ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

সাংবাদ কর্মীদের বাসায় আটকে মেরে ফেলার হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার,  মাদারীপুরঃ
 মাদারীপুর  প্রধান ডাক অফিসের (এমএলএসএস) অফিস সহায়ক (সরকারি)  ছোলাইমান বেপারী(৫৭) অফিস করেন কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই।
অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, এ অনিয়ম চলে আসছে বছরের পর বছর যাবৎ।
এতদিন তেমন করে কারও নজরে না আসলেও বিষয়টি নজরে এসেছে কয়েকজন সংবাদ কর্মীর।
দীর্ঘ্য ৬মাস খোঁজ খবর নিয়ে দেখা যায় বিগত সময় সে নানা অযুহাত ও ফন্দিফিকির করেই সরকারের সাথে অনিয়ম করে আসছে দীর্ঘ্যদিন ধরে।
স্থানীয় কয়েক জনের সাক্ষাতে জানা যায়,  মাদারীপুর সদর ডাক অফিসের এমএলএসএস কর্মচারী ছলেমান বেপারী বছরের প্রায় বেশিরভাগ সময়েই কাটান বিদেশে। জানা যায়, ব্যাবসাও করেন বিদেশে।  বিদেশ থেকে বাংলাদেশ এসে তুলে নেন সমস্ত মাসের বেতন।
বিষয়টি যাচাই করতে গিয়ে বেরিয়ে আসলো সকল তথ্যই।
মাদারীপুরের সদর হাসপাতালের ড. অখিল চন্দ্র সরকারের নিকট থেকে
১২নভেম্বর, ২০২০ হতে ১মাসের ছুটি নিয়ে চিকিৎসা করতে গেলেও  ৭মাসেও ফেরেননি চাকুরিতে।
সাক্ষাৎকারে ড. অখিল চন্দ্র সরকার বলেন, অসুস্থতার জন্য আমরা যে কাউকে মেডিকেল সার্টিফিকেট দিতে পারি।
তবে কেউ যদি এটার সুযোগ নেয় তাহলে সেটা তার দায় নয়।
দূর্গাবর্দী গ্রামের ছলেমান বেপারী সম্পর্কে জানতে গেলে অনেকেই বলেন, তিনি বছরের বেশিরভাগ সময়েই কাটান বিদেশে। তার সহোদর ৪ ভাই থাকেন ইতালিতে। অফিস ফাঁকি দিয়ে সেখানেই তিনি প্রতি বছর করেন বানিজ্য। ঢাকায় তার নিজস্ব মালিকানাধীন বাড়িও আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তার বোন বলেন অন্যান্য ভাইয়েরা এসব তাকে করে দিয়েছেন।
ছলেমান বেপারীর সহোদর ছোট বোন রিক্তা বেগম(৩৪) আরও বলেন, তার ভাইকে তিনি বাসায় আসতে দেন না।
ভাই দ্বিতীয় বিবাহ ঢাকায় করেছেন তিনি সেখানেই থাকেন বছরের বেশির ভাগ সময়। কেন আসতে দেন না জানতে চাইলে বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে তাদের পরিবারের অভ্যন্তরীন সমস্যাই মূল।
মাদারীপুর প্রধান ডাক অফিসে তার বিষয়ে  আইপিও অফিসার জিহাদুল  ইসলাম জানায়, তার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
ছলেমান বেপারীকে তিন তিন বার সোকোজ করা হলেও তিনি তার জবাব দেন নি।
ডিপার্টমেন্টাল একটি মামলাও হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি মামলার আইও নিয়োগ হয়েছে তদন্ত চলছে।
ডাকবিভাগের হেড অফিস  তার ব্যপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং বিগত মাসের বেতনও আটকে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
১৬ই জুন, ২০২১ দুপুরে তার বাসায় খোঁজ নিতে গিয়ে ছলেমান বেপারীকে পাওয়া গেলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন ও বিভিন্নভাবে মানষিক নির্যাতন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয় সাংবাদিক নাহিদ জামান সহ আরও দু’ জন সংবাদ কর্মীকে
বাড়ি ও আসেপাশের সকলকে ডেকে আকটে রেখে পিটিয়ে মেরে ফেলবে বলেও জড়ো করেন প্রায় ১৮/২০ জনকে।
সাংবাদিকদের প্রতি বিরক্তির কারন জানতে চাইলে, তার পাশে বসা একজন বলে ওঠেন এর আগে নাকি ধান্দা করে কয়েকজন সাংবাদিক ৫০০০০(পঞ্চাশ হাজার) টাকা নিয়েছে তাদের থেকে।
বিষয়টির বিস্তারিত জানতে চাইলে পরক্ষনেই অস্বীকার করেন ছলেমান বেপারী।
তিনি এক সময়ের জাসদ নেতা ছিলেন বলেও দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের মত সাংবাদিক মেরে ফেললে কিছুই হবে না।
একজন অফিস সহকারী এমন ঔদ্ধত্য আচরন কি করে করেন, কোথায় তার এত ক্ষমতা। যার কারনে বছরের পর বছর এমন অপকর্ম করে আসছেন রাষ্ট্রের সাথে। এটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে রইলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

