দুর্নীতি দূর করতে ১০ জন সৎ কর্মকর্তা নিয়ে একটি উইং গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলন। সে সময় গণমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, ৩ মাসের মধ্যে দেশের সব খাতের দুর্নীতি দূর করবে তার নেতৃত্বাধীন উইং। কিন্তু তার সে ইচ্ছা তো পূরণ হয়নিই, উলটা এক সপ্তাহের ব্যবধানে গত বছরের ৬ আগস্ট তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। ‘সরকারি কর্মচারী (আপিল ও শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী লঘুদণ্ড ‘তিরস্কার’ করে গত ১ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়। তবে তিনি ওএসডি থাকলেও পদায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (১২ মার্চ) জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন গণমাধ্যমকে বলেন, তাকে তিরস্কার করা হয়েছে। তবে অবশ্যই তাকে পোস্টিং করা হবে।
জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাহবুব কবীরের উদ্ধৃতি দিয়ে গত ২৯ জুলাই একটি অনলাইন পত্রিকায় ‘তিন মাসে দুর্নীতি দূর করতে ১০ কর্মকর্তার উইং চান অতিরিক্ত সচিব’ শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশিত হয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত ও প্রকৃত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র ব্যতীত পত্রিকায় প্রকাশিত এ লেখায় তার মনগড়া, ভিত্তিহীন ও সরকারের জন্য অস্বস্তিকর বক্তব্য প্রকাশিত হওয়া সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল হওয়ায় এবং তিনি সরকারের অতিরিক্ত সচিব পদের কর্মকর্তা বিধায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়।’
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রুজু করা বিভাগীয় মামলায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৫ নভেম্বর তারিখের ১৮৭ নম্বর স্মারকে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী পাঠানোর মাধ্যমে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি ১৫ নভেম্বর লিখিত জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করেন। বিভাগীয় মামলায় গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ব্যক্তিগত শুনানিতে মামলার অভিযোগ, উভয় পক্ষের বক্তব্য, দাখিল করা কাগজপত্র ও প্রাসঙ্গিক সব বিষয়ে পর্যালোচনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
আরও পড়ুন