ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জোরদার করতে সেনা মোতায়েন করা যেতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বরাবর দাবি তুলেছে তৃণমূল বিএনপি। পাশাপাশি বর্তমান কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছা পোষণ করেছে রাজনৈতিক দলটি। এছাড়া আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর চিঠি দেন দলটির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার ও প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদার মেয়ে এবং দলটির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা।

সমশের মুবিন চৌধুরী বলেন, ২০১৪ ও ১৮ মতো নির্বাচন চায় না তৃণমূল বিএনপি। সিইসিকে তৃণমূল বিএনপি জানায়, তৃণমূল বিএনপির মূল স্লোগান হলো ‘সুষ্ঠু রাজনীতি সুশাসনের ভিত্তি’। আমরা বিশ্বাস করি রাজনৈতিক সুস্থ না হলে কোনোদিন সুশাসন সম্ভব নয়। আমরা বিশ্বাস করি আপনি ও আপনার কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। আপনাদের আগামীদিনের কর্মকাণ্ডে তা প্রমাণিত হবে বলে আশা করি।

নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইসি বরাবর বেশ কয়েকটি দাবি করা হয়েছে। তৃণমূল বিএনপির দাবিগুলো হচ্ছে। পবিত্র সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া প্রদত্ত দায়িত্ব ও ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। নির্বাচনের সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্বাচনে নিয়োজিত যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে এরকম প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ইসির হাতে থাকতে হবে। বিশেষ করে ডিসি, এসপি, ওসি, ইউএনও বদলিসহ প্রয়োজনীয় যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা থাকতে হবে। নির্বাচনকালীন সময় প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের প্রতি সমান সুযোগ সৃষ্টি, অর্থাৎ লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। যদি কোনো দল বা প্রার্থী ন্যায্য দাবি বা অভিযোগ করে, তাহলে দ্রুততম সময়ে তা সমাধানের ব্যবস্থা নিতে হবে।

সমাজের বড় একটি অংশ ভোট থেকে বিমুখ হয়ে পড়েছে। তারা ভোটদানে বিরত থাকছে। যা গণতন্ত্রের জন্য খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ভোট প্রত্যেকটি নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব। তাদেরকে ভোটদানে উৎসাহিত করতে হবে এবং ভোটের গুরুত্ব বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।

নির্বাচনের দিন প্রত্যেকটি কেন্দ্রে সিসি টিভির ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জোরদার করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে। এতে জনগণের আস্থা অর্জিত হবে। আমরা নির্বাচনমুখী একটি রাজনৈতিক দল, আমরা মনে করি সব রাজনৈতিক দলই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। এজন্য ইসিকে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

এব্যপারে আমরা তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। নির্বাচনের দিন প্রত্যেকটি কেন্দ্র যেন ঝুঁকিমুক্ত থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটের ফলাফল প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘোষণা করতে হবে এবং প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরকৃত ফলাফল শিট প্রত্যেক প্রার্থীর প্রতিনিধির কাছে দিয়ে দিবে।

পরবর্তী উপজেলা সদরে দেশি-বিদেশি মিডিয়াসহ প্রত্যেক প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তির সামনে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। যাতে করে ফলাফল নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে না পারে। বিভিন্ন দেশ থেকে যেন বেশি বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক আসতে পারে, এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা করতে হবে। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে ও পরে কয়েকদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি থাকতে হবে। যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা সৃষ্টি হতে না পারে। প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল বিএনপি

আপডেট টাইম : ০৩:১২:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জোরদার করতে সেনা মোতায়েন করা যেতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বরাবর দাবি তুলেছে তৃণমূল বিএনপি। পাশাপাশি বর্তমান কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছা পোষণ করেছে রাজনৈতিক দলটি। এছাড়া আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর চিঠি দেন দলটির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার ও প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদার মেয়ে এবং দলটির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা।

সমশের মুবিন চৌধুরী বলেন, ২০১৪ ও ১৮ মতো নির্বাচন চায় না তৃণমূল বিএনপি। সিইসিকে তৃণমূল বিএনপি জানায়, তৃণমূল বিএনপির মূল স্লোগান হলো ‘সুষ্ঠু রাজনীতি সুশাসনের ভিত্তি’। আমরা বিশ্বাস করি রাজনৈতিক সুস্থ না হলে কোনোদিন সুশাসন সম্ভব নয়। আমরা বিশ্বাস করি আপনি ও আপনার কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। আপনাদের আগামীদিনের কর্মকাণ্ডে তা প্রমাণিত হবে বলে আশা করি।

নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইসি বরাবর বেশ কয়েকটি দাবি করা হয়েছে। তৃণমূল বিএনপির দাবিগুলো হচ্ছে। পবিত্র সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া প্রদত্ত দায়িত্ব ও ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। নির্বাচনের সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্বাচনে নিয়োজিত যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে এরকম প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ইসির হাতে থাকতে হবে। বিশেষ করে ডিসি, এসপি, ওসি, ইউএনও বদলিসহ প্রয়োজনীয় যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা থাকতে হবে। নির্বাচনকালীন সময় প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের প্রতি সমান সুযোগ সৃষ্টি, অর্থাৎ লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। যদি কোনো দল বা প্রার্থী ন্যায্য দাবি বা অভিযোগ করে, তাহলে দ্রুততম সময়ে তা সমাধানের ব্যবস্থা নিতে হবে।

সমাজের বড় একটি অংশ ভোট থেকে বিমুখ হয়ে পড়েছে। তারা ভোটদানে বিরত থাকছে। যা গণতন্ত্রের জন্য খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ভোট প্রত্যেকটি নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব। তাদেরকে ভোটদানে উৎসাহিত করতে হবে এবং ভোটের গুরুত্ব বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।

নির্বাচনের দিন প্রত্যেকটি কেন্দ্রে সিসি টিভির ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জোরদার করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে। এতে জনগণের আস্থা অর্জিত হবে। আমরা নির্বাচনমুখী একটি রাজনৈতিক দল, আমরা মনে করি সব রাজনৈতিক দলই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। এজন্য ইসিকে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

এব্যপারে আমরা তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। নির্বাচনের দিন প্রত্যেকটি কেন্দ্র যেন ঝুঁকিমুক্ত থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটের ফলাফল প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘোষণা করতে হবে এবং প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরকৃত ফলাফল শিট প্রত্যেক প্রার্থীর প্রতিনিধির কাছে দিয়ে দিবে।

পরবর্তী উপজেলা সদরে দেশি-বিদেশি মিডিয়াসহ প্রত্যেক প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তির সামনে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। যাতে করে ফলাফল নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে না পারে। বিভিন্ন দেশ থেকে যেন বেশি বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক আসতে পারে, এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা করতে হবে। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে ও পরে কয়েকদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি থাকতে হবে। যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা সৃষ্টি হতে না পারে। প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।