আলোর জগত ডেস্ক: মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় ঘূর্ণিঝড়টি স্থলপথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর-সাতক্ষীরা অঞ্চল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এ জন্য লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করেছেন।
আরো পড়ুন : ফণী নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে, আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়ার নির্দেশ
আজ শনিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নজিবুর রহমান বলেন, ‘ফণী’র আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা সারা দেশে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষকে সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ এসব এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতার প্রশংসা করা হয়।
এ ছাড়া, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার-ভিডিপিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গৃহীত কার্যক্রমেরও সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেন, বিশ্ব পরিমণ্ডলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় রোলমডেল হিসেবে খ্যাত যেকোনো দুর্যোগকালে বাংলাদেশ সরকারের সব সংস্থাগুলোর সমন্বিতভাবে কাজ করার যে কৃষ্টি তৈরি হয়েছে, তা ভবিষ্যতে আরো সুদৃঢ় করবে।
মুখ্য সচিব এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতে জাতির যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সার্বক্ষণিকভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা প্রস্তুতি কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করে।