সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, ‘করোনায় থমকে আছে স্বাভাবিক জীবন। লকডাউন চলমান থাকায় সাধারণ রোগের চিকিৎসা নিতেও লোকজন হাসপাতালে যেতে পারছে না। সেসব মানুষের কথা ভেবেই শামীম ভাইয়ের উদ্যোগে তৃতীয়বারের মত ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ক্যাম্প শুরু করা হয়।’
ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবায় দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর হলো- (০১৭১৮৩৪৫৭৮৮, ০১৯১৭৭৭৭২৬৪ ও ০১৭০৩৯৭৭২৪৪)।
ঘরে বসেই মোবাইলে কল দিলে স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ পাবেন রোগীরা। এছাড়া রোগীরা ওই নম্বরে কল করে সমস্যার কথা জানালে চিকিৎসকরা সেখানে পৌঁছে যাবেন। প্রতিটি ইউনিয়নেই পর্যায়ক্রমে এই চিকিৎসক টিম কাজ করবে।
চিকিৎসা সেবা দেয়ায় নিয়োজিত ডা. শওকত আলী ও ডা. শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘একটি বিশেষায়িত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িকে হাসপাতাল হিসেবে সাজানো হয়েছে। সেখানে রয়েছে চিকিৎসার সব ধরনের সরঞ্জাম। নড়িয়া উপজেলা ও সখিপুর থানার ইউনিয়নগুলো ঘুরে ঘুরে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। শুধু চিকিৎসা নয়, বিনামূল্যে ওষুধও দেয়া হবে। ওষুধ না থাকলে দেয়া হবে ওষুধ কেনার টাকা।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বে এখন সংকটময় অবস্থা। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। তাই রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভয় পাচ্ছেন। আতঙ্ক নিয়ে কোনো রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে হবে না। চিকিৎসকরা রোগীর বাড়িতে গিয়ে সেবা দেবেন। নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের তত্বাবধানে চলবে এ চিকিৎসা সেবা। ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষের দুঃখ বুঝি। তাই দুঃসময়ে মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’