ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে এমপি প্রার্থী জাফর এখনও বেপরোয়া!

দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য ও ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করায় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া ও পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এবারের নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
নানা কারণেই বিতর্কিত এই জাফর আলম। সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছেন হাজারও ভুক্তভোগী।

তাদের দাবি, এমপি জাফর আলম ও তার লালিত সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগীদের মালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জাল দলিল তৈরি করে জমি দখল, পৈতৃক ভিটামাটি ও চিংড়ি ঘের দখল করে নিয়েছেন।
এর প্রতিবাদ হিসাবে গত শুক্রবার চকরিয়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও পেকুয়ায় পৃথকভাবে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা। এসময় কয়েকশ ভুক্তভোগী ও নির্যাতনের শিকার নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে।

ভুক্তভোগীরা জানান, এমপি জাফর আলম ও দখলদার বাহিনী ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠিত স্কুলঘর জবরদখল করে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে অবৈধভাবে বিক্রি করেছে, আবার কারও দোকান ঘর, মাছের ঘের, কারও বসতভিটা দখল করে তাদের পথে বসিয়েছে।
এতদিন জাফর আলম এমপি থাকায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস না করলেও আজ সুযোগ হওয়ায় তাদের অধিকার ফিরে পেতে সোচ্চার হয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

এর আগে জাফর আলমের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। তার নির্যাতনে সপরিবারে চকরিয়া থেকে পালিয়ে রাজধানীতে অবস্থান করছেন সেই যুবলীগ নেতা।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্নিষ্ট প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে নির্যাতিত পরিবারটি স্মারক লিপি ও দিয়েছিলো।

চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোজাফ্‌ফর হোসেন পল্টু। বলেন, গত বছরের মে মাসে চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলম দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আপন ভাতিজা যুবদল কর্মী জিয়াবুল হককে স্বতন্ত্র প্রার্থী করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনে জিয়াবুল হক পরাজিত হলে এমপি তার (পল্টু) ওপর চরম ক্ষিপ্ত হন। এর জের ধরে এমপি জাফর আলম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তার ও পরিবারের সদস্যদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করেন। উপর্যুপরি নির্যাতন এবং তাদের বসতভিটা ও লবন কারখানাসহ এক একর জায়গা দখল করে নেয় তারা।

তিনি বলেন, পরে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে নানাভাবে তার ও তার পরিবারের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন অব্যাহত থাকলে এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজধানীতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন তিনি।
দখল ও চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া এই এমপির পক্ষে কাজ করছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নামধারী সন্ত্রাসীরা। এরা প্রত্যেকেই ইয়াবা ব্যবসাসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জানান, জাফর আলমকে ইতিমধ্যেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দিলেও সাড়া দেননি এমপি জাফর আলম।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

কক্সবাজারে এমপি প্রার্থী জাফর এখনও বেপরোয়া!

আপডেট টাইম : ০৩:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য ও ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করায় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া ও পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এবারের নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
নানা কারণেই বিতর্কিত এই জাফর আলম। সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছেন হাজারও ভুক্তভোগী।

তাদের দাবি, এমপি জাফর আলম ও তার লালিত সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগীদের মালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জাল দলিল তৈরি করে জমি দখল, পৈতৃক ভিটামাটি ও চিংড়ি ঘের দখল করে নিয়েছেন।
এর প্রতিবাদ হিসাবে গত শুক্রবার চকরিয়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও পেকুয়ায় পৃথকভাবে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা। এসময় কয়েকশ ভুক্তভোগী ও নির্যাতনের শিকার নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে।

ভুক্তভোগীরা জানান, এমপি জাফর আলম ও দখলদার বাহিনী ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠিত স্কুলঘর জবরদখল করে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে অবৈধভাবে বিক্রি করেছে, আবার কারও দোকান ঘর, মাছের ঘের, কারও বসতভিটা দখল করে তাদের পথে বসিয়েছে।
এতদিন জাফর আলম এমপি থাকায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস না করলেও আজ সুযোগ হওয়ায় তাদের অধিকার ফিরে পেতে সোচ্চার হয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

এর আগে জাফর আলমের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। তার নির্যাতনে সপরিবারে চকরিয়া থেকে পালিয়ে রাজধানীতে অবস্থান করছেন সেই যুবলীগ নেতা।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্নিষ্ট প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে নির্যাতিত পরিবারটি স্মারক লিপি ও দিয়েছিলো।

চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোজাফ্‌ফর হোসেন পল্টু। বলেন, গত বছরের মে মাসে চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলম দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আপন ভাতিজা যুবদল কর্মী জিয়াবুল হককে স্বতন্ত্র প্রার্থী করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনে জিয়াবুল হক পরাজিত হলে এমপি তার (পল্টু) ওপর চরম ক্ষিপ্ত হন। এর জের ধরে এমপি জাফর আলম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তার ও পরিবারের সদস্যদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করেন। উপর্যুপরি নির্যাতন এবং তাদের বসতভিটা ও লবন কারখানাসহ এক একর জায়গা দখল করে নেয় তারা।

তিনি বলেন, পরে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে নানাভাবে তার ও তার পরিবারের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন অব্যাহত থাকলে এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজধানীতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন তিনি।
দখল ও চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া এই এমপির পক্ষে কাজ করছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নামধারী সন্ত্রাসীরা। এরা প্রত্যেকেই ইয়াবা ব্যবসাসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জানান, জাফর আলমকে ইতিমধ্যেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দিলেও সাড়া দেননি এমপি জাফর আলম।