সাংবাদ কর্মীদের বাসায় আটকে মেরে ফেলার হুমকি

আপডেট টাইম : ১০:৩৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
স্টাফ রিপোর্টার,  মাদারীপুরঃ
 মাদারীপুর  প্রধান ডাক অফিসের (এমএলএসএস) অফিস সহায়ক (সরকারি)  ছোলাইমান বেপারী(৫৭) অফিস করেন কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই।
অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, এ অনিয়ম চলে আসছে বছরের পর বছর যাবৎ।
এতদিন তেমন করে কারও নজরে না আসলেও বিষয়টি নজরে এসেছে কয়েকজন সংবাদ কর্মীর।
দীর্ঘ্য ৬মাস খোঁজ খবর নিয়ে দেখা যায় বিগত সময় সে নানা অযুহাত ও ফন্দিফিকির করেই সরকারের সাথে অনিয়ম করে আসছে দীর্ঘ্যদিন ধরে।
স্থানীয় কয়েক জনের সাক্ষাতে জানা যায়,  মাদারীপুর সদর ডাক অফিসের এমএলএসএস কর্মচারী ছলেমান বেপারী বছরের প্রায় বেশিরভাগ সময়েই কাটান বিদেশে। জানা যায়, ব্যাবসাও করেন বিদেশে।  বিদেশ থেকে বাংলাদেশ এসে তুলে নেন সমস্ত মাসের বেতন।
বিষয়টি যাচাই করতে গিয়ে বেরিয়ে আসলো সকল তথ্যই।
মাদারীপুরের সদর হাসপাতালের ড. অখিল চন্দ্র সরকারের নিকট থেকে
১২নভেম্বর, ২০২০ হতে ১মাসের ছুটি নিয়ে চিকিৎসা করতে গেলেও  ৭মাসেও ফেরেননি চাকুরিতে।
সাক্ষাৎকারে ড. অখিল চন্দ্র সরকার বলেন, অসুস্থতার জন্য আমরা যে কাউকে মেডিকেল সার্টিফিকেট দিতে পারি।
তবে কেউ যদি এটার সুযোগ নেয় তাহলে সেটা তার দায় নয়।
দূর্গাবর্দী গ্রামের ছলেমান বেপারী সম্পর্কে জানতে গেলে অনেকেই বলেন, তিনি বছরের বেশিরভাগ সময়েই কাটান বিদেশে। তার সহোদর ৪ ভাই থাকেন ইতালিতে। অফিস ফাঁকি দিয়ে সেখানেই তিনি প্রতি বছর করেন বানিজ্য। ঢাকায় তার নিজস্ব মালিকানাধীন বাড়িও আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তার বোন বলেন অন্যান্য ভাইয়েরা এসব তাকে করে দিয়েছেন।
ছলেমান বেপারীর সহোদর ছোট বোন রিক্তা বেগম(৩৪) আরও বলেন, তার ভাইকে তিনি বাসায় আসতে দেন না।
ভাই দ্বিতীয় বিবাহ ঢাকায় করেছেন তিনি সেখানেই থাকেন বছরের বেশির ভাগ সময়। কেন আসতে দেন না জানতে চাইলে বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে তাদের পরিবারের অভ্যন্তরীন সমস্যাই মূল।
মাদারীপুর প্রধান ডাক অফিসে তার বিষয়ে  আইপিও অফিসার জিহাদুল  ইসলাম জানায়, তার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
ছলেমান বেপারীকে তিন তিন বার সোকোজ করা হলেও তিনি তার জবাব দেন নি।
ডিপার্টমেন্টাল একটি মামলাও হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি মামলার আইও নিয়োগ হয়েছে তদন্ত চলছে।
ডাকবিভাগের হেড অফিস  তার ব্যপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং বিগত মাসের বেতনও আটকে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
১৬ই জুন, ২০২১ দুপুরে তার বাসায় খোঁজ নিতে গিয়ে ছলেমান বেপারীকে পাওয়া গেলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন ও বিভিন্নভাবে মানষিক নির্যাতন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয় সাংবাদিক নাহিদ জামান সহ আরও দু’ জন সংবাদ কর্মীকে
বাড়ি ও আসেপাশের সকলকে ডেকে আকটে রেখে পিটিয়ে মেরে ফেলবে বলেও জড়ো করেন প্রায় ১৮/২০ জনকে।
সাংবাদিকদের প্রতি বিরক্তির কারন জানতে চাইলে, তার পাশে বসা একজন বলে ওঠেন এর আগে নাকি ধান্দা করে কয়েকজন সাংবাদিক ৫০০০০(পঞ্চাশ হাজার) টাকা নিয়েছে তাদের থেকে।
বিষয়টির বিস্তারিত জানতে চাইলে পরক্ষনেই অস্বীকার করেন ছলেমান বেপারী।
তিনি এক সময়ের জাসদ নেতা ছিলেন বলেও দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের মত সাংবাদিক মেরে ফেললে কিছুই হবে না।
একজন অফিস সহকারী এমন ঔদ্ধত্য আচরন কি করে করেন, কোথায় তার এত ক্ষমতা। যার কারনে বছরের পর বছর এমন অপকর্ম করে আসছেন রাষ্ট্রের সাথে। এটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে রইলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।