ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫

৪০ বছর চাকুরীর জীবনে একদিনও ছুটি কাটাননি অফিস সহায়ক বাকা

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ৪০ বছর চাকুরী করেও এক দিনের জন্য কোনপ্রকার ছুটি কাটাননি বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) আবু বক্কার শেখ বাকা। তিনি চাকুরী জীবনে কোন নৈবেত্তিক ছুটি নেননি। সরকারী বিধি মোতাবেক বিশ্রাম ও চিত্র বিনোদনের ছুটি ভাতা সহ
বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষ মুঞ্জর করলেও অফিসিয়াল কাজের প্রয়োজনে তিনি কখনও উক্ত ছুটি ভোগ করেননি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আবু বক্কার শেখ বাকা অফিস সহায়ক হিসেবে ৩.১২.১৯৭৯ সালে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রথম যোগদান
করেন। রাজবাড়ি সদর হাসপাতাল থেকে বদলি হয়ে তিনি ৩.১২.১৯৮০ সালেবোয়ালমারী হসহাসপাতালে যোগদান করেন। তিনি গত ২৪.১১.২০২০ সালে বোয়ালমারীহাসপাতাল থেকে অবসরে যান তিনি। বোয়ালমারী হাসপাতাল তার কর্মজীবন ৪৯ বছর১১মাস ২২দিন। তার কর্মজীবনে কোন প্রকার ছুটি নেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।আবু বক্কার শেখ বাকার বাড়ি বোয়ালমারীর পৌর সভার দক্ষিণ কামার গ্রাম। তারতিন মেয়ে ও দুই ছেলে। সে অবসরে গেলেও হাসপাতাল ছেড়ে যেতে পারেনি। তাকেহাসপাতালের অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করতে দেখা গেছে। আবু বক্কার শেখ বাকা বলেন, আমার চাকুরী জীবনে কখনও ছুটি কাটায়নি। হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারিরা সহ আমরা একটা পরিবারের মত। তাই আমি অবসরে গেলেও সবাইকে ছেড়ে যেতে পারছিনা। বেতন না থাকলেও আমি সবার সাথে মিলে মিশে কাজ করে আনন্দে
পার করছি সময়। বাকি জীবন আমার এই পরিবারের সদস্যদের সাথে থেকে যেতে চাই। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালিদুর রহমান বলেন, আবু বক্কার শেখ বাকা এই বোয়ালমারী হাসপাতালে আমার বাবার সাথে চাকুরির করছেন। আমি এই হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা হিসেবে যোগদান করে এই অফিস সহায়ক আবু বক্কার শেখ বাকাকে পেয়েছি। সে ২০২০ সালের (২৪ নভেম্বর) অবসরে যান। অবসরে গেলেও হাসপাতালের অফিস সহায়কের যাবতীয় কাজ
তিনি করেন। আমি তাকে বলেছি আপনাকে আমি আর্থিক ভাবে তেমন কিছু সহযোগিতাকরতে পারবোনা। তিনি আমাকে জানান আমার বাকিটা জীবন আমার এই হাসপাতালের পরিবারদের সাথে কাজ করে আনন্দের সাথে বাকি সময় কাটিয়ে দিতে চায়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

৪০ বছর চাকুরীর জীবনে একদিনও ছুটি কাটাননি অফিস সহায়ক বাকা

আপডেট টাইম : ১০:০১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ৪০ বছর চাকুরী করেও এক দিনের জন্য কোনপ্রকার ছুটি কাটাননি বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) আবু বক্কার শেখ বাকা। তিনি চাকুরী জীবনে কোন নৈবেত্তিক ছুটি নেননি। সরকারী বিধি মোতাবেক বিশ্রাম ও চিত্র বিনোদনের ছুটি ভাতা সহ
বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষ মুঞ্জর করলেও অফিসিয়াল কাজের প্রয়োজনে তিনি কখনও উক্ত ছুটি ভোগ করেননি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আবু বক্কার শেখ বাকা অফিস সহায়ক হিসেবে ৩.১২.১৯৭৯ সালে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রথম যোগদান
করেন। রাজবাড়ি সদর হাসপাতাল থেকে বদলি হয়ে তিনি ৩.১২.১৯৮০ সালেবোয়ালমারী হসহাসপাতালে যোগদান করেন। তিনি গত ২৪.১১.২০২০ সালে বোয়ালমারীহাসপাতাল থেকে অবসরে যান তিনি। বোয়ালমারী হাসপাতাল তার কর্মজীবন ৪৯ বছর১১মাস ২২দিন। তার কর্মজীবনে কোন প্রকার ছুটি নেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।আবু বক্কার শেখ বাকার বাড়ি বোয়ালমারীর পৌর সভার দক্ষিণ কামার গ্রাম। তারতিন মেয়ে ও দুই ছেলে। সে অবসরে গেলেও হাসপাতাল ছেড়ে যেতে পারেনি। তাকেহাসপাতালের অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করতে দেখা গেছে। আবু বক্কার শেখ বাকা বলেন, আমার চাকুরী জীবনে কখনও ছুটি কাটায়নি। হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারিরা সহ আমরা একটা পরিবারের মত। তাই আমি অবসরে গেলেও সবাইকে ছেড়ে যেতে পারছিনা। বেতন না থাকলেও আমি সবার সাথে মিলে মিশে কাজ করে আনন্দে
পার করছি সময়। বাকি জীবন আমার এই পরিবারের সদস্যদের সাথে থেকে যেতে চাই। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালিদুর রহমান বলেন, আবু বক্কার শেখ বাকা এই বোয়ালমারী হাসপাতালে আমার বাবার সাথে চাকুরির করছেন। আমি এই হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা হিসেবে যোগদান করে এই অফিস সহায়ক আবু বক্কার শেখ বাকাকে পেয়েছি। সে ২০২০ সালের (২৪ নভেম্বর) অবসরে যান। অবসরে গেলেও হাসপাতালের অফিস সহায়কের যাবতীয় কাজ
তিনি করেন। আমি তাকে বলেছি আপনাকে আমি আর্থিক ভাবে তেমন কিছু সহযোগিতাকরতে পারবোনা। তিনি আমাকে জানান আমার বাকিটা জীবন আমার এই হাসপাতালের পরিবারদের সাথে কাজ করে আনন্দের সাথে বাকি সময় কাটিয়ে দিতে চায়।