এরই মধ্যে জিদানের সঙ্গে নতুন চুক্তিও করে ফেলেছে রিয়াল। ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ক্লাবটির কোচের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ক্লাবটির ওয়েবসাইটে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে তা। তবে বরখাস্ত হলেও সোলারি ক্লাবের অন্য দায়িত্বে থাকবেন।
গত মে মাসে হঠাৎই কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন জিদান। এর পর থেকে হুলেন লোপেতেগুইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে গত বছর অক্টোবরে বরখাস্ত করা হয়েছিল স্পেন জাতীয় দলের সাবেক এই কোচকে। এর পর অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পান ক্লাবটির ‘বি’ দলের কোচ সান্তিয়াগো সোলারি। সোলারির অধীনে সময়টা ভালো কাটেনি স্পেনের সফলতম দলটির।
তবে এর আগে আড়াই বছরের দায়িত্বে রিয়ালকে দারুণ কিছু সাফল্য এনে দিয়েছিলেন জিদান। তাঁর সময়ে রিয়াল নয়টি শিরোপা জিতেছিল। সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল টানা তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো।
তাই ক্লাবটির ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে সময়ে আবার জিদানের শরণাপন্ন হয় রিয়াল। কোপা দেল রে, লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ—তিনটি আসরেই বাজে পারফরম্যান্স ছিল রিয়ালের। তাই সোলারির চাকরি হারানোর গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।
কদিন আগে ডাচ ক্লাব আয়াক্সের কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বে ৪-১ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় রিয়াল। এর আগে বার্সেলোনার কাছে হেরেছিল। তাই এই আর্জেন্টাইন কোচের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়ে জিদান দলকে কেমন সাফল্য এনে দেন, সেটাই এখন দেখার। লা লিগায় ২৭ ম্যাচ শেষে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছ তাঁর দল।