ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ঐক্যফ্রন্টে অনৈক্য চাই না: কাদের

ফাইল ছবি

আলোর জগত ডেস্ক :  জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অভ্যন্তরীণ বিবাদের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টে ঐক্য নেই, এটি আমরা চাইনি।

আরো পড়ুন :   লিটন হত্যা: সাবেক এমপি কাদের খানের যাবজ্জীবন

ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ থাকুক এটাই আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটি জানান তিনি।

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা প্রকাশ পাচ্ছে- বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপারে আপনারা যে প্রশ্ন করেছেন, ঐক্যফ্রন্টে সমন্বয় নেই, ঐক্য নেই। আমরা সেটা চাই না। ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ হোক, তাদের মধ্যে সমন্বয় হোক, বাংলাদেশে একটা শক্তিশালী দায়িত্বশীল বিরোধীদল গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য শুভ।

তিনি বলেন, শক্তিশালী দায়িত্বশীল বিরোধীদল আমরা চাই। সংসদের ভিতরে এবং বাইরে শুধু দায়িত্বশীল নয়, শক্তিশালী বিরোধীদল আমরা চাই। বিরোধীদল যথাযথ ভূমিকা পালন করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা, শেখ হাসিনা সরকারের প্রত্যশা, সরকারী দল আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা।

খালেদার স্বাস্থ্যের বিষয়ে কোন ধরণের অভিযোগ পাওয়া যায়নি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বারবার বিদেশীদের কাছে ধরনা দিচ্ছে, বিদেশীরা কখনো বলেনি বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য খারাপ। তারা বলেছে, বন্দী অবস্থায় যেন ভালো চিকিৎসা হয়। ভালো চিকিৎসা তো হচ্ছে, ডাক্তারদের পক্ষ থেকে তো কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি।

আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিহিংসা মূলক বক্তব্য দিচ্ছে- বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা। শেখ হাসিনার ভালো কাজ তারা দেখতে পায় না, উন্নয়ন তাদের চোখে পড়ে না। কারণ হচ্ছে তারা ধরে নিয়েছে তাদের রাজনীতি হচ্ছে বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা। বাস্তব অবস্থার কোন বিচার বিশ্লেষণ তারা করছে না। আসলে তাদের পাওয়ারের চশমা দরকার। উন্নয়ন দেখার জন্য তাদের এখন পাওয়ারের চশমা দরকার। পাওয়ারের চশমা হলে হয়তো দেখতে পাবেন।

বিএনপির নারী সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই সংসদকে অবৈধ বলাকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারপরও তার সাহসের আমরা প্রসংশা করি যে, তিনি সংসদে এসেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম তো পাশ করেও সংসদে আসেন নি। সংসদে এসে সংসদের বিরুদ্ধে বলুক, সরকারের বিরুদ্ধে বলুক এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তারপরও সংসদে তো এসেছেন। সংসদ সদস্য হয়ে কিভাবে এই সংসদকে অবৈধ বললেন এর মিমাংসা সংসদ অধিবেশনে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ আমাদের দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস। সেই সঙ্গে পার্লামেন্টের বাজেট অধিবেশনও শুরু হচ্ছে আজ। তাই নেত্রীর কারামুক্তি দিবসে আমরা বিশেষ কর্মসূচি রাখছি না। দলের নেতাকর্মীরা প্রিয় নেত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা জানাবেন।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কোমার উকিল, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিনের মেয়র সাইদ খোকন প্রমুখ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

ঐক্যফ্রন্টে অনৈক্য চাই না: কাদের

আপডেট টাইম : ০৮:৩১:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :  জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অভ্যন্তরীণ বিবাদের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টে ঐক্য নেই, এটি আমরা চাইনি।

আরো পড়ুন :   লিটন হত্যা: সাবেক এমপি কাদের খানের যাবজ্জীবন

ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ থাকুক এটাই আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটি জানান তিনি।

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা প্রকাশ পাচ্ছে- বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপারে আপনারা যে প্রশ্ন করেছেন, ঐক্যফ্রন্টে সমন্বয় নেই, ঐক্য নেই। আমরা সেটা চাই না। ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ হোক, তাদের মধ্যে সমন্বয় হোক, বাংলাদেশে একটা শক্তিশালী দায়িত্বশীল বিরোধীদল গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য শুভ।

তিনি বলেন, শক্তিশালী দায়িত্বশীল বিরোধীদল আমরা চাই। সংসদের ভিতরে এবং বাইরে শুধু দায়িত্বশীল নয়, শক্তিশালী বিরোধীদল আমরা চাই। বিরোধীদল যথাযথ ভূমিকা পালন করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা, শেখ হাসিনা সরকারের প্রত্যশা, সরকারী দল আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা।

খালেদার স্বাস্থ্যের বিষয়ে কোন ধরণের অভিযোগ পাওয়া যায়নি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বারবার বিদেশীদের কাছে ধরনা দিচ্ছে, বিদেশীরা কখনো বলেনি বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য খারাপ। তারা বলেছে, বন্দী অবস্থায় যেন ভালো চিকিৎসা হয়। ভালো চিকিৎসা তো হচ্ছে, ডাক্তারদের পক্ষ থেকে তো কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি।

আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিহিংসা মূলক বক্তব্য দিচ্ছে- বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা। শেখ হাসিনার ভালো কাজ তারা দেখতে পায় না, উন্নয়ন তাদের চোখে পড়ে না। কারণ হচ্ছে তারা ধরে নিয়েছে তাদের রাজনীতি হচ্ছে বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা। বাস্তব অবস্থার কোন বিচার বিশ্লেষণ তারা করছে না। আসলে তাদের পাওয়ারের চশমা দরকার। উন্নয়ন দেখার জন্য তাদের এখন পাওয়ারের চশমা দরকার। পাওয়ারের চশমা হলে হয়তো দেখতে পাবেন।

বিএনপির নারী সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই সংসদকে অবৈধ বলাকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারপরও তার সাহসের আমরা প্রসংশা করি যে, তিনি সংসদে এসেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম তো পাশ করেও সংসদে আসেন নি। সংসদে এসে সংসদের বিরুদ্ধে বলুক, সরকারের বিরুদ্ধে বলুক এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তারপরও সংসদে তো এসেছেন। সংসদ সদস্য হয়ে কিভাবে এই সংসদকে অবৈধ বললেন এর মিমাংসা সংসদ অধিবেশনে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ আমাদের দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস। সেই সঙ্গে পার্লামেন্টের বাজেট অধিবেশনও শুরু হচ্ছে আজ। তাই নেত্রীর কারামুক্তি দিবসে আমরা বিশেষ কর্মসূচি রাখছি না। দলের নেতাকর্মীরা প্রিয় নেত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা জানাবেন।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কোমার উকিল, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিনের মেয়র সাইদ খোকন প্রমুখ।