ঢাকা ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

জোর-জবরদস্তি করে মানুষকে নৌকায় ওঠানো হচ্ছে : নুর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ও বীর উত্তম শাহজাহান ওমর আজীবন বিএনপি করেছেন, তিনি আওয়ামী লীগকে মন থেকে ঘৃণা করতেন। বীর উত্তম শাহজাহানকে ব্ল্যাকমেইল করে শেষ পর্যন্ত নৌকায় উঠিয়েছেন। এভাবে জোর-জবরদস্তি করে মানুষকে নৌকায় উঠিয়ে সেই নৌকা গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারবেন?

তিনি বলেন, দুঃখজনক হচ্ছে, আজ যে নির্বাচনের নামে নাটক হচ্ছে, এই নাটক আওয়ামী লীগ করছে না। সরকার করছে না, বিদেশিরাও করছে না, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কিছু ব্যক্তি নিজেদের টাকা পয়সা অর্থ বিত্ত ক্ষমতাকে ভোগ করার জন্য আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সাইনবোর্ডকে ব্যবহার করে এই সাজানো-পাতানো নির্বাচনের দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ৩৮টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। আর বহির্বিশ্ব বলছে, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয় তাহলে এর ভুক্তভোগী হব আমরা জনগণ। সাধারণ শ্রমিকদের জন্য রাষ্ট্র সুচিকিৎসা দিতে পারেনি।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ (এসএসপি) আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন নুর। শ্রমিক হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ, কর্মচ্যুতদের পুনর্বহাল, গ্রেপ্তারদের মুক্তি, গার্মেন্টস শিল্প ঘোষিত মজুরি প্রস্তাব প্রত্যাহার এবং ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা পুনর্নির্ধারণের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

নুরুল হক নুর বলেন, যে আন্দোলন হয়েছে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির, সেখানে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইভাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জহির উদ্দিন স্বপন থেকে শুরু করে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ২৮ অক্টোবর পুলিশের অনুমতি পেয়েছে, সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে, একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পল্টনে করতে চেয়েছিল। সেখানে প্রশাসনের ব্লু প্রিন্টে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের গুন্ডাপান্ডা দিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার নাটক করিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। এমনকি আমাদেরও ভয় দেখানো হয়েছিল– আমরা যদি নির্বাচনে না যাই ওই মামলায় আমাদেরকেও জেলে ঢুকানো হবে।

তিনি বলেন, আজ সারা দেশের কৃষক শ্রমিকদের রাজনৈতিক অধিকার কায়েম করার জন্য সবাইকে জেগে উঠতে হবে। আজ ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে আমাদেরকে আরবদের দাস-দাসীদের মতো বানানো হচ্ছে। যখন মন চাইবে আমাদেরকে জেলে ঢুকাবে, যখন মন চাইবে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নাশকতার মামলা দিয়ে থানায় ঢুকাবে। এভাবে একটা রাষ্ট্র চলতে পারে না। আমরা অস্তিত্বের সংকটে দাঁড়িয়ে আছি। নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্য জনগণকে রাজপথে যা করার করতে হবে। শেখ হাসিনার পতন ব্যতীত আমাদের মুক্তি নেই। আমাদের মুক্তির জন্য শেখ হাসিনার পতন ঘটাতেই হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুণ্ডারা অস্ত্র নিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছে। সব জায়গায় তাদের এজেন্টদের দিয়ে একটা উত্তেজিত পরিস্থিতি তৈরি করে আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপানো হয়। আজ গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির প্রতি আমরা সংহতি প্রকাশ করছি, সমর্থন জানাচ্ছি।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

জোর-জবরদস্তি করে মানুষকে নৌকায় ওঠানো হচ্ছে : নুর

আপডেট টাইম : ০৫:১৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ও বীর উত্তম শাহজাহান ওমর আজীবন বিএনপি করেছেন, তিনি আওয়ামী লীগকে মন থেকে ঘৃণা করতেন। বীর উত্তম শাহজাহানকে ব্ল্যাকমেইল করে শেষ পর্যন্ত নৌকায় উঠিয়েছেন। এভাবে জোর-জবরদস্তি করে মানুষকে নৌকায় উঠিয়ে সেই নৌকা গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারবেন?

তিনি বলেন, দুঃখজনক হচ্ছে, আজ যে নির্বাচনের নামে নাটক হচ্ছে, এই নাটক আওয়ামী লীগ করছে না। সরকার করছে না, বিদেশিরাও করছে না, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কিছু ব্যক্তি নিজেদের টাকা পয়সা অর্থ বিত্ত ক্ষমতাকে ভোগ করার জন্য আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সাইনবোর্ডকে ব্যবহার করে এই সাজানো-পাতানো নির্বাচনের দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ৩৮টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। আর বহির্বিশ্ব বলছে, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয় তাহলে এর ভুক্তভোগী হব আমরা জনগণ। সাধারণ শ্রমিকদের জন্য রাষ্ট্র সুচিকিৎসা দিতে পারেনি।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ (এসএসপি) আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন নুর। শ্রমিক হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ, কর্মচ্যুতদের পুনর্বহাল, গ্রেপ্তারদের মুক্তি, গার্মেন্টস শিল্প ঘোষিত মজুরি প্রস্তাব প্রত্যাহার এবং ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা পুনর্নির্ধারণের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

নুরুল হক নুর বলেন, যে আন্দোলন হয়েছে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির, সেখানে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইভাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জহির উদ্দিন স্বপন থেকে শুরু করে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ২৮ অক্টোবর পুলিশের অনুমতি পেয়েছে, সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে, একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পল্টনে করতে চেয়েছিল। সেখানে প্রশাসনের ব্লু প্রিন্টে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের গুন্ডাপান্ডা দিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার নাটক করিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। এমনকি আমাদেরও ভয় দেখানো হয়েছিল– আমরা যদি নির্বাচনে না যাই ওই মামলায় আমাদেরকেও জেলে ঢুকানো হবে।

তিনি বলেন, আজ সারা দেশের কৃষক শ্রমিকদের রাজনৈতিক অধিকার কায়েম করার জন্য সবাইকে জেগে উঠতে হবে। আজ ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে আমাদেরকে আরবদের দাস-দাসীদের মতো বানানো হচ্ছে। যখন মন চাইবে আমাদেরকে জেলে ঢুকাবে, যখন মন চাইবে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নাশকতার মামলা দিয়ে থানায় ঢুকাবে। এভাবে একটা রাষ্ট্র চলতে পারে না। আমরা অস্তিত্বের সংকটে দাঁড়িয়ে আছি। নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্য জনগণকে রাজপথে যা করার করতে হবে। শেখ হাসিনার পতন ব্যতীত আমাদের মুক্তি নেই। আমাদের মুক্তির জন্য শেখ হাসিনার পতন ঘটাতেই হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুণ্ডারা অস্ত্র নিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছে। সব জায়গায় তাদের এজেন্টদের দিয়ে একটা উত্তেজিত পরিস্থিতি তৈরি করে আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপানো হয়। আজ গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির প্রতি আমরা সংহতি প্রকাশ করছি, সমর্থন জানাচ্ছি।