ঢাকা ১২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বহুমুখী পরিকল্পনায় উন্নয়নে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

আলোর জগত ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার বিকল্প নেই। তাই বহুমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যারা একদিনে হঠাৎ করে ক্ষমতায় এসেছে তারা দেশের নয়, নিজেদের উন্নয়নে কাজ করেছে। ফলে এ দেশ এগিয়ে যেতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি। আজ শনিবার ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদনা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন : বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম চালু

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পরপরই বিধ্বস্ত একটি দেশকে নয় মাসের মধ্যে একটি সংবিধান উপহার দেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় করেন। মাত্র সাড়ে ৩ বছরে অর্থনৈতক অগ্রগতি আনেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মানুষের প্রতিটি অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দিয়েছে। আওয়ামী লীগের জন্মই মানুষের ভাগ্যন্নয়ন নিশ্চিত করা।

৭৫ পরবর্তী যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে তারা নিজেদের বৈধ করার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেছে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। কিন্তু এদেশের মানুষের, কৃষকের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করতে একমাত্র আওয়ামী লীগই পেরেছে। অন্যান্য দল থেকে এ দলের পার্থক্য এখানেই।

বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সবসময় নিজেদের সংস্কার করেছে। তাই জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে কাজ করছি আমরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসে এর থেকে কোন উন্নতি করতে পারেনি। যতোটুকু করতো তার চেয়ে বেশি দেখানো হত। আজ দেশে ২২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যার সম্পূর্ণ করেছে আওয়ামী লীগ।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নে একক কোন পরিকল্পনা দিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। এজন্য সরকার বহুমুখী পরিকল্পনার কথা অনেক আগে থেকে করে আসছে। সে অনুযায়ী আগাচ্ছে সরকার।

কর্ম পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে কাজের পরিধি ও জবাবদিহিতা বাড়বে। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে। এর ফলে, দেশের সর্বোচ্চ বিভাগ থেকে একেবারে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত সবকিছু হিসাবের মধ্যে থাকবে। এতে কাজের দক্ষতা ও  গতিশীলতা বাড়বে।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে আমরা আগে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়নও করেছি। এবার আমরা সপ্তমবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি, আশা করি লক্ষ্যস্থানে পৌঁছতে পারব।

বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া ৭ প্রবৃদ্ধি থেকে আমরা ৮ দশমিক ১ উন্নীত হয়েছি, অল্প সময়ে ৮ দশমিক ২ পৌঁছাবো। প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি কাঙ্খিত এসডিজিও অর্জন করবো আমরা।

দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সব উন্নয়ন ভেস্তে যাবে, যদি আমরা দুর্নীতি রুখতে না পারি। যারা অর্থ নিচ্ছেন এবং দিচ্ছেন উভয়েই সমান অপরাধ করছেন।

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যেমন জিরো টরারেন্স নীতি আমরা পালন করছি, দুর্নীতির বিরুদ্ধেও একইভাবে সোচ্চার বর্তমান সরকার। এমনকি দুর্নীতির সঙ্গে দলের কারো সম্পৃক্ততা প্রমাণ পাওয়া গেলে, তাকেও কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

বহুমুখী পরিকল্পনায় উন্নয়নে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৭:১১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার বিকল্প নেই। তাই বহুমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যারা একদিনে হঠাৎ করে ক্ষমতায় এসেছে তারা দেশের নয়, নিজেদের উন্নয়নে কাজ করেছে। ফলে এ দেশ এগিয়ে যেতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি। আজ শনিবার ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদনা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন : বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম চালু

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পরপরই বিধ্বস্ত একটি দেশকে নয় মাসের মধ্যে একটি সংবিধান উপহার দেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় করেন। মাত্র সাড়ে ৩ বছরে অর্থনৈতক অগ্রগতি আনেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মানুষের প্রতিটি অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দিয়েছে। আওয়ামী লীগের জন্মই মানুষের ভাগ্যন্নয়ন নিশ্চিত করা।

৭৫ পরবর্তী যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে তারা নিজেদের বৈধ করার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেছে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। কিন্তু এদেশের মানুষের, কৃষকের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করতে একমাত্র আওয়ামী লীগই পেরেছে। অন্যান্য দল থেকে এ দলের পার্থক্য এখানেই।

বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সবসময় নিজেদের সংস্কার করেছে। তাই জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে কাজ করছি আমরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসে এর থেকে কোন উন্নতি করতে পারেনি। যতোটুকু করতো তার চেয়ে বেশি দেখানো হত। আজ দেশে ২২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যার সম্পূর্ণ করেছে আওয়ামী লীগ।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নে একক কোন পরিকল্পনা দিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। এজন্য সরকার বহুমুখী পরিকল্পনার কথা অনেক আগে থেকে করে আসছে। সে অনুযায়ী আগাচ্ছে সরকার।

কর্ম পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে কাজের পরিধি ও জবাবদিহিতা বাড়বে। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে। এর ফলে, দেশের সর্বোচ্চ বিভাগ থেকে একেবারে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত সবকিছু হিসাবের মধ্যে থাকবে। এতে কাজের দক্ষতা ও  গতিশীলতা বাড়বে।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে আমরা আগে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়নও করেছি। এবার আমরা সপ্তমবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি, আশা করি লক্ষ্যস্থানে পৌঁছতে পারব।

বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া ৭ প্রবৃদ্ধি থেকে আমরা ৮ দশমিক ১ উন্নীত হয়েছি, অল্প সময়ে ৮ দশমিক ২ পৌঁছাবো। প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি কাঙ্খিত এসডিজিও অর্জন করবো আমরা।

দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সব উন্নয়ন ভেস্তে যাবে, যদি আমরা দুর্নীতি রুখতে না পারি। যারা অর্থ নিচ্ছেন এবং দিচ্ছেন উভয়েই সমান অপরাধ করছেন।

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যেমন জিরো টরারেন্স নীতি আমরা পালন করছি, দুর্নীতির বিরুদ্ধেও একইভাবে সোচ্চার বর্তমান সরকার। এমনকি দুর্নীতির সঙ্গে দলের কারো সম্পৃক্ততা প্রমাণ পাওয়া গেলে, তাকেও কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।