ইসহাক জুয়েল, বরগুনা
দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের আজ ৬ষ্ঠ দিন। বরগুনায় কঠোর লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে ঘরের বাইরে আসা ও হাট-বাজারমুখী মানুষকে ঘরমুখো করতে আষাঢ়ের বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মোতায়েনকৃত বিজেপি সদস্য, নৌ-বাহিনী সদস্য, র্যাব সদস্য ও জেলা ও উপজেলা আনসার ভিডিপি সদস্যগণ।
গত ১লা জুলাই ২০২১ এর মধ্য রাত থেকেই সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী সারা বাংলাদেশের ন্যায় বরগুনায়ও কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে মাঠে রয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মোতায়েনকৃত বিজেপি সদস্য, নৌ-বাহিনী সদস্য, র্যাব সদস্য ও জেলা ও উপজেলা আনসার ভিডিপি সদস্যগণ। গত ১লা জুলাই মধ্য রাত থেকেই বরগুনা জেলার সকল উপজেলায় পণ্য পরিবহন ও রিক্সা ব্যতিত সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দোকান, শাক-সবজি, মাছ মাংস, ঔষধের দোকান ব্যাতিত অন্য সকল দোকানপাট লকডাউন শিথিল না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অযথা রাস্তায় ঘোরাফেরা করা, সঠিক নিয়মে মাস্ক ব্যবহার না করা ও সামাজিক দুরাত্ব বজায় না রাখার কারনে জরিমানাও করা হয়েছে শতাধিক মানুষকে। তবে গতকাল ও আজকে বরগুনা জেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে সাধারণ মানুষের আনাগোনা একটু বেশি থাকার কারনে আজ সোমবার সকাল থেকে বরগুনা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মোতায়েনকৃত বিজেপি সদস্য, নৌ-বাহিনী সদস্য, র্যাব সদস্য ও জেলা ও উপজেলা আনসার ভিডিপি সদস্যগণ জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কোভিড ১৯ (করোনা ভাইরাস) সম্পর্কে সচেতন করে হাট-বাজারমুখি মানুষকে ঘরমুখো করার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে বরগুনার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুল হাসান বলেন, বরগুনা জেলা প্রশানের নেতৃত্বে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশ প্রশাসন, মোতায়েনকৃত বিজেপি সদস্য, নৌ-বাহিনী সদস্য, র্যাব সদস্য ও জেলা ও উপজেলা আনসার ভিডিপি সদস্যগণ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সাধারন মানুষকে কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) এর বর্তমান ধরন সম্পর্কে আমরা বুঝিয়ে বলতেছি এবং সামাজিক দুরাত্ব বজায় রাখাসহ সঠিক নিয়মে মাস্ক পরার পরামর্শও দিতেছি।
এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত বরগুনায় নতুন করে আরও ৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্ত ১৬১৪। মৃত্যু ৩৬। সুস্থ ১২৭৩। চিকিৎসাধীন আছেন ৩০৫ জন।