ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ইমরুল-সৌম্যর জোড়া সেঞ্চুরিতে ‘হোয়াইটওয়াশ’ জিম্বাবুয়ে

আলোর জগত ডেস্ক :  আবারও হোয়াইটওয়াশ হলো জিম্বাবুয়ে। এ নিয়ে টানা তিনবার আর সব মিলিয়ে চারবার বাংলাদেশ তাদের হোয়াইটওয়াশ করলো। সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের দেয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্যে সহজেই পৌঁছে যায় মাশরাফি বাহিনী।

টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলা ওপেনার লিটন দাস ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটির দৃঢ়তায় শুধু সে ধাক্কাই সামলায়নি বাংলাদেশ, খুব সহজেই সাত উইকেটে জয় তুলে নেয়।

বাংলাদেশের এই জয়টি মূলত সহজ হয়েছে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসের চমৎকার দুটি সেঞ্চুরির সুবাদে। দলের ইনিংসে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই একজন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরলে এই দুজন রুখে দাঁড়ান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এই দুজনে মিলে ২২০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয়ের পথ দেখান। সেই পথ ধরেই জয়ের উল্লাস করে লাল-সবুজের দল। এটি ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে সেরা জুটি।

গত দুই ম্যাচে দারুণ খেলা ইমরুল কায়েস এদিনও ছিলেন বেশ উজ্জ্বল। প্রথম ম্যাচে ১৪৪ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় ম্যাচে শতকের কাছাকাছি গিয়েও ৯০ রান করে আউট হন তিনি। অবশ্য তৃতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরিটা করেই ছেড়েছেন। খেলেছেন ১১৫ রনের দারুণ একটি ইনিংস।

এক সিরিজে ধারাবাহিকভাবে এমন রান করে নির্বাকদেরও একটি বার্তা দিয়েছেন, ভালো কিছু করার সামর্থ্য তারও আছে। দুটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফসেঞ্চুরিতে এই সিরিজে তার মোট সংগ্রহ ৩৪৯ রান।

টানা তিন ম্যাচে দারুণ খেলে ইমরুল একটি রেকর্ডও গড়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে যেকোনো দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড গড়েছেন। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে তামিমের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৩১২ রান। এবার তাকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।

অবশ্য ২০১৫ বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ ৩৬৫ রান করেছিলেন। যদিও সেটি কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়।

দারুণ উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছেন সৌম্য সরকারও। হঠাৎ তৃতীয় ওয়ানডের দলে জায়গা পেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। খেলেছেন ১১৭ রানের চমৎকার একটি ইনিংস। যাতে বল খরচ করেছেন ৯২টি। ৯টি চার ও ৬টি ছক্কার মার রয়েছে তার এই ইনিংসে।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী জিম্বাবুয়ে ২৮৬ রান করে শন উইলিয়ামসের সেঞ্চুরি ও ব্রেন্ডন টেইলরের চমৎকার ব্যাটিং দৃঢ়তায়। অবশ্য তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (২) ও সিফাস জুয়াও (০) দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলকে এগিয়ে নেয়ার পথে দারুণ ভূমিকা রাখেন ব্রেন্ডন টেইলর ও সিকান্দার রাজা। টেইলর ৭৫ ও রাজা ৪০ রান করে সাজঘরে ফিরলেও উইলিয়ামস শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে এগিয়ে নিতে মূল ভূমিকা রাখেন।

উইলিয়ামস ১৪৩ বলে ১২৯ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। যাতে ১০ টি চার ও একটি ছক্কার মার রয়েছে। আর মুর ২১ বলে ২৮ রান করেন।

বাংলাদেশের কোনো বোলারই জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ে খুব একটা চাপ প্রয়োগ করতে পারেনি। নাজমুল ইসলাম অপু ৫৮ রানে দুটি এবং সাইফউদ্দিন ও আবু হায়দার রনি একটি করে উইকেট পান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ : ২৮৮/৩ (৪২.১ ওভারে) (লিটন ০, ইমরুল ১১৫, সৌম্য ১১৭, মুশফিক ২৮*, মিঠুন ৭*; জার্ভিস ১/৪৭, এনগারাভা ০/৪৪, তিরিপানো ০/৩৩, রাজা ০/৪৭, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১/৭১, উইলিয়ামস ০/৪৩, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১/৩)

