বিনোদন প্রতিবেদক : কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহকে আজ রোববার বেলা ২ টা ৪০ মিনিটের দিকে বনানীর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ সময় তাঁর স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতুল্লাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আত্মীয়স্বজনরা।
এর আগে বারিধারার ৯ নম্বর রোডের পার্ক মসজিদে বাদ জোহর একমাত্র জানাজা হয়। মেয়ে নাহিদ রহমতুল্লাহ লন্ডনে আর ছেলে সায়েফ রহমতুল্লাহ থাকেন কানাডায়। ছেলে-মেয়ের অপেক্ষায় না থেকে দাফনের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে শাহনাজ রহমতুল্লাহর স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতুল্লাহ বলেন, যে গেছে তাকে তো আর ফেরানো যাবে না। ছেলে কবে আসতে পারছে তার নিশ্চয়তা সকলের দোয়া চাই এখন।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১টা ১২ মিনিটের দিকে শাহনাজ রহমতুল্লাহ শ্বাসকষ্টজনিত কারণে বারিধারার নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন। গুণী এই সংগীতশিল্পীর জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৫২ সালে। বাবা এম ফজলুল হক ও মা আসিয়া হক। তাঁর মেয়ে নাহিদ রহমতুল্লাহ লন্ডনে আর ছেলে সায়েফ রহমতুল্লাহ কানাডায় থাকেন।
মাত্র ১১ বছর বয়সে রেডিও এবং চলচ্চিত্রের গানে তার যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৩ সালে। ১৯৬৪ সালে টিভিতে প্রথম গান করেন। ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে, এবার বল’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’সহ এমন অনেক কালজয়ী গানের কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ।
এক নদী রক্ত পেরিয়ে, একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে, একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ-এর মতো বেশকিছু দেশাত্মবোধক গানের জন্য সর্বসাধারণের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি।
সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় শাহনাজ রহমতুল্লাহ’র গাওয়া চারটি গান স্থান পায়।