ঢাকা ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

সদ্য সম্পন্ন মাদারীপুর কালকিনি পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট না দেয়ায় অর্ধশত ঘরবাড়ি ভাংচুর, আহত ১০

মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি (মিজানুর রহমান খান):
মাদারীপুরে সদ্য সম্পন্ন কালকিনি পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে সমর্থন ও ভোট না দেয়ায় বসত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।শুক্রবার দুপুর ১২টায় মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার বিভাগদী এলাকায় পৌরসভা নির্বাচনে নৌকায় ভোট না দেওয়ায় বসতঘরে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
মাদারীপুরের কালকিনি পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্ধন ও ভোট না দেয়ায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের অর্ধশত বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিভাগদী এলাকায় আওয়ামী লীগের বিজয়ী মেয়র প্রার্থীর সমর্থকেরা এই হামলা চালান। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
উক্ত হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের “বিদ্রোহী” মেয়র প্রার্থী মসিউর রহমানকে সমর্থন করে ভোট প্রদান করেন বিভাগদী এলাকার হাওলাদার বাড়ির লোকজন। কিন্তু উক্ত নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জনাব এস. এম. হানিফ । নৌকা প্রতীকে ভোট না দেওয়ায় প্রার্থীর সমর্থকেরা প্রতিপক্ষের বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এই হামলা প্রতিহত করতে গেলে তাদের উপরেও হামলার ঘটনা ঘটে।
তবে আরো উল্লেখ্য বিষয়, গত ৬ই ফেব্রুয়ারী বিকেলে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় “বিদ্রোহী” মেয়র প্রার্থী মসিউর রহমান মুঠোফোনে কল করেন তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এস.পি) মো: মাহবুব হাসান। এবং তাৎক্ষনিক সেখানে কালকিনি থানার (ওসি) মো: নাছির উদ্দিন গাড়ি নিয়ে হাজির হন। এরপরে সেখান থেকে তাঁকে পুলিশের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরই নিখোঁজ হন মসিউর রহমান। নিখোঁজের সংবাদ প্রচার হবার ১১ ঘণ্টা পর কালকিনি পৌরসভার দক্ষিণ কৃষ্ণনগরের নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন “বিদ্রোহী” মেয়র প্রার্থী মসিউর রহমান।
নিখোঁজের ঘটনা ঘটার পরপরই বিপুল আলোচনায় উঠে আসে কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনের বিষয়টি। পরে নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক না থাকায় স্থগিত করা হয় চতুর্থ ধাপের এই পৌরসভার নির্বাচনটি।নিখোঁজের ঘটনার পর তাৎক্ষনিক গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। ঘটনার সত্যতা প্রমান পায় উক্ত কমেটি। ঐ প্রার্থীকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে কালকিনি থানার (ওসি) মো: নাসির উদ্দিন মৃধাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। সকল ঘটনার অবসান ঘটিয়ে গত ৩১শে মার্চ অনুষ্ঠিত হয় কালকিনি পৌরসভার আলোচিত এই নির্বাচন।
তবে এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত উক্ত ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ সহ উক্ত ঘটনার ভোক্তভোগীগন॥
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

সদ্য সম্পন্ন মাদারীপুর কালকিনি পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট না দেয়ায় অর্ধশত ঘরবাড়ি ভাংচুর, আহত ১০

আপডেট টাইম : ০৪:০০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি (মিজানুর রহমান খান):
মাদারীপুরে সদ্য সম্পন্ন কালকিনি পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে সমর্থন ও ভোট না দেয়ায় বসত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।শুক্রবার দুপুর ১২টায় মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার বিভাগদী এলাকায় পৌরসভা নির্বাচনে নৌকায় ভোট না দেওয়ায় বসতঘরে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
মাদারীপুরের কালকিনি পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্ধন ও ভোট না দেয়ায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের অর্ধশত বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিভাগদী এলাকায় আওয়ামী লীগের বিজয়ী মেয়র প্রার্থীর সমর্থকেরা এই হামলা চালান। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
উক্ত হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের “বিদ্রোহী” মেয়র প্রার্থী মসিউর রহমানকে সমর্থন করে ভোট প্রদান করেন বিভাগদী এলাকার হাওলাদার বাড়ির লোকজন। কিন্তু উক্ত নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জনাব এস. এম. হানিফ । নৌকা প্রতীকে ভোট না দেওয়ায় প্রার্থীর সমর্থকেরা প্রতিপক্ষের বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এই হামলা প্রতিহত করতে গেলে তাদের উপরেও হামলার ঘটনা ঘটে।
তবে আরো উল্লেখ্য বিষয়, গত ৬ই ফেব্রুয়ারী বিকেলে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় “বিদ্রোহী” মেয়র প্রার্থী মসিউর রহমান মুঠোফোনে কল করেন তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এস.পি) মো: মাহবুব হাসান। এবং তাৎক্ষনিক সেখানে কালকিনি থানার (ওসি) মো: নাছির উদ্দিন গাড়ি নিয়ে হাজির হন। এরপরে সেখান থেকে তাঁকে পুলিশের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরই নিখোঁজ হন মসিউর রহমান। নিখোঁজের সংবাদ প্রচার হবার ১১ ঘণ্টা পর কালকিনি পৌরসভার দক্ষিণ কৃষ্ণনগরের নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন “বিদ্রোহী” মেয়র প্রার্থী মসিউর রহমান।
নিখোঁজের ঘটনা ঘটার পরপরই বিপুল আলোচনায় উঠে আসে কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনের বিষয়টি। পরে নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক না থাকায় স্থগিত করা হয় চতুর্থ ধাপের এই পৌরসভার নির্বাচনটি।নিখোঁজের ঘটনার পর তাৎক্ষনিক গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। ঘটনার সত্যতা প্রমান পায় উক্ত কমেটি। ঐ প্রার্থীকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে কালকিনি থানার (ওসি) মো: নাসির উদ্দিন মৃধাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। সকল ঘটনার অবসান ঘটিয়ে গত ৩১শে মার্চ অনুষ্ঠিত হয় কালকিনি পৌরসভার আলোচিত এই নির্বাচন।
তবে এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত উক্ত ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ সহ উক্ত ঘটনার ভোক্তভোগীগন॥