ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আত্মঘাতী হামলার রেকর্ড পাকিস্তানে

চলতি ২০২৩ সালে পাকিস্তানজুড়ে যত আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটেছে, তার সংখ্যা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটির থিঙ্কট্যাংক সংস্থা পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (পিকস) সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য।

বিবৃতিতে পিকস জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত পাকিস্তানজুড়ে আত্মঘাতী হামলা হয়েছে মোট ২৯টি; আর এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ৩২৯ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৫৮২ জন।

এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে আত্মঘাতি বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল ৪৭টি। সেসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬৮৩ জন।

তারপর থেকে ধীরে ধীরে পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলার হার কমে আসছিল, কিন্তু চলতি বছরের শুরু থেকে ফের তাতে উর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে পিকস।

এমনকি গত বছর ২০২২ সালের তুলনায় চলতি বছর আত্মঘাতী হামলার হার ৯৩ শতাংশ বেড়েছে এবং এসব হামলায় নিহত ও আহতের হার বেড়েছে যথাক্রমে ২২৬ শতাংশ এবং ১০১ শতাংশ।

আত্মঘাতী হামলার পাশাপাশি জঙ্গি হামলাতেও চলতি বছর ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে পাকিস্তানে। পিকসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে পাকিস্তানে মোট জঙ্গি হামলা ঘটেছে ৬২৩টি। আগের বছর ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৮০টি।

২০২৩ সালে পাকিস্তানে যত হামলা হয়েছে, শতকরা হিসেবে সেগুলোর ৪ দশমিক ৭ শতাংশই আত্মঘাতী। ২০২২ সালে এর হার ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০২১ সালে এই হার ছিল ১ দশমিক ৪ শতাংশ।

অঞ্চল হিসেবে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়াতে। চলতি বছর মোট ২৩ টি হামলার ঘটনা ঘটেছে প্রদেশটির বিভিন্ন এলাকায় এবং এসব হামলায় নিহত কহয়েছেন ২৫৪ জন, আহত হয়েছেন ৫১২জন।

বাকি ৬টি হামলার মধ্যে ৫টি ঘটেছে বেলুচিস্তানে এবং ১টি সিন্ধ প্রদেশে।

পিকস জানিয়েছে, মূলত সামরিক ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের ‘টার্গেট’ করে পরিচালিত হয়েছে অধিকাংশ আত্মঘাতী হামলা। এসব হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের ৫৮ শতাংশ হয় সেনা সদস্য, নয়তো পুলিশ।

সামরিক বাহিনীর এই থিঙ্কট্যাংক সংস্থা আরও জানিয়েছে, ২০১৩ সালের পর ’১৪ থেকে ’১৯ পর্যন্ত প্রতি বছর আত্মঘাতী হামলায় নিম্নগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। ২০২০ এবং ’২১ সালেও উল্লেখযোগ্য কোনো ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়নি।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আত্মঘাতী হামলার রেকর্ড পাকিস্তানে

আপডেট টাইম : ০৫:১৬:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

চলতি ২০২৩ সালে পাকিস্তানজুড়ে যত আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটেছে, তার সংখ্যা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটির থিঙ্কট্যাংক সংস্থা পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (পিকস) সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য।

বিবৃতিতে পিকস জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত পাকিস্তানজুড়ে আত্মঘাতী হামলা হয়েছে মোট ২৯টি; আর এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ৩২৯ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৫৮২ জন।

এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে আত্মঘাতি বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল ৪৭টি। সেসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬৮৩ জন।

তারপর থেকে ধীরে ধীরে পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলার হার কমে আসছিল, কিন্তু চলতি বছরের শুরু থেকে ফের তাতে উর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে পিকস।

এমনকি গত বছর ২০২২ সালের তুলনায় চলতি বছর আত্মঘাতী হামলার হার ৯৩ শতাংশ বেড়েছে এবং এসব হামলায় নিহত ও আহতের হার বেড়েছে যথাক্রমে ২২৬ শতাংশ এবং ১০১ শতাংশ।

আত্মঘাতী হামলার পাশাপাশি জঙ্গি হামলাতেও চলতি বছর ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে পাকিস্তানে। পিকসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে পাকিস্তানে মোট জঙ্গি হামলা ঘটেছে ৬২৩টি। আগের বছর ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৮০টি।

২০২৩ সালে পাকিস্তানে যত হামলা হয়েছে, শতকরা হিসেবে সেগুলোর ৪ দশমিক ৭ শতাংশই আত্মঘাতী। ২০২২ সালে এর হার ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০২১ সালে এই হার ছিল ১ দশমিক ৪ শতাংশ।

অঞ্চল হিসেবে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়াতে। চলতি বছর মোট ২৩ টি হামলার ঘটনা ঘটেছে প্রদেশটির বিভিন্ন এলাকায় এবং এসব হামলায় নিহত কহয়েছেন ২৫৪ জন, আহত হয়েছেন ৫১২জন।

বাকি ৬টি হামলার মধ্যে ৫টি ঘটেছে বেলুচিস্তানে এবং ১টি সিন্ধ প্রদেশে।

পিকস জানিয়েছে, মূলত সামরিক ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের ‘টার্গেট’ করে পরিচালিত হয়েছে অধিকাংশ আত্মঘাতী হামলা। এসব হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের ৫৮ শতাংশ হয় সেনা সদস্য, নয়তো পুলিশ।

সামরিক বাহিনীর এই থিঙ্কট্যাংক সংস্থা আরও জানিয়েছে, ২০১৩ সালের পর ’১৪ থেকে ’১৯ পর্যন্ত প্রতি বছর আত্মঘাতী হামলায় নিম্নগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। ২০২০ এবং ’২১ সালেও উল্লেখযোগ্য কোনো ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়নি।