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

ইমরুল-সৌম্যর জোড়া সেঞ্চুরিতে ‘হোয়াইটওয়াশ’ জিম্বাবুয়ে

আপডেট টাইম : ০২:০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

আলোর জগত ডেস্ক :  আবারও হোয়াইটওয়াশ হলো জিম্বাবুয়ে। এ নিয়ে টানা তিনবার আর সব মিলিয়ে চারবার বাংলাদেশ তাদের হোয়াইটওয়াশ করলো। সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের দেয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্যে সহজেই পৌঁছে যায় মাশরাফি বাহিনী।

টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলা ওপেনার লিটন দাস ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটির দৃঢ়তায় শুধু সে ধাক্কাই সামলায়নি বাংলাদেশ, খুব সহজেই সাত উইকেটে জয় তুলে নেয়।

বাংলাদেশের এই জয়টি মূলত সহজ হয়েছে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসের চমৎকার দুটি সেঞ্চুরির সুবাদে। দলের ইনিংসে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই একজন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরলে এই দুজন রুখে দাঁড়ান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এই দুজনে মিলে ২২০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয়ের পথ দেখান। সেই পথ ধরেই জয়ের উল্লাস করে লাল-সবুজের দল। এটি ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে সেরা জুটি।

গত দুই ম্যাচে দারুণ খেলা ইমরুল কায়েস এদিনও ছিলেন বেশ উজ্জ্বল। প্রথম ম্যাচে ১৪৪ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় ম্যাচে শতকের কাছাকাছি গিয়েও ৯০ রান করে আউট হন তিনি। অবশ্য তৃতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরিটা করেই ছেড়েছেন। খেলেছেন ১১৫ রনের দারুণ একটি ইনিংস।

এক সিরিজে ধারাবাহিকভাবে এমন রান করে নির্বাকদেরও একটি বার্তা দিয়েছেন, ভালো কিছু করার সামর্থ্য তারও আছে। দুটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফসেঞ্চুরিতে এই সিরিজে তার মোট সংগ্রহ ৩৪৯ রান।

টানা তিন ম্যাচে দারুণ খেলে ইমরুল একটি রেকর্ডও গড়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে যেকোনো দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড গড়েছেন। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে তামিমের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৩১২ রান। এবার তাকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।

অবশ্য ২০১৫ বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ ৩৬৫ রান করেছিলেন। যদিও সেটি কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়।

দারুণ উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছেন সৌম্য সরকারও। হঠাৎ তৃতীয় ওয়ানডের দলে জায়গা পেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। খেলেছেন ১১৭ রানের চমৎকার একটি ইনিংস। যাতে বল খরচ করেছেন ৯২টি। ৯টি চার ও ৬টি ছক্কার মার রয়েছে তার এই ইনিংসে।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী জিম্বাবুয়ে ২৮৬ রান করে শন উইলিয়ামসের সেঞ্চুরি ও ব্রেন্ডন টেইলরের চমৎকার ব্যাটিং দৃঢ়তায়। অবশ্য তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (২) ও সিফাস জুয়াও (০) দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলকে এগিয়ে নেয়ার পথে দারুণ ভূমিকা রাখেন ব্রেন্ডন টেইলর ও সিকান্দার রাজা। টেইলর ৭৫ ও রাজা ৪০ রান করে সাজঘরে ফিরলেও উইলিয়ামস শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে এগিয়ে নিতে মূল ভূমিকা রাখেন।

উইলিয়ামস ১৪৩ বলে ১২৯ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। যাতে ১০ টি চার ও একটি ছক্কার মার রয়েছে। আর মুর ২১ বলে ২৮ রান করেন।

বাংলাদেশের কোনো বোলারই জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ে খুব একটা চাপ প্রয়োগ করতে পারেনি। নাজমুল ইসলাম অপু ৫৮ রানে দুটি এবং সাইফউদ্দিন ও আবু হায়দার রনি একটি করে উইকেট পান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ : ২৮৮/৩ (৪২.১ ওভারে) (লিটন ০, ইমরুল ১১৫, সৌম্য ১১৭, মুশফিক ২৮*, মিঠুন ৭*; জার্ভিস ১/৪৭, এনগারাভা ০/৪৪, তিরিপানো ০/৩৩, রাজা ০/৪৭, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১/৭১, উইলিয়ামস ০/৪৩, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১/৩)