গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মারা যান পেলে। এর আগে থেকেই এক নারী নিজেকে এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির কন্যা দাবি করে আসছিলেন। এবার তার ডিএনএ পরীক্ষা করে জানা গেল, তিনি পেলের সন্তান নন।
পেলের ছেলে এদিনির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সংবাদ সংস্থা এএফপি। ৫৩ বছর বয়সী এদিনিও এখন তার বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন, ডিএনএ পরীক্ষা দুই মাস আগে সম্পন্ন হয়েছে।
এদিনিও বলেছেন, ‘আমরা এরই মধ্যে (ডিএনএ) পরীক্ষা করিয়েছি। এটা নিশ্চিত হয়েছি, সে আমাদের বোন নয়। সে ও আমি মিলে পরীক্ষাগারে এই পরীক্ষা করিয়েছি এবং কোনো সম্পর্ক যে নেই, সেটা নিশ্চিত হয়েছি।’
বাবার সম্পত্তির বণ্টন নিয়ে এদিনিও বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক গতিতেই এগোচ্ছে। ভাইদের মধ্যে মিল আছে। মার্সিয়ার (পেলের তৃতীয় স্ত্রী, যিনি ৩০ শতাংশ সম্পত্তি পাবেন) দিক থেকেও কোনো অসুবিধা নেই। আমার বাবা যেভাবে ইচ্ছা প্রকাশ করে গেছেন, তার প্রতি সম্মান দেখানো হবে।’
মূলত পেলের রেখে যাওয়া সম্পত্তির উত্তরাধিকারী কারা, সে বিষয় আংশিকভাবে প্রকাশিত হয় গত বছরের শুরুর দিকে। তখন পেলের স্ত্রীর আইনজীবী লুইজ কিগনেল এএফপিকে জানিয়েছিলেন, পেলের আরেকটি কন্যাসন্তান হয়তো আছে।
আনুমানিক ১৭৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকার সম্পত্তি রেখে গেছেন পেলে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। তবে পেলের পরিবার এ নিয়ে মুখ খুলেনি। তাই তার সম্পত্তির সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।