ঢাকা ০৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

করপোরেট ট্যাক্স ২% কমানোর প্রস্তাব আইসিএবির

আলোর জগত ডেস্ক :   পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এবং তালিকার বাইরের সকল কোম্পানির কর্পোরেট ট্যাক্স ২ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব জানিয়েছে দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্ট বাংলাদেশ (আইসিএবি)। আজ রোববার রাজধানীর সিএ ভবনে আগামী জাতীয় বাজেটের ওপর চার্টার্ড একাউন্টেন্টদের ভাবনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই প্রস্তাব জানায় সংগঠনটি।

আইসিএবি সভাপতি নেসার উদ্দিন এফসিএ বলেন, বর্তমানে যে সংখ্যক জনগণ কর দেন তাদের সংখ্যা ভবিষ্যতে বৃদ্ধি করা না গেলে আমাদের দেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে পারবে না। সেজন্য ব্যবসায়ীদের সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। বর্তমানে মাত্র ১ শতাংশ মানুষ ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়। কারণ জনগণের মধ্যে এখনো ট্যাক্স দেওয়ার ভীতি কাজ করে। সেই ভয় দূরীকরণে এনবিআরকে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

আইসিএবির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, ট্যাক্সরেট কমালেই রাজস্ব কমে যাবে এই রকম আশঙ্কা করা ঠিক হবে না। কারণ করপোরেট ট্যাক্স কমানো হলে আরো অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী করের আওতায় প্রবেশ করতে পারবে এবং বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি হবে। দীর্ঘসময় পর বাংলাদেশ সরকার করপোরেট ট্যাক্স কমানোর সুফল ভোগ করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে আমাদের দেশের করপোরেট ট্যাক্স হার অনেক বেশি। তাই বিদেশি বিনিয়োগ পেতে হলে এই মুহূর্তে করপোরেট ট্যাক্স কমানো অত্যন্ত জরুরি।

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর এর সাথে আলোচনায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত যে সমস্ত মতামত আইসিএবি তুলে ধরেছে সেগুলো হচ্ছে-

বিভিন্ন সেক্টরের কর্পোরেট ট্যাক্স ২ শতাংশ কমিয়ে আনা।

বিদ্যমান করদাতাদের উপর অতিরিক্ত কর দ্বায় না চাপিয়ে কর যোগ্য ব্যক্তিদের কর নেটে অন্তর্ভুক্ত করে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা। এক্ষেত্রে ব্যক্তি শ্রেণির জন্য বিদ্যমান করের স্তর দ্বিতীয় ধাপ ৫ শতাংশ থেকে শুরু করা এবং সর্বোচ্চ কর হার ২৫ শতাংশে সীমিত রাখার জন্য প্রস্তাব করেছে আইসিএবি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

করপোরেট ট্যাক্স ২% কমানোর প্রস্তাব আইসিএবির

আপডেট টাইম : ০৭:৩২:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :   পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এবং তালিকার বাইরের সকল কোম্পানির কর্পোরেট ট্যাক্স ২ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব জানিয়েছে দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্ট বাংলাদেশ (আইসিএবি)। আজ রোববার রাজধানীর সিএ ভবনে আগামী জাতীয় বাজেটের ওপর চার্টার্ড একাউন্টেন্টদের ভাবনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই প্রস্তাব জানায় সংগঠনটি।

আইসিএবি সভাপতি নেসার উদ্দিন এফসিএ বলেন, বর্তমানে যে সংখ্যক জনগণ কর দেন তাদের সংখ্যা ভবিষ্যতে বৃদ্ধি করা না গেলে আমাদের দেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে পারবে না। সেজন্য ব্যবসায়ীদের সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। বর্তমানে মাত্র ১ শতাংশ মানুষ ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়। কারণ জনগণের মধ্যে এখনো ট্যাক্স দেওয়ার ভীতি কাজ করে। সেই ভয় দূরীকরণে এনবিআরকে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

আইসিএবির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, ট্যাক্সরেট কমালেই রাজস্ব কমে যাবে এই রকম আশঙ্কা করা ঠিক হবে না। কারণ করপোরেট ট্যাক্স কমানো হলে আরো অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী করের আওতায় প্রবেশ করতে পারবে এবং বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি হবে। দীর্ঘসময় পর বাংলাদেশ সরকার করপোরেট ট্যাক্স কমানোর সুফল ভোগ করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে আমাদের দেশের করপোরেট ট্যাক্স হার অনেক বেশি। তাই বিদেশি বিনিয়োগ পেতে হলে এই মুহূর্তে করপোরেট ট্যাক্স কমানো অত্যন্ত জরুরি।

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর এর সাথে আলোচনায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত যে সমস্ত মতামত আইসিএবি তুলে ধরেছে সেগুলো হচ্ছে-

বিভিন্ন সেক্টরের কর্পোরেট ট্যাক্স ২ শতাংশ কমিয়ে আনা।

বিদ্যমান করদাতাদের উপর অতিরিক্ত কর দ্বায় না চাপিয়ে কর যোগ্য ব্যক্তিদের কর নেটে অন্তর্ভুক্ত করে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা। এক্ষেত্রে ব্যক্তি শ্রেণির জন্য বিদ্যমান করের স্তর দ্বিতীয় ধাপ ৫ শতাংশ থেকে শুরু করা এবং সর্বোচ্চ কর হার ২৫ শতাংশে সীমিত রাখার জন্য প্রস্তাব করেছে আইসিএবি।