ঢাকা ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

উত্তাল হংকং : মুখোমুখি অবস্থানে বিক্ষোভকারী-পুলিশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে চীনা নিয়ন্ত্রণে থাকা হংকং। বুধবার শহরের বাণিজ্যিক এলাকা জুড়ে বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার মানুষ। তাদের চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

আরো পড়ুন : কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দন্ত বিভাগ থেকে ফের কেবিনে খালেদা জিয়া

আরো পড়ুন :  ওসি মোয়াজ্জেমকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বুধবার আরো পরের দিকে হংকংয়ের আইনসভায় বিতর্কিত বিলটি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছে বিরোধিতাকারীরা।

ভোর থেকেই সরকারি ভবনগুলোর সামনে জড়ো হতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। দ্রুতই ভবনগুলোর আশপাশের সড়কগুলো দখলে নেয় হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভে অংশ নেয়া অনেকের মুখ ঢাকা রয়েছে মাস্ক দিয়ে এবং মাথায় রয়েছে হেলমেট। পুলিশের ছোড়া টিয়ার গ্যাস ও সম্ভাব্য আঘাত ঠেকাতেই নেয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা।

অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে টিয়ার গ্যাস আর মরিচ গুড়া নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশও। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তারা যে কোনো উপায় অবলম্বন করতে পারে বলে বিবিসি জানিয়েছে। ফলে যে কোনো সময় শুরু হয়ে যেতে পারে হামলা ও ধরপাকড়।

এদিকে বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে প্রত্যর্পণ বিলটি নিয়ে হংকংয়ের ৭০ আসনের আইন পরিষদের সদস্যরা বিতর্ক শুরু করবেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে তারা আজই বিলটি পাস করবে কিনা সেটি স্পষ্ট নয়। এই আইনসভায় বেইজিংপন্থী সাংসদদের দখলে থাকায় তারা চাইলে যে কোনো সময় এটি পাস করতে পারে।

তবে হংকংয়ের এক সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, আগামী ২০ জুন এই বিলের ব্যাপারে চূড়ান্ত ভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং ধারণা করা হচ্ছে সেখানেই বিলটি পাস হতে পারে।

যদিও হংকংয়ের বেইজিংপন্থী নেতা ক্যারি ল্যাম জোর দিয়ে বলেছেন, বিতর্কিত প্রত্যার্পণ বিল বাতিলের কোনো পরিকল্পনা নেই তার সরকারের। বিলটি নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের একদিন পর গত সোমবার তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে গত রোববার অপরাধী প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে আরো একবার উত্তাল হয়ে উঠেছিলো হংকং। সেদিন পথে নেমে এসেছিলো ৩ লাখের বেশি বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় বিক্ষোভকারী জনতার সঙ্গে সংঘাতে কমপক্ষে তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও এক সাংবাদিক আহত হন।

১৯৯৭ সালে ব্রিটিশরা হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তরের পর সেখানে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের ঘটনা।

নতুন এই প্রত্যর্পণ আইনের ফলে চীন চাইলে সন্দেহভাজন অপরাধীদের নিজ ভূখণ্ডে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে। আর এ কারণেই এই আইনের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠেছে হংকংয়ের বাসিন্দারা।

রোববারের ওই ব্যাপক বিক্ষোভের জন্য বিদেশি শক্তিকে দায়ী করেছে চীন। সোমবার চায়না ডেইলি পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছিলো, ‘হংকংয়ের কিছু লোকজন তাদের বিদেশি মিত্রদের মদদে এই বিক্ষোভ করেছে।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

উত্তাল হংকং : মুখোমুখি অবস্থানে বিক্ষোভকারী-পুলিশ

আপডেট টাইম : ০২:০৫:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে চীনা নিয়ন্ত্রণে থাকা হংকং। বুধবার শহরের বাণিজ্যিক এলাকা জুড়ে বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার মানুষ। তাদের চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

আরো পড়ুন : কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দন্ত বিভাগ থেকে ফের কেবিনে খালেদা জিয়া

আরো পড়ুন :  ওসি মোয়াজ্জেমকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বুধবার আরো পরের দিকে হংকংয়ের আইনসভায় বিতর্কিত বিলটি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছে বিরোধিতাকারীরা।

ভোর থেকেই সরকারি ভবনগুলোর সামনে জড়ো হতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। দ্রুতই ভবনগুলোর আশপাশের সড়কগুলো দখলে নেয় হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভে অংশ নেয়া অনেকের মুখ ঢাকা রয়েছে মাস্ক দিয়ে এবং মাথায় রয়েছে হেলমেট। পুলিশের ছোড়া টিয়ার গ্যাস ও সম্ভাব্য আঘাত ঠেকাতেই নেয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা।

অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে টিয়ার গ্যাস আর মরিচ গুড়া নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশও। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তারা যে কোনো উপায় অবলম্বন করতে পারে বলে বিবিসি জানিয়েছে। ফলে যে কোনো সময় শুরু হয়ে যেতে পারে হামলা ও ধরপাকড়।

এদিকে বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে প্রত্যর্পণ বিলটি নিয়ে হংকংয়ের ৭০ আসনের আইন পরিষদের সদস্যরা বিতর্ক শুরু করবেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে তারা আজই বিলটি পাস করবে কিনা সেটি স্পষ্ট নয়। এই আইনসভায় বেইজিংপন্থী সাংসদদের দখলে থাকায় তারা চাইলে যে কোনো সময় এটি পাস করতে পারে।

তবে হংকংয়ের এক সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, আগামী ২০ জুন এই বিলের ব্যাপারে চূড়ান্ত ভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং ধারণা করা হচ্ছে সেখানেই বিলটি পাস হতে পারে।

যদিও হংকংয়ের বেইজিংপন্থী নেতা ক্যারি ল্যাম জোর দিয়ে বলেছেন, বিতর্কিত প্রত্যার্পণ বিল বাতিলের কোনো পরিকল্পনা নেই তার সরকারের। বিলটি নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের একদিন পর গত সোমবার তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে গত রোববার অপরাধী প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে আরো একবার উত্তাল হয়ে উঠেছিলো হংকং। সেদিন পথে নেমে এসেছিলো ৩ লাখের বেশি বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় বিক্ষোভকারী জনতার সঙ্গে সংঘাতে কমপক্ষে তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও এক সাংবাদিক আহত হন।

১৯৯৭ সালে ব্রিটিশরা হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তরের পর সেখানে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের ঘটনা।

নতুন এই প্রত্যর্পণ আইনের ফলে চীন চাইলে সন্দেহভাজন অপরাধীদের নিজ ভূখণ্ডে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে। আর এ কারণেই এই আইনের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠেছে হংকংয়ের বাসিন্দারা।

রোববারের ওই ব্যাপক বিক্ষোভের জন্য বিদেশি শক্তিকে দায়ী করেছে চীন। সোমবার চায়না ডেইলি পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছিলো, ‘হংকংয়ের কিছু লোকজন তাদের বিদেশি মিত্রদের মদদে এই বিক্ষোভ করেছে।’