হয় তাহলে তা হবে পুরো জাতির জন্য দুর্ভাগ্য। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার হতে হবে। সাংবাদিক নেতারা এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা পৌর শহরের তার বাসা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ তাকে আটক করেন। তার পরিবার দাবি করেন, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বিকাশ প্রতারক ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুর্নীতি নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। এরপর থেকেই
ষড়যন্ত্র করে দুটি আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ঢাকা, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা জানান। পুলিশি হয়রানি বন্ধে তারা জোরালো দাবি জানান।
ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগসহ কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা। হয়রানি বন্ধসহ শহিদুল ইসলামকে মুক্তি ও পুরো বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান তারা।
বসকোর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তি দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ বনেকের সভাপতি খায়রুল আলম রফিক পৃথক বিবৃতিতে সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করেছেন।