ঢাকা ০৯:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সবাই সজাগ ও সতর্ক থাকুন : প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

আলোর জগত ডেস্ক:   শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলার ঘটনায় দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের কোথাও কোনো অস্বাভাবিক কিছু পায়, সঙ্গে সঙ্গে যেন দেশবাসী তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানায়। আমরা জঙ্গিবাদ কঠোর হস্তে দমন করেছি। আমরা চাই না পৃথিবীতে এ ধরনের ঘটনা কোথাও ঘটুক। এসব ঘৃণ্য হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, সেসব সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের কোনো ধর্ম নেই, দেশ-কাল-পাত্র নেই। জঙ্গি জঙ্গিই, সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই। এ ধরনের সন্ত্রাসী কাজে জড়িত না হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।গতকাল বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ আহ্বান জানান। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বোমা হামলায় নিহত শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, ওই ঘৃণ্য হামলায় শুধু জায়ান চৌধুরীই নয়, প্রায় ৪০ জনের কাছাকাছি শিশুসহ প্রায় সাড়ে তিন শ মানুষ মারা গেছে। এ ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও বোমা হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।

আরো পড়ুন :   আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস

তিনি আরো বলেন, যাদের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, এর মধ্যে হামলাকারীরা কী অর্জন করছে জানি না। এই ছোট নিষ্পাপ শিশু তো কোনো অপরাধ করেনি? তারা কেন এভাবে জীবন দেবে?

ফেনীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মানুষসৃষ্ট সন্ত্রাসও দেখেছি। নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো। সে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। এ ধরনের অমানবিক ঘটনাগুলো সত্যিই মানবজাতির জন্য অকল্যাণকর।’ তিনি বলেন, ‘ইসলাম ধর্মের নামে যারা এসব কাজ করছে, ইসলাম যে শান্তির ধর্ম। সেই ধর্মকেই মানবজাতির কাছে হেয় প্রতিপন্ন করছে। সব ধর্মেই শান্তির কথা বলা আছে। তার পরও কিছু লোক ধর্মীয় উন্মাদনার নামে মানুষের প্রতি আঘাত হানে, মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়; যা মানবজাতির জন্য বেদনাদায়ক ও কষ্টকর। তাই দেশবাসীর কাছে আমার আহ্বান, এ ধরনের ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে মানুষ যেন জড়িত না হয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘৃণ্য কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতরাই নয়, সহায়তাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগ চতুর্থবার সরকার গঠন করার পর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে অনেক তথ্য প্রকাশ পায়। এসব তথ্য থেকে দেখা যায়, পরোক্ষভাবে দেশি-বিদেশি কিছু লোক ও সংস্থা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তাই এ নির্মম হত্যার ব্যাপারে অন্য পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করার জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়টি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

সবাই সজাগ ও সতর্ক থাকুন : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০১:৩৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক:   শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলার ঘটনায় দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের কোথাও কোনো অস্বাভাবিক কিছু পায়, সঙ্গে সঙ্গে যেন দেশবাসী তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানায়। আমরা জঙ্গিবাদ কঠোর হস্তে দমন করেছি। আমরা চাই না পৃথিবীতে এ ধরনের ঘটনা কোথাও ঘটুক। এসব ঘৃণ্য হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, সেসব সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের কোনো ধর্ম নেই, দেশ-কাল-পাত্র নেই। জঙ্গি জঙ্গিই, সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই। এ ধরনের সন্ত্রাসী কাজে জড়িত না হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।গতকাল বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ আহ্বান জানান। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বোমা হামলায় নিহত শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, ওই ঘৃণ্য হামলায় শুধু জায়ান চৌধুরীই নয়, প্রায় ৪০ জনের কাছাকাছি শিশুসহ প্রায় সাড়ে তিন শ মানুষ মারা গেছে। এ ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও বোমা হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।

আরো পড়ুন :   আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস

তিনি আরো বলেন, যাদের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, এর মধ্যে হামলাকারীরা কী অর্জন করছে জানি না। এই ছোট নিষ্পাপ শিশু তো কোনো অপরাধ করেনি? তারা কেন এভাবে জীবন দেবে?

ফেনীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মানুষসৃষ্ট সন্ত্রাসও দেখেছি। নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো। সে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। এ ধরনের অমানবিক ঘটনাগুলো সত্যিই মানবজাতির জন্য অকল্যাণকর।’ তিনি বলেন, ‘ইসলাম ধর্মের নামে যারা এসব কাজ করছে, ইসলাম যে শান্তির ধর্ম। সেই ধর্মকেই মানবজাতির কাছে হেয় প্রতিপন্ন করছে। সব ধর্মেই শান্তির কথা বলা আছে। তার পরও কিছু লোক ধর্মীয় উন্মাদনার নামে মানুষের প্রতি আঘাত হানে, মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়; যা মানবজাতির জন্য বেদনাদায়ক ও কষ্টকর। তাই দেশবাসীর কাছে আমার আহ্বান, এ ধরনের ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে মানুষ যেন জড়িত না হয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘৃণ্য কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতরাই নয়, সহায়তাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগ চতুর্থবার সরকার গঠন করার পর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে অনেক তথ্য প্রকাশ পায়। এসব তথ্য থেকে দেখা যায়, পরোক্ষভাবে দেশি-বিদেশি কিছু লোক ও সংস্থা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তাই এ নির্মম হত্যার ব্যাপারে অন্য পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করার জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়টি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।