২০২২ সালে যদি ৪৮টি দেশ অংশ নিতো তাহলে বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ কাতারের পাশাপাশি অন্য দেশেও আয়োজন করতে হতো। কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা না বাড়ানোর বিষয়টি ফিফার এক দীর্ঘ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ফিফা বলেছে, ৪৮ টি দেশের অংশগ্রহণে বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-এর আয়োজন কাতার করতে পারে কিনা সেই বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখেছে। ফিফা মনে করছে, এখন এর বিষয়টি নিয়ে এগুনো ঠিক হবে না। কারণ এটি বাস্তবায়ন করার মতো যথেষ্ট সময় নেই।
কাতার বিশ্বকাপের আয়োজকরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০২২ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা বাড়ানোর যে পরিকল্পনা ছিল, সে বিষয়টিকে কাতার খোলা মনে দেখেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “টুর্নামেন্ট-এর এখন সাড়ে তিনবছর বাকি আছে। ৩২ টি দেশের অংশগ্রহণে এ যাবত-কালের সবচেয়ে ভালো বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য কাতার বদ্ধপরিকর।”
২০২২ সালের বিশ্বকাপ সমগ্র আরব বিশ্বকে গৌরবান্বিত করবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত নভেম্বর মাসে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কাতার বিশ্বকাপে ১৬টি বাড়তি দলের অংশ নিলে বহু সমস্যা তৈরি হবে এবং বিষয়টি বাস্তবসম্মত নয়।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বৃদ্ধি না করার বিষয়টি কাতারের জন্য স্বস্তিদায়ক। কারণ, বিশ্বকাপের আসর কাতারকে ভাগাভাগি করতে হবে না।
গত প্রায় দেড় বছর যাবত কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন। সুতরাং কাতারের পাশাপাশি এসব দেশে বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ আয়োজন এতো সহজ ছিল না।
ফলে বাকি ছিল কুয়েত এবং ওমান। কিন্তু এ দুটো দেশে বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ আয়োজনের অবকাঠামো নেই।
২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ফিফা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা হবে ৪৮টি। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা সম্মিলিতভাবে এই আসর আয়োজন করবে।
ফিফার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বিশ্বকাপ ফুটবলের বিস্তার ঘটানোর পক্ষে। তিনি মনে করেন, এই টুর্নামেন্ট-এ আরো দেশের অংশগ্রহণ থাকা উচিত। তিনি মনে করেন, ফুটবল শুধু ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিষয় নয়। এটি বৈশ্বিক বিষয়।
দেশের সংখ্যা ৪৮ টি হলে ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে ৬৪ থেকে ৮০ তে উন্নীত হবে। তবে টুর্নামেন্ট ৩২ দিনের মধ্যেই শেষ হবে।