ঢাকা ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

আলোর জগত ডেস্কঃ    পাঁচ দিনের চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

আরো পড়ুন :  জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

এদিকে চীন সফর নিয়ে আগামী সোমবার বিকাল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হবেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম একথা জানান।

আজ শনিবার সকালে বেইজিং ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে, দেওয়া হয় ‘স্টাটিক গার্ড’ও।

বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে বিদায় জানান চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এ সময় উপস্থিত ছিলেন দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম।

প্রধানমন্ত্রী তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন, বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। এছাড়া, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফাহিমের নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলও সফরে ছিলেন।

টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর চীনে প্রথম সফরে শুরুতে ডালিয়ান পৌঁছান শেখ হাসিনা।

গত মঙ্গলবার ডালিয়ানে সামার ডাভোস নামে পরিচিত ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের গ্রীষ্মকালীন সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি, বৈঠক করেন ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস সোয়াবের সঙ্গে। ডালিয়ান থেকে বুধবার বেইজিং পৌঁছান শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব পিপলে পৌঁছলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা, গার্ড অব অনার ও তোপধ্বনির মাধ্যমে উঞ্চ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রোহিঙ্গা সঙ্কট ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর দুদেশ পাঁচটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা ও একটি লেটার অব এক্সচেঞ্জে সই করে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে দেওয়া চীনের প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে অংশ নেন তিনি।

বিকালে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন শেখ হাসিনা।

শুক্রবার দুপুরের পর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পর্কিত মিনিস্টার সান তাওয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিয়েন আন মেন স্কয়ারে চীনের জাতীয় বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের চেয়ারম্যান লি ঝাংসুর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টিতে শি জিনপিংয়ের পর দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে তাকেই বিবেচনা হয়।

বিকেলে বেইজিংয়ের দিয়ায়োতাই স্টেট গেস্ট হাইজে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। শি চিনপিংয়ের দেওয়া নৈশভোজেও অংশ নেন তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৮:১৭:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০১৯

আলোর জগত ডেস্কঃ    পাঁচ দিনের চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

আরো পড়ুন :  জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

এদিকে চীন সফর নিয়ে আগামী সোমবার বিকাল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হবেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম একথা জানান।

আজ শনিবার সকালে বেইজিং ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে, দেওয়া হয় ‘স্টাটিক গার্ড’ও।

বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে বিদায় জানান চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এ সময় উপস্থিত ছিলেন দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম।

প্রধানমন্ত্রী তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন, বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। এছাড়া, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফাহিমের নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলও সফরে ছিলেন।

টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর চীনে প্রথম সফরে শুরুতে ডালিয়ান পৌঁছান শেখ হাসিনা।

গত মঙ্গলবার ডালিয়ানে সামার ডাভোস নামে পরিচিত ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের গ্রীষ্মকালীন সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি, বৈঠক করেন ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস সোয়াবের সঙ্গে। ডালিয়ান থেকে বুধবার বেইজিং পৌঁছান শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব পিপলে পৌঁছলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা, গার্ড অব অনার ও তোপধ্বনির মাধ্যমে উঞ্চ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রোহিঙ্গা সঙ্কট ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর দুদেশ পাঁচটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা ও একটি লেটার অব এক্সচেঞ্জে সই করে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে দেওয়া চীনের প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে অংশ নেন তিনি।

বিকালে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন শেখ হাসিনা।

শুক্রবার দুপুরের পর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পর্কিত মিনিস্টার সান তাওয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিয়েন আন মেন স্কয়ারে চীনের জাতীয় বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের চেয়ারম্যান লি ঝাংসুর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টিতে শি জিনপিংয়ের পর দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে তাকেই বিবেচনা হয়।

বিকেলে বেইজিংয়ের দিয়ায়োতাই স্টেট গেস্ট হাইজে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। শি চিনপিংয়ের দেওয়া নৈশভোজেও অংশ নেন তিনি।