মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি/
উচ্চ আদালতের নির্দেশে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে চলছে চেয়ারম্যানের অবৈধ ইটভাটা ‘মেসার্স হাওলাদার ব্রিকস্’র আংশিক ভেঙ্গে ফেলা স্থাপনায় ফের শুরু হয়েছে ইট পোড়ানোর কাজ। স্থানীয় প্রশাসন ইটভাটাটির আংশিক ধ্বংস করে বাকি স্থাপনা ১৫ দিনে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিলেও তা আমলে নেয়নি ঐ ইটভাটা কর্তৃপক্ষ। বরং দিনে বন্ধ রেখে রাতের আাধাঁরে চলছে ইট পোড়ানোর কাজ। তবে নির্দেশ অগ্রাহ্য করে ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করলেও কোন মাথা ব্যথা নেই প্রশাসনের। বলা হচ্ছে অবৈধ ইটভাটার স্থাপনা ভাঙ্গার কোন সরঞ্জাম না থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারছে না প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে বগা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান হাওলাদার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চরগরবদি মৌজার চর এলাকায় অবৈধ ভাবে ইটভাটা নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছিল। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে বাউফলের রাজনগর এলাকার জনৈক মো: জাকির হোসাইন ঢাকার হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট বিভাগের ১৮২২০/২০১৭নম্বও রিট পিটিশনের ৪-৪-২০১৮ তারিখের আদেশে দুমকি উপজেলার চরগরবদি মৌজায় মেসার্স হাওলাদার ব্রিকস্ অবৈধ ঘোষনা করে তা বন্ধের নির্দেশ দেন।
খোজ নিয়ে জানাযায়, আদালতের ওই নির্দেশ পেয়ে গত ২১ জানুয়ারি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আবদুল্লাহ সাদীদ’র নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ‘মেসার্স হাওলাদার ব্রিক্সস এর কাচা ইটসহ আংশিক স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়। এসময় ইটভাটা ম্যানেজার মো: নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচার বসিয়ে ইটভাটা কর্তৃপক্ষকে ২লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১৫দিনের মধ্যে বাকী স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন।
কিন্ত প্রভাবশালী ইটভাটা কর্তৃপক্ষ অবৈধ ইটভাটার স্থাপনা না সড়িয়ে বরং দিগুণ উৎসাহে তাদের ইট তৈরী ও পোড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ইট ভাটার স্বত্ত্বাধিকারী ইউপি চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ হাওলাদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ বলেন, আমরা আদালতের চিঠি পেয়ে ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ইটভাটার কাচা ইটসহ আংশিক স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছি। আমাদের কাছে পুরো স্থাপনা ভাঙার প্রয়োজনীয় কোন সরঞ্জান না থাকায় তাদেরকে ১৫ দিনের সময় দেয়া হয়েছিল কিন্তু শুনেছি তারা কোন স্থাপনা সরায়নি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পূনরায় অভিযান চালিয়ে পুরো ইটভাটা ধ্বংস করা হবে বলে তিনি জানান।