ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রায় সমান দ্বৈরথের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড। যদিও সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে গেছে উইন্ডিজদের পকেটে। তবে সফরকারী ইংলিশরা আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্যারিবীয়দের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হতে যাওয়ায় এই সিরিজ থেকে শেখার কথা জানিয়েছে। বিশ্বকাপ শুরুর আরও ৬ মাস বাকি। তবে এখন থেকে তারা দল গোছানোর কথা ভাবছে। সে কারণে বেন স্টোকস ও জোফরা আর্চারের মতো তারকা ক্রিকেটাররা ফিরতে খেলবেন কি না— বারবার সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হচ্ছে ইংলিশ কোচদের।
যার নিয়ে আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি জানিয়েছেন দলটির প্রধান কোচ ম্যাথু মট। যেখানে তিনি বলেন— আর্চার ও স্টোকসের জন্য দলের দুটি স্পট ফাঁকা রাখতেও রাজি। একইসঙ্গেযাতে তাঁরা সম্পূর্ণ ফিট হয়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে তিনি তাদের যথেষ্ট সময় দিতে চান।
আগামী বছরের জুনে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। যেখানে নিজেদের হারানো গৌরব ফেরাতে চায় ইংল্যান্ড। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পা রাখলেও, তারা ৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটি জয় নিয়ে ভারত ছাড়ে। এমন পরিস্থিতি ২০ ওভারের বিশ্ব আসরে বদলে দিতে আর্চার ও স্টোকসকে নিয়ে আলাদা গুরুত্বের কথা জানিয়েছেন কোচ মট। অলরাউন্ডার স্টোকসের সমস্যা রয়েছে হাঁটুতে, ইতোমধ্যে অস্ত্রোপচারও হয়েছে তার। ধীরে ধীরে তিনি সেরে উঠছেন। অন্যদিকে, ২৮ বছর বয়সী আর্চারের চোট সঙ্গী হয়েছে ক্যারিয়ার জুড়েই। বর্তমানে তিনি কাঁধের চোটের দীর্ঘদিনের সমস্যায় ভুগছেন।
ভারত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল জস বাটলারের দলকে। বিশ্বকাপের আগেই অবসর ভেঙে ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিরেছিলেন স্টোকস। তবে বিশ্বকাপে সেভাবে পারফর্মে করতে পারেননি, যার পেছনে চোট অন্যতম কারণ বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে আর্চারকে রিজার্ভ হিসেবে ভারতে নিয়ে যাওয়া হলেও তার চোট না সারায় তাকে খেলানো সম্ভব হয়নি। এখনও তিনি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন।
দুই তারকা ক্রিকেটারকে নিয়ে আইসিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মট জানিয়েছেন, ‘এই দুজন (স্টোকস-আর্চার) অসাধারণ দুই ক্রিকেটার। স্টোকসের ম্যাচ জেতানোর অভূতপূর্ব অলরাউন্ড ক্ষমতা রয়েছে। পাশাপাশি প্রথম ছয়ে একজন সিম বোলারের অপশনও দেয় স্টোকস। যা দলের ভারসাম্য রক্ষা করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফলে দল নির্বাচনও বেশ সহজ হয়ে যায়। আর সেই কারণেই আমি ওদের জন্য অপেক্ষা করব, যাতে ওরা সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারে।’
আর্চারের বিষয়ে মট বলেন, ‘আমি যদি জোফরার কথা বলি ওর হাতে আগুনে গতি (বক্স অফিস পেস) আছে। বলের গতির ভালো পরিবর্তন করতে পারে সে। ইনিংসের যেকোনো ওভার বল করতে পারে। ইনিংসের শেষ ওভার কিংবা সুপার ওভার সবক্ষেত্রেই বোলিংয়ে পারদর্শী জোফরা। তাই তাকে মাঠে পাওয়াটা বড় বিষয়। আশা করি সবাই বিষয়টা জানে এবং আমার সঙ্গে সহমতও হবে।’
উইন্ডিজদের কাছে হারের বিষয়ে ইংলিশ কোচ বলেন, ‘আমরা আসলেই এই সফরে নিজেদের শিক্ষা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়টা প্রাপ্য ছিল, তবে আমরা ভালো পারফর্ম করেছি এখানে। জেনেছি যে পাইপলাইনে আমাদের ভালো কিছু বিষয় আছে।’