নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় পাকিস্তান। শেলডন কটরেলের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১১ বলে ২ রান করা ইমাম উল হক। আরেক ওপেনার ফখর জামানকে বিদায় করেন আন্দ্রে রাসেল। ১৬ বলে দুটি চার আর এক ছয়ে ২২ রান করে বোল্ড হন ফখর জামান।
দলীয় ৪৫ রানের মাথায় বিদায় নেন হারিস সোহেল। ব্যক্তিগত ৮ রানে রাসেলের বলে উইকেটের পেছনে শাই হোপের গ্লাভসে ধরা পড়েন সোহেল। ম্যাচের ১৩তম ওভারের প্রথম বলে থমাসের বলে বাবর আজম ক্যাচ তুলে দেন শাই হোপের হাতে। ৩৩ বলে ২২ রানের ইনিংসে ছিল ২ টা চারের মার।
দলীয় ৭৫ রানে দলপতি সরফরাজ আহমেদ এবং ৭৭ রানের মাথায় ইমাদ ওয়াসিম বিদায় নেন। উইন্ডিজ দলপতি জেসন হোল্ডারের পরপর তিন আঘাতে পাকিস্তানের ব্যাটিং বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। ফিরিয়ে দেন সরফরাজ (৮) এবং ইমাদ ওয়াসিম (১) এবং হাসান আলীকে (১)।
১৮তম ওভারে ওশানে থমাস ফেরান শাদাব খানকে। ১৯তম ওভারে হাসান আলিকে বিদায় করেন হোল্ডার আর ২০তম ওভারে থমাস ফিরিয়ে দেন ১৬ রান করা মোহাম্মদ হাফিজকে। ২২তম ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান হয়ে বিদায় নেন ১১ বলে একটি চার আর দুটি ছক্কায় ১৮ রান করা ওয়াহাব রিয়াজ। বিশ্বকাপের শেষ মুহূর্তে দলে ডাক পাওয়া এই পেসারের ছোটো ইনিংসটি না থাকলে দলীয় শতকের আগেই গুটিয়ে যেত পাকিস্তান। মোহাম্মদ আমির ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওশানে থমাস ৫.৪ ওভারে ২৭ রানের বিনিময়ে তুলে নেন চারটি উইকেট। দলপতি হোল্ডার ৫ ওভারে ৪২ রানে তুলে নেন তিনটি উইকেট। আন্দ্রে রাসেল ৩ ওভারে ৪ রান খরচায় পান দুটি উইকেট। একটি উইকেট নেন ৪ ওভারে ১৮ রান খরচ করা শেলডন কট্রেল।
১০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করলো ক্রিস গেইল। মাত্র ৩৪ বলেই অর্ধশতকের দেখা পেলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব। এর আগে দলীয় ৩৬ রানের মাথায় বিদায় নেন উইন্ডিজ ওপেনার শাই হোপ। মোহাম্মদ আমিরের বলে মোহাম্মদ হাফিজের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন ১৭ বলে ১১ রান করা শাই হোপ। দলীয় ৪৬ রানে আমিরের বলে আউট হন ড্যারেন ব্রাভো। শিমরন হেটমেয়ার ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। নিকোলাস পুরান ১৯ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।