ঢাকা ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পেছাতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী

করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পেছানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গত কয়েকদিন ধরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান। দেশে টানা তৃতীয় দিনের মত হাজারের বেশি করোনার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আজ দৈনিক শনাক্তের হার ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। দৈনিক শনাক্তের হার গত ৫ জানুয়ারি ছিল ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এরপর কমতে কমতে তা ৩ শতাংশের নিচেও নেমেছিল। তবে মার্চের শুরু থেকে করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ১৫-১৬ মার্চ পর্যন্ত দেখব। তখন সংক্রমণ পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, সেটার ওপর বিবেচনা করে একটা ঘোষণা দেব। তবে এখন পর্যন্ত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে।

একইভাবে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, এখন পর্যন্ত আগের ঘোষণা বহাল রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর ৩০ মার্চ দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। সেই অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও সব ধরণের প্রস্তুতি শুরু করেছে। কিন্তু দেশে ফের করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু হার বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্বঘোষিত ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে আগামীকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছিল।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় কিনা- সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভা বৈঠকে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়।

এরই মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলে ফেরার আন্দোলন শুরু করেন। কোনো কোনো স্থানে শিক্ষার্থীদের তালা ভেঙে হলে প্রবেশের ঘটনাও ঘটে। এ পরিস্থিতিতে ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দেন, আগামী ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পেছাতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৭:৫৫:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১

করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পেছানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গত কয়েকদিন ধরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান। দেশে টানা তৃতীয় দিনের মত হাজারের বেশি করোনার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আজ দৈনিক শনাক্তের হার ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। দৈনিক শনাক্তের হার গত ৫ জানুয়ারি ছিল ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এরপর কমতে কমতে তা ৩ শতাংশের নিচেও নেমেছিল। তবে মার্চের শুরু থেকে করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ১৫-১৬ মার্চ পর্যন্ত দেখব। তখন সংক্রমণ পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, সেটার ওপর বিবেচনা করে একটা ঘোষণা দেব। তবে এখন পর্যন্ত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে।

একইভাবে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, এখন পর্যন্ত আগের ঘোষণা বহাল রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর ৩০ মার্চ দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। সেই অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও সব ধরণের প্রস্তুতি শুরু করেছে। কিন্তু দেশে ফের করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু হার বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্বঘোষিত ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে আগামীকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছিল।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় কিনা- সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভা বৈঠকে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়।

এরই মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলে ফেরার আন্দোলন শুরু করেন। কোনো কোনো স্থানে শিক্ষার্থীদের তালা ভেঙে হলে প্রবেশের ঘটনাও ঘটে। এ পরিস্থিতিতে ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দেন, আগামী ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে।