মোঃরিফাত ইসলাম, জেলাপ্রতিনিধি ফরিদপুর
ফরিদপুরে এক আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ির বাগানে গাঁজা চাষের খবর শুনে ডিবি পুলিশের অভিযানে ২টি গাঁজার গাছ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ সময় ঐ বাড়ির বাগান মালি’কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার (২৭ জুন ২০২১ইং) বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ভাটি কানাইপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম কামালের ঐ অট্টালিকা বাড়ির বাগান থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার ও মালিকে গ্রেফতার করা হয়।
বাড়ির মালিক সাইফুল ইসলাম কামাল কানাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। অভিযোগ রয়েছে তিনি একাধারে ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন। তিনি বিএনপি’র কমিটি থেকে পদত্যাগ করেননি এবং তাকে বহিস্কার করাও হয়নি। একই সাথে তিনি দুটি দলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে রয়েছেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর ডিবি পুলিশের ওসি সুনীল কর্মকার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঐ বাড়ির পিছনের বাগানে অভিযান চালিয়ে একটি বড় ও একটি ছোট গাঁজার গাছসহ শিপন নামে বাড়ির বাগানের মালি’কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, বাড়ির চর্তুদিকে বাউন্ডারী থাকায় ভেতরে কেউ যেতে পারতো না এবং সেখানে ঐ বাগানে কি হতো কেউ কিছু জানতো না। হঠাৎ করে আজ পুলিশ এসে অনেকগুলো গাঁজার গাছসহ মালি শিপনকে নিয়ে গেছে। মালি শিপন এগুলো দেখাশুনা করতো। শিপনকে হয়তো ফাঁসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক সাইফুল ইসলাম কামালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা কেউ বাড়িতে থাকি না, শহরে থাকি। বাড়িতে শুধু আমার এক ভাবি থাকেন, তিনি একজন শিক্ষিকা এবং আমার ছোট ভাই দেখাশুনা করে। বাড়ি দেখাশোনা করার জন্য ছোট ভাই মহেশপুরের একজন লোক রাখছে আমার ভাই। বাগানটাও আমার ভাই করেছে। সেখানে হয়তো ঐ ছেলেটাই গাঁজার গাছগুলো লাগাইছে। ওরা বর্ডার এলাকার লোক গাঁজার নেশা করে হয়তো।
মালি শিপনকে ফাঁসানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করি এজন্য এলাকায় প্রতিপক্ষ আছে। তারা আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভিন্ন অভিযোগ তুলছে। এ বিষয়ে আমরা কেউ কিছু জানতাম না। বিএনপি’র পদে থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ১০ বছর আগে ইউনিয়ন বিএনপি’র পদে ছিলাম, এখন নেই।