ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

সেই হেলমেটধারী যুবক আটক

আলোর জগত ডেস্ক :   রাজধানীর নয়াপল্টনে গত বুধবার বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় হেলমেট পরে পুলিশের গাড়ির ওপর উঠে লাফিয়ে ভাঙচুর করেন এক যুবক। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে সেই যুবকের ছবি। অবশেষে সেই যুবককে আটক করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একজন কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।

ডিবি সূত্র থেকে জানা যায়, গাড়িতে উঠে হেলমেট পরা ওই যুবক রাজধানীর একটি ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সভাপতি। তার নাম এইচ কে হোসেন আলী ওরফে হৃদয় খান।

ঘটনার সময় তার হেলমেট পরিহিত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে ছবিটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপরেই আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগ ও ইউনিট হেলমেট পরিহিত ওই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করতে ও তাকে আটকের জন্য তদন্ত শুরু করে।

ওই হামলায় অংশ নেওয়া আরও দুই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন সোহাগ ভূঁইয়া ও আশরাফুল ইসলাম ওরফে রবীন। আশরাফুল ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সোহাগ শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। ঘটনার দিন মির্জা আব্বাসের পক্ষে মিছিল নিয়ে সোহাগ ভূঁইয়া, হোসেন আলী ও আশরাফুল নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এসেছিলেন বলে ডিবির ওই সূত্র দাবি করেছে।

এর আগে ওই দিন পুলিশের গাড়িতে দেশলাই দিয়ে যে যুবককে আগুন দিতে দেখা যায়, তাকে শনাক্ত করার দাবি করেন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের সহকারী কমিশনার মিশু বিশ্বাস। শাহজালাল খন্দকার নামের ওই যুবক পল্টন থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে জানান মিশু বিশ্বাস। তবে শাহজালাল খন্দকারকে গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয় পল্টন থানায়। মামলাগুলোতে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ আনা হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

সেই হেলমেটধারী যুবক আটক

আপডেট টাইম : ০৩:১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর ২০১৮

আলোর জগত ডেস্ক :   রাজধানীর নয়াপল্টনে গত বুধবার বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় হেলমেট পরে পুলিশের গাড়ির ওপর উঠে লাফিয়ে ভাঙচুর করেন এক যুবক। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে সেই যুবকের ছবি। অবশেষে সেই যুবককে আটক করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একজন কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।

ডিবি সূত্র থেকে জানা যায়, গাড়িতে উঠে হেলমেট পরা ওই যুবক রাজধানীর একটি ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সভাপতি। তার নাম এইচ কে হোসেন আলী ওরফে হৃদয় খান।

ঘটনার সময় তার হেলমেট পরিহিত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে ছবিটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপরেই আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগ ও ইউনিট হেলমেট পরিহিত ওই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করতে ও তাকে আটকের জন্য তদন্ত শুরু করে।

ওই হামলায় অংশ নেওয়া আরও দুই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন সোহাগ ভূঁইয়া ও আশরাফুল ইসলাম ওরফে রবীন। আশরাফুল ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সোহাগ শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। ঘটনার দিন মির্জা আব্বাসের পক্ষে মিছিল নিয়ে সোহাগ ভূঁইয়া, হোসেন আলী ও আশরাফুল নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এসেছিলেন বলে ডিবির ওই সূত্র দাবি করেছে।

এর আগে ওই দিন পুলিশের গাড়িতে দেশলাই দিয়ে যে যুবককে আগুন দিতে দেখা যায়, তাকে শনাক্ত করার দাবি করেন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের সহকারী কমিশনার মিশু বিশ্বাস। শাহজালাল খন্দকার নামের ওই যুবক পল্টন থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে জানান মিশু বিশ্বাস। তবে শাহজালাল খন্দকারকে গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয় পল্টন থানায়। মামলাগুলোতে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ আনা হয়।