স্পোর্টস ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার সময় কতটা কাছাকাছি ছিলেন, সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট।
তিনি জানিয়েছেন, খুবই ভাগ্য ভালো যে, ৩-৪ মিনিট আগে চলে এলেও হয়তো মসজিদের ভেতরে থাকতাম। বিশাল কিছু, ভয়ানক ঘটনা ঘটে যেতে পারত।
ম্যানেজার খালেদ মাসুদ জানান,আমরা খুবই সৌভাগ্যবান, আমরা বাসে ১৭ জনের মতো ছিলাম। দুইজন ক্রিকেটার শুধু হোটেলে ছিল, বাকি সবাই নামাজ পড়তে যাচ্ছিলাম। আমরা খুবই কাছে ছিলাম। মসজিদ দেখতে পাচ্ছিলাম কাছ থেকে, খুব বেশি হলে ৫০ গজের মতো দূরে ছিলাম।
তিনি বলেন, শুকরিয়া আদায় করব যে আমরা ওই জায়গায় ছিলাম না। আমরা ভিডিওর মতো দেখছিলাম, সিনেমার যেমন দেখা যায়, বাসের ভেতর থেকে দেখছিলাম বেশ কিছু মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসছে। প্রায় ৮-১০ মিনিট আমরা বাসের ভেতরই ছিলাম। মাথা নিচু করে ছিল সবাই, যাতে কোনো কারণে গুলি আসে।
ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ক্রিকেটাররা। যেসব ছবি সংবাদমাধ্যমে আসছে, দেখা যাচ্ছে ক্রিকেটারদের চেহারায় আতঙ্কের ছাপ। ম্যানেজার জানাচ্ছেন, ক্রিকেটারদের মানসিকতায় গভীর ছাপ ফেলেছেন এই ঘটনা।
ম্যানেজার জানালেন, যতটা দ্রুত সম্ভব, দেশে ফেরার ব্যবস্থা করছেন তারা।
এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি (ফেরার সময়ের), ফ্লাইট সূচির ব্যাপার আছে, টিকিটের ব্যাপার আছে। এতগুলি টিকিট একসঙ্গে পাওয়া কঠিন, ১৯ জনের মতো যাব ঢাকায়। সাপোর্ট স্টাফদের কেউ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কেউ দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবে। ওরা হয়তো টিকিট পেয়ে যাবে দ্রুত। আমাদের এই ১৯ জনের হয়তো এক ফ্লাইটে সম্ভব না হলেও ভাগ ভাগ করে চাইছি, যত দ্রুত সম্ভব চলে যেতে।
হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে একটি মসজিদে শুক্রবার ( ১৫ মার্চ ) স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা। লিটন দাস ও নাঈম হাসান ছাড়া বাংলাদেশ দলের সবাই মাঠে অনুশীলনে ছিলেন। অনুশীলন শেষে তাঁরা ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ে যান। মসজিদে প্রবেশের মুহূর্তে স্থানীয় একজন তাঁদের মসজিদে ঢুকতে নিষেধ করেন। জানান, এখানে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আতঙ্কিত খেলোয়াড়েরা তখন দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফেরত আসেন। পরে তাদের হোটেলে নিয়ে আসা হয়। সেখানে এই মুহূর্তে তারা নিরাপদেই অবস্থান করছেন।