ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

তিউনিশিয়ায় হামলায় আজীবন কারাদণ্ড ৭ জঙ্গির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   ২০১৫ সালে তিউনিশিয়ার একটি জাদুঘর ও সমুদ্র সৈকতে একটি রিসোর্টে হামলায় ঘটনায় ৭ জঙ্গিকে আজীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর মুখপাত্র সোফিয়েনি স্লিতি জানিয়েছেন, এই ৭ জন ছাড়া আদালত আরও কয়েকজন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। এছাড়া ২৭ জনকে মামলায় খালাস দেয়া হয়েছে। খালাসের রায়ে আপিল করার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই দু’টি হামলার ঘটনায় মোট ৬০ জন নিহত হয়েছিল। আহত হয়েছিল আরও অনেকে। হতাহতদের অধিকাংশই ছিল পর্যটক।

২০১৫ সালের মার্চে তিউনিশিয়ার বার্দো জাদুঘরে প্রথম হামলাটি চালানো হয়েছিল। ওই হামলায় ২২ জন নিহত হয়। এর তিন মাস পর স্যুসের কাছে পোর্ট এল কান্তাউইতে দ্বিতীয় সন্ত্রাসী হামলায় ৩৮ পর্যটক নিহত হয়। এদের বেশিরভাগই ছিল ব্রিটিশ। দু’টো হামলারই দায় শিকার করেছিল জঙ্গি সংগঠন কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

দু’টো হামলার ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছিল। স্যুসের মামলায় ৪ জঙ্গিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আরও ৫ জনকে ৬ মাস থেকে ১৬ বছর মেয়াদি কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর বার্দোর মামলায় ৩ আসামিকে যাবজ্জীবন এবং বাকি বেশ কয়েকজনকে অন্যান্য মেয়াদে সাজার আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আদালত। তবে হামলা ‍দু’টোর মূল পরিকল্পনাকারী যাকে মনে করা হচ্ছে, সেই চামসেদ্দিন আল-সান্দিকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

এর মাঝে একবার গুজব উঠেছিল ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে লিবিয়ায় মার্কিন বিমান হামলায় তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তথ্যটি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

তিউনিশিয়ায় হামলায় আজীবন কারাদণ্ড ৭ জঙ্গির

আপডেট টাইম : ০২:০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   ২০১৫ সালে তিউনিশিয়ার একটি জাদুঘর ও সমুদ্র সৈকতে একটি রিসোর্টে হামলায় ঘটনায় ৭ জঙ্গিকে আজীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর মুখপাত্র সোফিয়েনি স্লিতি জানিয়েছেন, এই ৭ জন ছাড়া আদালত আরও কয়েকজন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। এছাড়া ২৭ জনকে মামলায় খালাস দেয়া হয়েছে। খালাসের রায়ে আপিল করার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই দু’টি হামলার ঘটনায় মোট ৬০ জন নিহত হয়েছিল। আহত হয়েছিল আরও অনেকে। হতাহতদের অধিকাংশই ছিল পর্যটক।

২০১৫ সালের মার্চে তিউনিশিয়ার বার্দো জাদুঘরে প্রথম হামলাটি চালানো হয়েছিল। ওই হামলায় ২২ জন নিহত হয়। এর তিন মাস পর স্যুসের কাছে পোর্ট এল কান্তাউইতে দ্বিতীয় সন্ত্রাসী হামলায় ৩৮ পর্যটক নিহত হয়। এদের বেশিরভাগই ছিল ব্রিটিশ। দু’টো হামলারই দায় শিকার করেছিল জঙ্গি সংগঠন কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

দু’টো হামলার ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছিল। স্যুসের মামলায় ৪ জঙ্গিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আরও ৫ জনকে ৬ মাস থেকে ১৬ বছর মেয়াদি কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর বার্দোর মামলায় ৩ আসামিকে যাবজ্জীবন এবং বাকি বেশ কয়েকজনকে অন্যান্য মেয়াদে সাজার আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আদালত। তবে হামলা ‍দু’টোর মূল পরিকল্পনাকারী যাকে মনে করা হচ্ছে, সেই চামসেদ্দিন আল-সান্দিকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

এর মাঝে একবার গুজব উঠেছিল ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে লিবিয়ায় মার্কিন বিমান হামলায় তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তথ্যটি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।