আলোর জগত ডেস্ক : রাজধানীর কাঁচাবাজারে চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে মাছ, মুরগী, সবজি ও মুদিপণ্যের দাম। মৌসুম পরিবর্তনসহ সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। আর ক্রেতাদের দাবি কঠোর বাজার তদারকির। এদিকে ধরা ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও বাজারে ইলিশের অভাব নেই। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নানা অযুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
চালের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বাজারে বেড়েছে বেশ কয়েকটি সবজির দাম। বেগুন, মটরশুটি ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকা কেজি দরে। শীতের কিছু সবজির দাম কমলেও অনান্য সবজি কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি বিক্রী হচ্ছে। আর দাম বাড়ার জন্য বিক্রেতারা মৌসুম পরিবর্তনকেই দায়ি করলেন।
এদিকে মাছের বাজারও চড়া। বেশ কিছু মাছের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১শ’ টাকা পর্যন্ত। দাম বাড়ার জন্য সরবরাহ কম হওয়াকেই দায়ি করলেন বিক্রেতারা। আর এতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানান ক্রেতারা। আর ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ হলেও বাজারে সয়লাব এই মাছটি। কিন্তু এর কোন সুদুত্তোর দিতে পারেনি বিক্রেতা।
বাজারে বেড়েছে সবধরনের মুরগীর দাম। ১০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লারসহ দেশি-বিদেশী মুরগী। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বাড়তি এই দাম, এমনটাই বললেন বিক্রেতা।
বেড়েছে মুদিপণ্যও। পেয়াঁজের দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা ও রসুনের দাম ৯০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। দাম বাড়ার জন্য বৃষ্টিকেই দায়ি করলেন বিক্রেতারা।
এদিকে, অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম।